আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কতদিন সেঁধে যেচে লিখিনা
ধূসর মলিন পান্ডুলিপি
ওসবে জমেছে ধুলো
প্রতিবাদগুলো নির্বাক অমলিন
তাও রক্তচুষেছে নিকৃষ্ট হারামজাদার দল..
জোঁক হয়ে লুটেছে রক্তহীন রক্তজবার বুকে!
এ সাম্রাজ্য! শুধু ঘামের নর্দমায় গুটি কয়েক পারিশ্রমিক!
সপাটে অন্ধকারে রাতখেকো জাগুয়া পশুর দল!
জোস্নার বনকে ওরা ভালো থাকতে দিলো না,
আকুতি কিংবা অভিযোগ, বুক জ্বলে চোখ ছলছল!,
তাও তো ঐ টাকার জাহাজে আগুন ধরিয়ে হাসে রাক্ষসের হাসি!
অন্ধকারে বিলীন হয়, রুটি রুজি নির্বিকার অন্ধ হাসি!
তাও তো ঘুরে ফিরে বিতন্ডায় জড়িয়ে নিজেকে খোঁয়াই,
নিজেও সেঁধে যেচে নর্দমার বিদঘুটে কাঁদা-মাখাই!
আর কত পরাবাস্তব দিন আসবে যাবে!
এ শব্দসম্ভারের বুক জুড়ে..
এভাবে আর কত নদী শুকাবে…বসন্তের আক্ষেপে!
ঘেন্না হয় তবু নিজের প্রতি,
বারং বার নিজেকে আগলে রাখি….
অগ্নুৎ্পাতের মতো বিস্ফোরিত হয়
ধৈর্যের উত্তপ্ত আগুন,
ক্রোধের রাজপথে রাঙে মায়ার ফাগুন।
ভেস্তে যায় সব, নিছক কোন রংহীন সমীকরণে!
প্রস্থান যদি হতো সমাধান, সেই পথ খুঁজতাম সবার আগে!
লাশ কাঁটা ঘরের ব্লেডে
আশিক মাহমুদ রিয়াদ
নিজেকে সাজাও আজ,
নিজের মতো করে,
ভীষণ কষ্ট দাও, রাতজ্বরে
ওদিকে চেয়ে দেখো,
স্বাক্ষাৎ কেউ, ঠায় দাঁড়ায়ে।
ডুবে যাও, অসুখ-শ্রীঘরে।
কলমে ফিসফিস, দুঃখ বলো কারে?
সব মিলেমিশে তাই,
একটা সিগারেট চিৎকারে!
মৃতদেহ ডাক পাঠায়,
ভীষণ পাপের বোঝায়!
সিলিফিস আর গনোরিয়ায়
নেক্রোপলিসে ঘুরে বেড়ায়
নেক্রোফিলিয়া রাক্ষস!
বাইরে বৃষ্টি আজ কাঁদে,
রাক্ষস আজ হাসে,
নারকীয় ক্ষোভে,
শয়তান ঘুরে ভেসে
সম্ভোগের নগ্ন নদীতে।
তাও যদি মনে পড়ে আমায় তোমার,
চিঠি লিখো রক্ত দিয়ে,
শিহরণ ভেজা কামনায়,
তুমি আমায় মনে রেখো মৌনতায়।
ডাকবাক্সে ফিসফিস
কবিতায় আজ বিষফিস
মাথাজুড়ে টুপটাপ, গুপচুপ।
এসো ছন্দ মেলাই, জীবন অংকে।
দুঃখ চাপি আজ, লাশকাটা ঘরের ব্লেডে।