ড. গৌতম সরকার
“তার মানে! রাতারাতি এতগুলো মেয়ে হারিয়ে গেল?”
“রাতারাতি ঠিক নয়, দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। আর কারণ তো একটা নয়। গবেষকরা গবেষণা করে একের পর এক কারণ খুঁজে বের করেছেন”৷
“কিন্তু প্রথমে ব্যাপারটা তো নজরে আনেন অমর্ত্য সেন!”
“হ্যাঁ, উনি ১৯৯০ সালে ‘নিউইয়র্ক রিভিউ অব বুকসে’ একটা এসে পেপারে এই ‘মিসিং উওম্যান’ বিষয়টির ওপর প্রথম আলোকপাত করেন”৷
মা-মেয়ের মধ্যে কথা হচ্ছে ডাইনিংয়ে বসে। অথর্ব টিভিতে পুরোনো একটা ক্রিকেট খেলা দেখছিল- ভারত আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে ওয়ান ডে ম্যাচ। সাল ১৯৮৩, ভারত সবে সবে বিশ্বকাপ জিতেছে, তাও আবার তারকা সমৃদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে। তার ঠিক পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এসেছে ভারত সফরে। এসেই ওদের জাত চিনিয়েছে। ভারতের জেতাটা যে নেহাত দূর্ঘটনা সেটা তাদের শরীরী ভাষা, দৃঢ়বদ্ধ চোয়াল আর রক্ত চোখ বুঝিয়ে দিচ্ছে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ভারত ইতিমধ্যেই ০-৪ পিছিয়ে আছে। এখন পঞ্চম ম্যাচ চলছে, এটাতেও হারবে। মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। লাইভ হোক বা হাইলাইটস ইন্ডিয়া ক্রিকেটে হারলে অথর্বের মেজাজ চড়ে যায়। গ্রীষ্মের দুপুর, বাইরে পৃথিবী রোদের তাপে ঝলসাচ্ছে। এখন বেরোনোর কোনো প্রশ্ন নেই। খেলা দেখায় মনোযোগ না থাকায় মা আর দিদির কথোপকথন কানে আসছে।
“আচ্ছা মা, মিসিং উওম্যান-এর ব্যাপারটা বলতে বলতে আজ ক্লাসে ম্যাডাম বলছিলেন এর পিছনে আরও অনেক কারণ আছে যেগুলো অনাবিষ্কৃত”৷
মা কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর বললেন, “আছেই তো! অর্থনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানীরা একটা টেক্সচুয়াল পথ ধরে এগিয়ে গেছে, তাদের গাইড করেছে বইয়ের কিছু তত্ত্ব আর তথ্য। কিন্তু হিসেবের পরিধির বাইরে পৃথিবীতে কত কি ঘটে যায়, ঘটে চলেছে, তার হিসেব কে রাখে?”
“আচ্ছা মা দারিদ্র, কন্যা ভ্রূণ হত্যা, যত্নের অভাব, হেপাটাইটিস বি এগুলো ছাড়া এই দশ মিলিয়ন মেয়ের হারিয়ে যাওয়ার আর কি কারণ থাকতে পারে?”
অথর্বের দিদি কোজাগরী কলকাতার একটি নামি মেয়েদের কলেজে অর্থনীতি সাম্মানিক নিয়ে ভর্তি হয়েছে, আর মা অন্য একটি কলেজের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা। মা-মেয়েতে মিলে এই ‘মিসিং উওম্যানের’ মিস্ট্রি সলভের আলোচনা চলতে লাগলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জিততে পঞ্চাশ বলে পনের রান বাকি দেখে টিভি বন্ধ করে সোফাতেই গুটিয়ে-পাকিয়ে শুয়ে রইল অথর্ব, কান সজাগ রইল ঘরে উপস্থিত আরও দুজনের কথোপকথনে।
মায়ের গলা, “আমি ভাবছি একটা কথা। তুই যে কারণগুলো বললি সেগুলো একদম ঠিক। তবে সংখ্যাটা দশ মিলিয়ন নয়, তার থেকে অনেক বেশি। সাম্প্রতিক একটা হিসাব দেখাচ্ছে, সংখ্যাটা ৯০-১০০ মিলিয়নের মত। আসলে সভ্যতা এগিয়ে গেলেও মেয়েদের প্রতি এই বৈমাত্রেয়সুলভ আচরণ এখনও একইরকম ভাবে চলে আসছে”। মা-মেয়ে দুজনেরই দীর্ঘশ্বাস পড়ল। অথর্বের এত শক্ত শক্ত বাংলার মানে জানা না থাকা সত্ত্বেও বুঝতে পারল ওরা গুরুতর কোনো সমস্যা নিয়ে কথা বলছে। আবার আবার মায়ের গলা ভেসে এল।
“সবচেয়ে লজ্জার কি জানিস। মিসিং উওম্যানের ব্যাপারটা তো যারা জন্মাতে পারতো কিন্তু জন্মায়নি তাদের নিয়ে। কিন্তু যারা জন্মগ্রহণ করে বড় হয়ে তারপর হারিয়ে যাচ্ছে, তাদের জন্য আমরা কি করতে পারছি! ভারতবর্ষ, চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মধ্য প্রাচ্যের দেশ আর আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কত মেয়ে রাতারাতি সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, আরব আমিরাত, আর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে তার হিসাব কে রাখছে?”
কথা বলতে বলতে মা উত্তেজিত হয়ে উঠছে। তারপর মা একের পর এক স্ট্যাটিস্টিক্স দিয়ে গেল, কিভাবে এবং কত সংখ্যক মেয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পুলিশ-প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ‘হিউম্যান ট্রাফিকিং’ শব্দদুটোও কানে খট করে বাজল অথর্বের।
হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা শেষ, রেসাল্ট বেরোতে তিনমাস বাকি। বাড়িতে বসে বসে বোর হচ্ছে অথর্ব। একমাত্র বিকেলবেলায় মাঠে গিয়ে বন্ধুদের সাথে ফুটবল পিটানো ছাড়া আর কোনো এন্টারটেইনমেন্ট নেই। সকাল থেকে বাড়িতে একা কাটাতে হয়, যদিও লক্ষীপিসি থাকে। কিন্তু লক্ষীপিসি তো শত কাজে ব্যস্ত থাকে, তাই সঙ্গী বলতে টিভি আর গল্পের বই। এর মধ্যে দিদির কলেজের টার্মিনাল এক্সাম শেষ হয়ে গেল। তখন অথর্ব বায়না ধরল কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য। বাবা বাড়িতে নেই, অফিস দুমাসের জন্য নাসিকে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে পাঠিয়েছে। মা এই মুহূর্তে কলেজে ছুটি পাবেনা। তাই সবাই মিলে বেড়াতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রথমেই বাতিল হয়ে গেল। তবে মা ওদের একটা প্রস্তাব ছিল- তারা ভাইবোন মিলে শিমুলতলা ঘুরে আসতে পারে। শিমুলতলার বাড়িতে অনুদিদা মানে মায়ের অন্নপূর্ণা মাসি থাকেন। দাদু বহুদিন আগে এই বাড়িটি কিনেছিলেন। তারপর নিঃসন্তান অনুদিদা বিধবা হয়ে দাদার কাছে ফিরে এলে, দাদু বোনকে নিয়ে শিমুলতলার বাড়িতে কিছুদিন থাকতে যান। সেই থেকে দিদা ওখানেই রয়ে গেছে, কলকাতায় আর ফেরেনি। ছোটবেলা থেকে মায়ের মুখে দিদার অনেক গল্প শুনেছে। দিদা সেই বাড়িকে কত যত্ন করে রেখেছে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাগানে শাকসব্জি ফলান, গত কয়েকবছর ধরে সামনের পাথুরে জমিতে ধানও ফলাচ্ছেন। এছাড়া সারাবাগান জুড়ে আম, জাম, সবেদা, পেয়ারা, কুল, ফলসা গাছের ছড়াছড়ি।
বহুবার যাবো যাবো করেও হয় বাবা-মায়ের ছুটির অভাবে বা তাদের ভাই-বোনের পরীক্ষা-পড়াশোনার ঝামেলায় যাওয়া হয়ে ওঠেনি। ওরা এখন বড় হয়েছে। একরাতের জার্নি, মা হাওড়া স্টেশনে এসে ট্রেনে বসিয়ে দিয়ে গেছে। ভোরবেলায় ভাইবোন যখন শান্ত, নির্জন ছবির মতো পাহাড়ি স্টেশনে ট্রেন থেকে নামল তখন ভোরের কুয়াশা ছোট্ট স্টেশনটাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে। ট্রেনটা আলো জ্বেলে কুয়াশা ছিঁড়ে টা টা করে চলে গেল। চোখটা একটু সইয়ে নিয়ে কোনদিকে যাবে ঠিক করার আগেই দেখতে পেল কুয়াশার আবছা অন্ধকার ঠেলে একটা লণ্ঠন হাওয়ায় ভেসে ভেসে এগিয়ে আসছে। ভয় পাবে কিনা ভাবার আগেই লণ্ঠনের পিছনে একটা অবয়ব চোখে পড়লো, আর সবচেয়ে আগে চোখে পড়ল দুপাটি সাদা ঝকঝকে দাঁত। মনে পড়ল, মা বলে দিয়েছে বাড়ির চৌকিদার কাম মালি কাম বাজার সরকার শিবুদা স্টেশনে ওদের নিতে আসবে। সেই শিবুদা রাত থাকতে লণ্ঠন হাতে হাজির। অথর্ব আর কোজাগরী বিনা শর্তে নিজেদের শিবুদার হস্তে সমর্পণ করে দিল। স্টেশনের বাইরে এসে ভাইবোনে জীবনে প্রথম গরুর গাড়িতে চড়ে বসল।
প্রথম দুটো দিন অনুদিদার আদর আর আতিথেয়তায় কিভাবে কেটে গেল টেরই পেলনা। এখানে এসে উপরি পাওনা হয়েছে সঞ্জু আর সবিতার সাথে বন্ধুত্ব। ওরা শিবুদার ছেলেমেয়ে। সঞ্জু ক্লাস টেনে আর সবিতা এইটে পড়ে। ওদের স্কুল এখান থেকে পাহাড়ি পথে প্রায় তিন কিলোমিটার। তবে অথর্বদের মত ওদেরও এখন পরীক্ষা শেষ, তাই স্কুল ছুটি। এই দুদিন চারজনে মিলে আশপাশে অনেককিছু ঘুরে নিয়েছে। লাট্টু পাহাড়, জমিদার বাড়ি, ধারারা ফলস আরও কত কী। এবার ঠিক হয়েছে, ট্রেনে চড়ে ওরা দেওঘর যাবে। ভোরের ট্রেনে শিবুদা তুলে দিয়ে আসবে, সারাদিন দেওঘর দেখে আবার সন্ধ্যের ট্রেন ধরে ফিরে আসবে। দেওঘর যাওয়ার আগের বিকেলবেলা ওরা বাড়ি থেকে একটু দূরে একটা ছোট ডাঙা জমিতে ক্রিকেট খেলছিল। আশপাশের কয়েকটা বাচ্ছা এসে খেলায় যোগ দিয়েছিল, ফলে ওদের ফিল্ডারের অভাব পূরণ হয়ে গিয়েছিল। খেলা যখন জমে উঠেছে তখন হঠাৎ একটা চিৎকার কানে এল। যেদিক থেকে চিৎকার এসেছিল খেলা থামিয়ে সেদিকে নজর করতে দেখতে পেল একটা লোক একটা বাচ্ছা মেয়ের পিছু ধাওয়া করেছে। মেয়েটা ভয়ে জঙ্গলের দিকে দৌড়োচ্ছে আর লোকটা চিৎকার করতে করতে তাকে ধরার জন্য দৌড়োচ্ছে। এত দূর থেকে ঠিক বোঝা গেলনা, তবে মনে হল ওরা এখানকারই বাসিন্দা হবে। এমনকি সঞ্জু বা সবিতাও এত দূর থেকে ওদের চিনতে পারলোনা। তারপর অন্ধকার হয়ে যাওয়াতে ওরা ঘরে ফিরে এসেছিল।
পরেরদিন খুব ভোরে উঠে ট্রেন ধরতে বেরিয়ে পড়ল। এখন শীত পড়তে শুরু করেছে। আর পশ্চিমের এই অঞ্চলে অক্টোবরের প্রথম থেকেই কনকনে শীত পড়ে যায়। দেওঘর পৌঁছে খুব মজা করে সারাদিন ঘুরলো। প্রথমেই গেল রামকৃষ্ণ আশ্রম, সেখান থেকে নন্দনকানন, ত্রিকূট পাহাড়, একদম শেষে তপোবন। তপোবনে পৌঁছে দেখল পাহাড়ের নিচে পুলিশের একটা ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে, আর আশপাশে বেশ কয়েকজন পুলিশ টহল দিচ্ছে। স্থানীয় কিছু কৌতূহলী মানুষ জিপকে ঘিরে ভিড় জমিয়েছে। অথর্বের আবার এসব ব্যাপারে একটু বেশি কৌতূহল। কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে বুঝে ভিড়টার দিকে এগিয়ে গেল, অন্যরা ওকে অনুসরণ করল। এর আগে দুয়েকবার অথর্ব আর কোজাগরী অনিচ্ছাকৃত ভাবেই কয়েকটা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল, আর সেখান থেকে নিজেদের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কয়েকটা মিস্ট্রি সলভও করেছিল। সেই থেকে ঝামেলা দেখলে তার মাঝে গিয়ে পড়া ওদের একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তবে বাবা-মা এগুলো একদম পছন্দ করেনা এবং ওদের দিয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ওদের মাথায় ব্যাপারটা নেই। আর নিছক কৌতুহল ‘কি হয়েছে’ জানতে ওরা দাঁড়িয়ে পড়েছে। এদিক সেদিক থেকে যেসব কথা ভেসে আসছে তাতে যতটুকু বোঝা গেল, দেওঘর থেকে মাইল পাঁচেক দূরে একটা গ্রাম থেকে চারজন মেয়ে একসাথে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। মেয়েগুলি স্থানীয় স্কুলে ক্লাস সেভেন আর এইটে পড়ে। সকালবেলা স্কুল বেরিয়ে ফেরেনি, স্কুলের জামাকাপড়েই তারা নিপাত্তা। এখন পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। তাদের সন্দেহ মেয়েগুলো এখনও নাগালের বাইরে যেতে পারেনি। রেলস্টেশনের সিসি টিভিতে ওদের দেখা যায়নি। একমাত্র বাসে করে যদি জসিডি বা ঝাঁঝার দিকে চলে যায়। সব থানায় খবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। খোঁজ-তল্লাশি চলছে। পুলিশের বিশ্বাস ওরা বেশিক্ষণ নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পারবে না কারণ ওদের স্কুলের ইউনিফর্মই ওদের চিনিয়ে দেবে। সব শুনে অথর্ব চোখ বড় বড় করে দিদির কানে ফিসফিস করে বলল, ‘মিসিং উওম্যান!’। দিদি ভাইয়ের বদমায়েসিতে বিরক্ত হযে মাথায় হালকা চাঁটি মারলো।
পরের দিন ভোরবেলা ঘুম ভেঙে গেল অথর্বর। ভেবেছিল আজ আর সকালে হাঁটতে বেরোবে না। কাল ফিরে খেয়ে দেয়ে শুতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। আর সারাদিন টইটই ঘুরে খুব ক্লান্তও ছিল। এখন ঘুম ভেঙে অথর্বর খুব ফ্রেশ লাগল। সকালে সে একাই বের হয়। দিদি খুব ঘুমকাতুরে, সঞ্জু আর সবিতার সকালে অনেক কাজ থাকে। অথর্ব যখন ঘুম ভেঙে উঠে বেরোয় তখন অবশ্য শ্রীমতী বৌদি ছাড়া আর কেউ ওঠেনা। বাইরে বেরিয়ে বুঝল রাত্রে বৃষ্টি হয়েছে। বাড়ির পিছনের দিকের লাট্টু পাহাড়ের রাস্তাটা ধরল। ইতিমধ্যে সঞ্জুর পোষা ভোলা কুকুরটা রোজকার মত সঙ্গ নিল, রাস্তার পাশে বসে অথর্বর জন্যেই অপেক্ষা করছিল। রাস্তায় মাঝে মাঝে জল জমেছে, তবে অথর্বর যেটা চোখ টানল সেটা নরম মাটিতে মোটা টায়ারের দাগ। দেখেই বোঝা যাচ্ছে জিপের চাকার দাগ। মানে বৃষ্টির পর রাতে বা ভোরবেলা এই রাস্তা দিয়ে জিপগাড়ি গেছে। এবার আবছা আবছা মনে পড়ল কাল রাতে ঘুমের মধ্যে একবার নয়, বেশ কয়েকবার গাড়ির আওয়াজ পেয়েছে। কিন্তু খুব ক্লান্ত থাকায় সেই আওয়াজে ঘুম একেবারে ভাঙেনি। এখন চাকার দাগ দেখে মনে পড়ল। অথর্বের কপালে একটু ভাঁজ পড়ল।
(ক্রমশঃ………)