আশিক মাহমুদ রিয়াদ
যতবারই আকাশে জমেছে শ্রাবণের মেঘ
ততবারই বৃষ্টি হয়েছে; তাতে রোদ থাকলেও হয়েছে।
কিন্তু বৃষ্টিটা হয়েছে; খেকশেয়ালের উল্লাস হয়েছে
যতবারই কেঁদে উঠেছে সদ্য ফোঁটা শিশু
ততবার হেসে উঠেছে সমগ্র পৃথিবী।
সেই শিশুর কান্না জাগে আজ যুদ্ধের ময়দানে।
বিস্তীর্ণ প্রান্তর একটু আগেও একপশলা বিমান হামলা হয়েছে।
নেই; কোথাও কেউ নেই। কোথাও নেই প্রাণের লেশ মাত্র।
স্রষ্টা বোধয় নিজেও নিঃসঙ্গতা পছন্দ করেন।
শিশুটির জন্ম হলো মেঘহীন তপ্ত আকাশে
শিশুটির নাকে ভেসে এসেছে বারুদ পোড়া গন্ধ।
শিশুটি প্রথমেই পেলো পৃথিবী নামক অভিশাপের গন্ধ।
সেই শিশু অভিশাপ দিলো সমগ্র ভ্রম্মান্ডকে
স্রষ্টা তাতে নিজেও অবাক হয়েছেন;
ততক্ষণে শিশুটি জেনেছে এ পৃথিবী; এ পৃথিবী বড় নিষ্ঠুর।
শিশুটি জানেনি এ মানুষ জাতে জাতে বিভেদ বাড়ায়
মানুষ বড়ই হিংস্র, নির্লিপ্ত, পাশবিক আরও কত কি!
শিশুটি যখন আঁকাশে ছিলো তারাদের ভীড়ে
সে মনে করেছিলো; সে মনে করেছিলো পৃথিবীটাও বোধয় একটা নক্ষত্র।
এ ছাড়া আবার কি?
কিন্তু ভুল; সে ভুল জেনেছে।
সে জন্ম নিয়েছে; সে জন্ম নিয়েছে নরকের প্রথম স্তরে।
যাকে অন্যপ্রান্তে; যাকে অন্যপ্রান্তে বলে স্বর্গ।
হায় ফুঁটফুঁটে; তুমি কি জানো না?
শহরে শহরে আজ শয়তান নেমেছে।
দেয়ালের গা বেয়ে নেমেছে অভিশাপ
আকাশ থেকে নেমে এসেছে এক ঝাক; এক ঝাক!
পাখি? না পাখি নয় নেমে এসেছে একঝাক মিসাইল
সেই ধ্বংসযজ্ঞে মরেছে তোমার মতো আর কত শিশু।
পৃথিবীর কত প্রান্তে; দিনশেষে তারাও মানুষেরই বাচ্চা।
আর তাদেরকে মেরেছে মানুষই!
বিধাতা কি অবাক হন না?
তিনি কেন খেলছেন এ ধৈর্য্যের খেলা?
রক্তের স্রোতে ভেসে গিয়ে সেই তো
মানুষেরই জন্ম হয়; এক বিস্তির্ণ যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রান্তরে!