প্রাণময় সতেজ জীবন
বাতাসে নাচে, কাশফুলে
দুলে, শ্বাস-প্রশ্বাসে খেলে
অনন্ত ব্রহ্মের সাথে পরম সৌন্দর্যে।
শরৎ জোসনার রাতে
মা দুর্গার পা স্পর্শ করে
ভক্তি জানাই জগতের
আদ্যশক্তিকে।
গাই গান, করি ধূপীয় নৃত্য
ঢাকের বাজনার তালে।
ত্রিগুণের রস-সত্ত্ব রজ তম
আমার সত্তায় মিশে আছে
চিত্তবৃত্তির খেলা খেলছে তারা
অহনিশি সৌন্দর্যের জলে।
ঈড়া-পিঙ্গলা ছেড়ে করি অবগাহন
সুষন্মায়, আত্মতত্বের খোঁজে
পদ্মাসনে বসে ভাবি দিবানিশি
নিজের স্বরুপে কখন কী বাজে ?
ব্রহ্মলগ্নে ধ্যান মুদ্রায় করি
জ্ঞানের সাধন,পরম আনন্দ
আর সৌন্দর্যের লীলাভূমির
দরজা খোলে,রাতের আকাশে
শরতের অপরুপ দেখে, আনন্দে
ভাসি সৎসঙ্গীদের নিয়ে
মা আদ্যশক্তির প্রসাদ পেতে।
পরম চেতনার খেলা
নিজ নয়নে দেখবো বলে
আহার বিহার ভুলে
অষ্টপ্রহর করি বায়ুর সাথে সংকীর্তন
পঞ্চভূতের দেহের মাঝে
খুঁজে ফিরি পরম সত্তাকে।
ভাবনার বদ্বীপে শুয়ে আছে
চেতনার জাতক চৈতন্য অবতার
মনের মন্দিরে, আবেগ সজ্জিত করে
ক্ষেপা বাবাকে পেতে।