অপার্থিব এক রাতের ছন্দগান,
যে রাতে ভ্রমরদের হয়েছে হৃদয়হরণ!
বিচ্ছেদের আগুনে জ্বলে নীল তারা
শিহরণে ভাসে নগ্ন নীল ডুমুর
যৌবে নাচে যৌনের গ্রীবে গ্রীবে চুমুর!
পাপের তাপে জ্বলে অশোক নক্ষত্র,
পাপের ডাক বাক্সে আসে নগ্নপ্ত্র
ঠায় আকাশে চাঁদ দ্বগ্ধ স্থির,
আধখাওয়া চাঁদে, কত কিছু চুরি হয়ে যায়
বেদনার নগ্ন মাঝরাত্তিরে বাজে,
কাসার থালার ঝনঝনি!
তাও রাত জুড়ে চলে শেকলদাপট,
কারাগারে নগ্ন ক্ষুধায় ন্যুইয়ে পরে কায়েদী!
রাস্তার ফুটপাতে, গাম টেনে শুয়ে থাকে নিঃসঙ্গ নিরুপায়!
বড়লোকের গ্লাস থেকে এসে আলো পড়ে তার মুখে।
সেই মুগুড় রাতের কথা,
বিছানায় সাজে তপ্ত ফুলের গান,
সুবাস ছড়ায়..গন্ধে ম ম করে শুধারঞ্জন!
সাজে মদের বোতলে বাজে শুড়ি খানার গান,
ধস্তাধস্তি, ফিসফিস, চুম্বনের চাটিতে ঘুম ভেঙে যায়
নিঃসঙ্গ নিরুপায়-চোখ কাতরায়,
গামের ঠোঙা পঁচে, সুখ সেজেছে ছ’তলায়
নয় ছ’য়ের জীবনে তাস খেলায় সড়ক বাতি!
তেড়ে আসে..সিঁধেল চোরা!
হারামজাদা..এ কি তোর বাপের সম্পত্তি?
ঢেলে দেই যদি গরম পানি, ভাগ বসাবি?
ছোঁড়া চোখ বুলে হেটে যায় তপ্ত বাগানে!
সেখানেও চলে নগ্ন ফুলের কার সাজি!
কাঁচের গ্লাসে বিন্দু বিন্দু মেঘ জমে।
আস্তে,ধীরে সুস্থে..গ্রীবে নাচে ললুপ জিহ্বের তেজ!
ধীরে ধীরে অসাড় হয়ে যায় সে, গামের ঢোঙায় ঢেলে
আরো কয়েক পেগ, হোস হোস করে টেনে
ভেতরে নিয়ে যায় আরও কয়েক ধাপ
এরপর আসে নগ্ন নৃত্য!
ছোঁড়াও একদিন বড় হয়।
তার বাঁপ থাকে, পাপের স্বর্গে!
বিলাসী ফ্লাটের ছ’তলায়।