মিরাজুল হক
মানুষের জীবনযাপনের গতিপ্রকৃতি চলে আঁকা বাঁকা পথে । কেননা আমাদের চলার ধরন বহুমাত্রিক । হাঁটি হাঁটি পা পা করে , ঘরের চৌকাঠ টপকে পাড়া গ্রাম সমাজ দেশ অতিক্রম করে যে মানবশিশুর সংগে বিশ্ব প্রকৃতির পরিচয় ঘটে , সেই যাপিত জীবনের তাল লয় ছন্দ একই রকম হয় না । ঘর বাসা বাড়ি পাড়া গ্রাম সমাজের ভিতর ও বাইরের আধার হরেকরকম , আলাদা । আমাদের এই বহুমাত্রিক জীবন যাপনের একটা বড় আধার হল সাহিত্য । জীবন যাপনের ক্যানভাস । এই বড় পর্দায় লেখক কবি সাহিত্যিকেরা যাপিত জীবনের ছবি আঁকেন । নানা রঙের , বিচিত্র সব । তাই সাহিত্য ও সমাজ একে অপরের পরিপূরক ।
আরও পড়ুনঃ প্রবন্ধ- রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালী মুসলমান সমাজ [ পর্ব – ১ ]
তবে আমরা তো বাঁচি বর্তমানে । কিন্তু বর্তমান এক নিতান্ত ছোট্ট কালখণ্ড । আমাদের কথা ফুরোতে না ফুরোতে তা দ্রুত অস্ত যায় । বর্তমানের এই সময়টা আমাদের মনে গভীর দাগ কেটে যায় বটে । কিন্তু অতীত সম্পর্কে নিরপেক্ষ থেকে আমাদের আত্মপরিচয়ের সংজ্ঞা নিরূপণ করা যায় না । আমাদের অতীতকে বাদ দিয়ে আমরা বাঁচতে পারি না । এ কথা ঠিকই । কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে , আমাদের অতীতের মধ্যেই বাঁচতে হবে । বরং সমাজজীবনের আঁকা বাঁকা গতিপথে , অতীত –পঠন এবং বর্তমান সম্পর্কের ধারনা , একে অপরের ওপর নির্ভরশীল ।
বাঙালীত্ব ও মুসলমানিত্ব:
এই দুটো বিষয়ের মধ্যে অবস্থানগত একটা মতবিরোধ ছিল তখনও । এখনও কি সে বিবাদ আছে , মেটেনি ? শ্রীকান্তের প্রথম পর্বে , লেখক বলেছেন , ‘ স্কুলের মাঠে বাঙালী ও মুসলমান ছাত্রদের ফুটবল ম্যচের ‘ কথা । বাঙালী ও মুসলমানেরা পরস্পরের প্রতিপক্ষ যেন । প্রতিযোগীও বটে । শরৎচন্দ্র ও বঙ্কিমচন্দ্রের যুগে মুসলমানরা বাঙালী ছিলেন না । বাঙালী ছিলেন না সমাজের খেটে খাওয়া মানুষেরা , কৃষক ও শ্রমিকেরাও । কলকাতা কেন্দ্রিক পেশাজীবী ‘ ভদ্রলোকেরাই ‘ ছিলেন শুধু বাঙালী । ঢাকা- বরিশাল কেন্দ্রিক পূর্ব বাংলার মানুষজন বাঙালী ছিলেন না । এই জনসমষ্টির পরিচিতি ‘ বাঙালের ‘ বেশী কিছু ছিল না । কারও মতে শুধুই ‘ মোচলমান ‘ । ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পরই নতুন অভিধা লাভ করে এই জনপদ – ‘ এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার পরিচয়ে । ভারত বিভাগ তথা বাংলা বিভাগের মুলে ছিল পূর্ববাংলার জনগণের মুসলমানিত্ব । তারা মুসলমান বলেই পূর্ববাংলা পাকিস্তানের অংশ হয়।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই , ১৯৪৭ – ৫২ সময়কালে পূর্ব বাংলায় গড়ে ওঠে এক স্থিতিশীল মধ্যবিত্ত শ্রেণী । তারা উর্দু সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন । এই শ্রেণীর নেতৃত্ব দিয়েছেন সচেতন দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী উদারচেতা কিছু মুসলমান নেতারা । মুসলমান বুদ্ধিজীবীরাও । বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যাম এবং অফিস আদালতসহ সমাজজীবনের সর্বত্র বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবীতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন । এ প্রসঙ্গে ভাষাবিদ ডঃ মহাম্মদ শহীদুল্লাহ , ডঃ মহম্মদ এনামুল হক র নাম উল্লেখযোগ্য । তাঁরা সবাই ছিলেন মনেপ্রাণে বাঙালী । তাঁরা ছিলেন খাঁটি মুসলমানও । ‘ মুসলমানিত্ব ‘ তাদের ‘ বাঙালীত্বের ‘ পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে নি । বাঙালী হতে হলে কিছুটা কম মুসলমান হতে হবে অথবা খাঁটি মুসলমান হলে পুরোপুরি বাঙালী হওয়া যাবে না – এ ভাবনা তাদের কোন সময়ে পীড়িত করেছে বলে জানা যায়নি ।
আরও পড়ুন- কিভাবে প্রচলন হলো দুর্গাপূজার? ( Durga Puja – 2022)
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গকে কলকাতা কেন্দ্রিক যে সব বাঙালী নেতা তখন ‘ জাতীয় অপমান ‘ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন , তাদেরই উত্তরসূরিদের হাতে বঙ্গদেশ বিভক্ত হয় ১৯৪৭ সালে । বাংলা বিভাগের এত বছর পরেও কিছু চেনা মুখ , মুসলমানিত্ব ও বাঙালীত্বের মধ্যে আবিস্কার করছেন সহঅবস্থানগত বিরোধ ।
এই প্রেক্ষাপটে বা এই সময়কালে বাস্তব ঘটনা ও চরিত্র , জীবনের বিচিত্র রূপের বিন্যাস , বাবা কাকা জেঠিমা ঠাকুমার পাশাপাশি দাদী নানী চাচা চাচী ফুপু আপা ‘ দের যাপিত জীবনের জটিলতা , দুঃখ কষ্ট বেদনার প্রয়োজনচেতনার প্লট কিংবা চরিত্র সৃষ্টির কৌশল ইত্যাদি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় কি ততটা প্রতিফলিত হয়েছিল ? এই সময়কালের অন্যতম লেখক শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্প উপন্যাসেও … ? আমিনা ও গফুর ছাড়া , ‘ দাদী নানী চাচা চাচী ফুপু আপা ‘ দের বিষয়বস্তু ও তাদের জীবনের প্রেম ভালোবাসার আগা পাশ তলা , নানান টানাপোড়ান , বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গহনে কি সাহিত্য রসের সন্ধান পাওয়া যায় না ?
শরৎচন্দ্র ও মুসলমান সমাজ :
সময়কাল ১৯৩৫ । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরৎচন্দ্রকে ডক্টরেট উপাধি দেওয়া হয় । সেই সমাবর্তন উৎসবে তিনি যোগদান করেন । তখন বাংলার তদানীন্তন গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলার স্যার জন এন্ডারসন শরৎচন্দ্রকে জিজ্ঞেস করেন , ‘ আপনার লেখার মধ্যে মুসলমান সমাজের পরিচয় হিন্দু সমাজের তুলনায় এত অল্প কেন ? ‘ বাংলাদেশের অধিকাংশই মুসলমান । তাই এদেশের সাহিত্যে তাদের কথা নেই । বাঙালী লেখকদের রচনা পড়লে , এ দেশে যে মুসলমান বলে এত বড় একটা সম্প্রদায় আছে , তা জানতেও পারা যায় না ।
শরৎচন্দ্র অতি অল্প কথায় স্যার এন্ডারসন কে জবাব দিয়েছিলেন , ‘ আমি তো মুসলমান চরিত্রও আমার রচনার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি করেছি । তবে এ কথা সত্য , তা সংখ্যার দিক থেকে এমন বিশেষ কিছু নয় । ‘ ভবিষ্যতে তিনি যাতে আরও মুসলমান চরিত্র সৃষ্টি করে মুসলমান সমাজভিত্তিক উপ্যনাস রচনা করেন , সেই জন্য স্যার এন্ডারসন শরৎচন্দ্রকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন । শরৎচন্দ্রও প্রতিশ্রুতি দেন যে তাঁর ভবিষ্যৎ উপন্যাসে মুসলমান সমাজজীবনকে প্রাধ্যন্য দেবেন । কিন্তু তার পরেপরেই নানান অসুখে থেকে আর সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন নি । কয়েক বৎসরের মধ্যেই তিনি পরলোকগমন করেন । ১৯৩৮ সালের ১৬ই জানুয়ারি । ঢাকায় স্যার এন্ডারসনকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন , তা আর পূর্ণ করতে পারেন নি ।
আরও পড়ুনঃ জীবনানন্দ দাশ ও রবীন্দ্রনাথ এবং কলকাতা পুলিশের একটি তদন্ত
তাঁর কথাসাহিত্যে দুটি মুসলমান চরিত্র সামান্য একটু প্রাধান্য পেয়েছে – একটি পল্লীসমাজের আকবর লাঠিয়াল , অন্যটি মহেশ ছোট গল্পের গফুর ও তার মেয়ে আমিনা । এই চরিত্র তিনটেই একই সমাজ থেকে এসেছে । বাংলার নিরক্ষর কৃষক সমাজের চরিত্র । আকবর চরিত্র বীরের , আর গফুরের চরিত্র দারিদ্রতার । নীতিবোধ উভয়েরই সমান । এই প্রেক্ষিতে দীনবন্ধুর ‘ নীলদর্পণ ‘ নাটকের ‘ তোরাপ ’ চরিত্রের কথা এসে যায় । তোরাপ ও আকবর লাঠিয়ালে বিশেষ তফাৎ নেই । তোরাপ যেমন বলে , ‘ মুই নেমোখ্যরামি কত্তি পারব না ‘ । আকবরও তেমনি বলে , ‘ সব সইতে পারি , কিন্তু বেইমান সইতে পারি না ‘ । নিরক্ষর মুসলমান সমাজ জীবনে এই একটা ধর্মবোধ গভীর ভাবে উপলব্ধি করা যায় । আকবর বা তোরাপ কোন ধর্মগ্রন্থ পড়ে , এই বিশ্বাস লাভ করেনি । মানুষ যেমন ভাবে খেতে না-পাওয়া , দুঃখ কষ্টের জীবন যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে পারে , তেমনি এই ধর্মবোধ এই নিরক্ষর সমাজের ভিতরে এত শক্তিশালী হয় । শিক্ষা ও উচ্চতর জীবনযাপনে যে ধর্মবোধ আয়ত্ত করতে পারে নি , নিরক্ষর আকবর , তার সহজাত প্রবৃত্তির সুত্রেই তা অর্জন করেছে । নিজের কর্মজীবনে তা মেনে চলেছে । শরৎ সাহিত্যের এই চেতনা , বাংলার দরিদ্র অর্ধ পেটে খাওয়া , না-খেতে পাওয়া মানুষের , পল্লীসমাজের একটি সত্য জীবন -চেতনা । জোরালো শক্তিশালী জীবনবোধ ।
গফুর ও তার মেয়ে আমিনার বেঁচে থাকা চরম দারিদ্রতার গভীরে । জমিদারের ক্রমাগত নিপীড়নে তাদের মাথা উঁচু করে লাড়াই করে প্রতিরোধ করার শক্তি নেই । অপরিসীম দারিদ্রতার মধ্যেও , অবোলা জীবের প্রতি তাদের আত্মীয়তাবোধ , ‘ মহেশ ‘ গল্পের অপূর্ব আবেদন । মন ভিজিয়ে দেয় । মুসলমান বলেই যে গফুর আমিনা অত্যাচারের নিপীড়নের ভাগী হয়েছে – তা কিন্তু নয় । সে দরিদ্র ও অসহায় বলেই উঁচু তলার প্রবলতর সমাজের অত্যাচার এত কঠিন ।
অসহায় দরিদ্র হিন্দু নিচু জাতির উপর সমাজের এমনই অত্যাচার দেখতে পাওয়া যায় ‘ অভাগীর স্বর্গ ‘ মধ্যেও ।
তাই গফুর আমিনা আকবর – এরা মুসলমান সমাজের সুত্রে সাহিত্যে আসেনি । তাদের নামগুলো কেবল আরবী ভাষায় । এরা সবাই অসহায় দরিদ্র অত্যাচারীদের প্রতীকরূপে এসেছে । নিরক্ষর দুর্বল আর্থসামাজিক জীবনের প্রতিনিধি মাত্র ।
‘ শ্রীকান্তে ‘ শ্রীকান্তের মন্তব্য , ‘ বাঙালী ও মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে একটা ফুটবল ম্যাচ ছিল ‘ – খুব একটা আপত্তিজনক বক্তব্য নয় । শ্রীকান্তের ভাগলপুরে বাঙালীরা বাংলা ভাষাভাষী হলেও , মুসলমানরা হিন্দী ও উর্দু তে কথা বলতো । বাঙালী ও মুসলমান ছাত্র বলতে , তিনি বাংলা ভাষাভাষী এবং হিন্দী উর্দু তে কথা বলা ছাত্রদেরই বুঝিয়েছেন ।
শরৎচন্দ্র এবং ঢাকা কেন্দ্রিক মুসলমান সমাজ :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি- লিট উপাধিপ্রদানের আমন্ত্রনে শরৎচন্দ্র তখন ঢাকা তে । ডঃ এ এফ রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলার ছিলেন । ডঃ রমেশ মজুমদার ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর আর এক অনুরাগী অধ্যপক ছিলেন – প্রখ্যত সাহিত্যিক চারু বন্দ্যোপাধ্যায় । ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন , জগন্নাথ হল , ঢাকা হল ও মুসলিম হল – এই চারটি ছাত্র সংসদ তাঁকে সম্বর্ধনা দিয়েছিল । কিন্তু ঐ সময়ে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তীব্রতর । এই সম্বর্ধনা বিষয়ে নানা কারনে ক্ষোভ ব্যক্ত হয়েছিল । ঐ সময়ে পত্র পত্রিকায় গালিগালাজের নিদর্শন আছে , যথা –
১। ‘ বহুবাঞ্চিত ডি-লিট যখন নভেল লিখেই পাওয়া গেল এবং তা যখন রহমান সাহেবের ( বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলার ) হাত দিয়েই এলো তখন এই বটু চাটুজ্যে আতিশয্যে বলে ফেললেন , ‘ তিনি অতঃপর মুসলমান ভাইদের নিয়ে নভেল লিখবেন ‘ ।
২। ‘ হায় , শরৎচন্দ্র , তোমার এই প্রানের দায়ে কাঙালপনা দেখিয়া সত্যি তোমাকে কৃপা করিতে ইচ্ছে হয় ‘ ।
এই প্রসঙ্গে শরৎচন্দ্রের অভিমত খবুই স্বচ্ছ ও স্পষ্ট –
‘ উপাধি বিতরণের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলার লাট মহোদয় । যখন তাঁর সংগে আহার করছি তখন কথা প্রসঙ্গে হিন্দু মুসলমানের মনোমালিন্যের কথা ওঠে । সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন , আমি যদি আমার সাহিত্যে মুসলমান সমাজের কথা দরদের সংগে লিখি , তা হলে এই মনোমালিন্যের অনেকটা সুরাহ হবে এবং তাতে দেশের কল্যাণ হবে ।
আমি তাঁর এ কথায় সম্মতি জানাই । ভেবে দেখলুম তিনি কিছু অন্যায় বলেন নি । বাস্তবিকই , আমরা যতই মুসলমান সম্প্রদায়কে , আমাদের বিরুদ্ধবাদী বলে মনে করি না কেন , আসলে ওরা আমাদের দেশেরই – এখানেই সব । আমাদের যা মাতৃভাষা ওদের মাতৃভাষাও তাই । সত্যিকারের সহানুভূতি দিয়ে যদি তাদের কথা লিখি , তারা তা শুনবেই — না শুনে পারে না । ‘
( শরৎচন্দ্রের জীবনী ও সাহিত্যবিচার – ডঃ অজিত কুমার ঘোষ , পৃষ্ঠা -৩০০ , ৩০১ )
জীবনের জটিলতা , বাংলার গ্রাম্য জীবনের প্রতি গভীর মমতা , খাঁটি দরদী বাঙালী মন – শরৎসাহিত্যকে অসামান্য করেছে । তবে বাংলার মুসলমান সমাজ সম্পর্কে ধারনা কম ছিল । মুসলমান সমাজে স্ত্রী , নাতি নাতনি নিয়ে অন্দর মহলের বর্ণনা কিংবা ‘ পানি – আসসালামো আলাইকুম – ফুফু – খালা – চাচা চাচী ‘ র সম্পর্কের সুগভীর বাস্তব জ্ঞান ছিল না । তাই এই সব চরিত্রের ছবি তাঁর গল্প উপন্যাসে নেই ।
গ্রন্থ সহায়ক :
১। শরৎচন্দ্রের জীবনী ও সাহিত্যবিচার – ডঃ অজিত কুমার ঘোষ
২। শরৎ স্মৃতি – বিশ্বনাথ দে , সম্পাদিত ।
৩। ভারতের অতীত- ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে – অমর্ত্য সেন ।
৪। তিন কুড়ি দশ – অশোক মিত্র ।