১৮+গল্পগল্পথ্রিলার সংকলনপ্রথম পাতাপ্রথম শারীরিক সম্পর্কের গল্পবাংলা চরম উত্তেজনার গল্পশারীরিক প্রেমের গল্পসর্বশেষ

একটি নষ্ট গল্প [পর্ব-০১]

আশিক মাহমুদ রিয়াদ

দীর্ঘদিন ধরে ইচ্ছে করছে একটা শরীরকে কাছে টানতে৷ কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই কি হয় নাকি? আজকাল খোঁজ করলে চাঁদকেও হাতে পাওয়া যায়। কিন্তু দেহ চাইলে কি দেহ পাওয়া যায়? সামনের বিল্ডিংয়ের বেলকনিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি মেয়ের পায়েচারী খেয়াল করছে শাহিন, অপলক তাকিয়ে থাকে সেদিকে ব্যালকনিতে মৃদু আলো। মেয়েটির খোলা চুল, দুরত্ব বেশি নয়৷ মেয়েটি আন মনে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে, কানে কখনো মোবাইল থাকে। আবার কখনো থাকে না! দিনের বেলায় মেয়েটি কি কখনো ব্যালকনিতে আসে? শুক্রবার ছুটির দিন, সেদিন সারাদিন খেয়াল করা যাবে৷

রাতে ঘুম আসে না, দীর্ঘক্ষণ ঘুম আনার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কোলবালিশের সাথে দলামোচড় দিয়ে ক্ষাণিক নিজেকে শ্রান্ত করে নেয়৷ এরপর ভাবে কোন সম্ভোগের নগ্ন দৃশ্য৷ হঠাৎ আচমকা কোন দু:স্বপ্নে তার ঘুম ভেঙে যায়, সারা শরীর হয় ঘর্মাক্ত। বাইরে বিদঘুটে বিড়ালের ডাকাডাকি শব্দ, রাতের নিরবতায় রুম জুড়ে শোনা যায় বাটাবাটির শব্দ। কখনো বা মেঝেতে কোন কিছু টানার শব্দ। এরপর কখন ঘুমিয়ে পড়ে তা ঠিক আন্দাজ করতে পারে না।




নাহিদা ম্যাম অসম্ভব কামুক একজন মহিলা, তার স্বামী কি তাকে পুরোপুরি সুখ দিতে পারে? ম্যাম কি সুখি? ম্যাডামের চোখের দিকে চোখ ফেলে শাহিন বলে, ওকে ম্যাম। আই হ্যাভ ইওর ইন্সপিরিশেন আই থিংক আই গ্রো আপ ফাস্ট।’
নাহিদা ম্যাডাম ক্ষাণিক হেসে বলে, ওয়েল। ইউ হ্যাভ টু গো নাও। ভালো মতন কাজ করুন। বেস্ট অফ লাক। শেষ বার নাহিদা ম্যাডামের রুম থেকে বেরোনার আগেতার শরীরের দিকে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নেয় শাহিন। নিজের চেয়ারে গিয়ে বসতেই নিজের উথিত পৌরষত্বের প্রতিক যেন বিক্ষোভের আন্দোলনে জাগ্রত হয়ে ওঠে।

[ নিচের বিজ্ঞাপনে  ক্লিক করুন]




২.
তার গলায় তখন চলছে চুম্বনের চুম্বকীয়তা। মেয়েটি নিশ্বাস ঘণ হয়ে ওঠে, কপাল থেকে নামে চুম্বনের নগ্ন নৃত্য, এরপর নামে বুকে। হাত দিয়ে ছোঁয় সব থেকে নমনীয় কোন বস্তু, পেট থেকে নাভির নিচ পর্যন্ত নামতেই এলার্মের কর্কশ শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ততক্ষণে যা হবার হয়ে গিয়েছে!

এটা না হলে আরো কিছুক্ষণ গড়াগড়ি করে বিছানায় কাটানো যেতো, বাথরুমে গিয়ে সকালের গোসলের সাথে রাতে অসম্পুর্ণ স্বপ্নটায় আরেকবার চোখ বুলিয়ে নেয়। অস্বস্তিকর ঝাকুনিতে বমি করে শক্ত হওয়া শিসদণ্ড, যেটাকে সঠিক সময় কাজে লাগাতে না পারলে কাপুরুষ বলা হয়। এভাবেই হয় দিনের শুরু, জ্যাম উপেক্ষা করতে হলে ভোর বেলাতেই বের হওয়া ভালো। ততক্ষণে আলোকিত হয়েছে চারপাশ, নতুন দিনের উত্থান গড়িয়ে উপসংহারের পরিণতির উপখ্যান। বৃহস্পতিবার! হোটলে ঢুকে গরম গরম বাসি তেলের পরোটা খাওয়ার সাথে সাথে মোবাইলের ক্যালেন্ডারে তারিখটা চোখ বুলিয়ে নেয় একবার। আগামীকাল তাহলে পাহাড়া দেওয়ার দিন। নারীকন্ঠের আওয়াজ পেতেই, পরোটা মুখে দিয়ে পেছনে ফিরে তাকায় শাহিন। চোখ বুলিয় নেয় মেয়েটার সারা শরীরে, মেয়েটির চোখে চোখ পড়তেই ক্ষাণিক বিড়ম্ব হয়ে আবারো পরোটা চাবানোয় মুখ দেয়। ক্ষাণিক বাদে আবারো তাকিয়ে দেখে মেয়েটির বক্ষ বৃক্ষে! কি অদ্ভুত জাগতিক বাসনা তাকে ঘিরে ধরে মুহুর্তে, তার পৌরষবোধ সত্ত্বা জেগে ওঠে৷ ঠিক তখনই রাস্তা দিয়ে বিরক্তির হর্ণ বাজিয়ে একটা বাস বেরিয়ে যায়। উত্থান হওয়া অপ্রাপ্তির কল্পনার অবসান ঘটে এখানেই।

[ নিচের বিজ্ঞাপনে  ক্লিক করুন]




৩.
অফিসে ঢোকার সাথে সাথে বসের রুমে ডাক পড়ে তার। নাহিদা ম্যাম, ভীষণ কাটখোট্টা একজন মানুষ হলেও তার রূপের গাঙের বাণের জলে মুগ্ধতায় তার দিকে কিছুক্ষণ পর পর তাকিয়ে থাকে শাহিন।

বিথি শাহিনের অফিস কলিগ। দীর্ঘদিন তারা পাশাপাশি ডেস্কে কাজ করেছে। বিয়েরপর বিথি অসম্ভব রকমের নির্যাতন হতো, অফিসে এসে সারাদিন গোমরা মুখে বসে থাকতো। শাহিনের সাথে অবশ্য বিথির খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছিলো, সম্পর্ক গড়ায় প্রণয়ে! একদিন রেস্টুরেন্টের বিশেষ টেবিলে তিথিকে কাছে টেনে ঠোটে ঠোট

‘আপনার গত মাসের রিপোর্টটা ভালো ছিলো, ওয়েল অ্যানালাইসিস। বাট ইউ হ্যাভ টু নো, হাউ ইউ ইপ্রেস ইওর ক্লাইন্ট’, মিষ্টি কন্ঠে ইংরেজীর সাথে সাথে ঠোটের নাচনির নগ্ন নৃত্য তার হৃদয়ে সমুদ্র সাফেন ঢেউয়ের বাণ আনে। নাহিদা ম্যাম অস্মভব কামুক একজন মহিলা, তার স্বামী কি তাকে পুরোপুরি সুখ দিতে পারে? ম্যাম কি সুখি? ম্যাডামের চোখের দিকে চোখ ফেলে শাহিন বলে, ওকে ম্যাম। আই হ্যাভ ইওর ইন্সপিরিশেন আই থিংক আই গ্রো আপ ফাস্ট।’
নাহিদা ম্যাডাম ক্ষাণিক হেসে বলে, ওয়েল। ইউ হ্যাভ টু গো নাও। ভালো মতন কাজ করুন। বেস্ট অফ লাক। শেষ বার নাহিদা ম্যাডামের রুম থেকে বেরোনার আগেতার শরীরের দিকে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নেয় শাহিন। নিজের চেয়ারে গিয়ে বসতেই নিজের উথিত পৌরষত্বের প্রতিক যেন বিক্ষোভের আন্দোলনে জাগ্রত হয়ে ওঠে। এ বয়সে এসব কমন ব্যাপার ! অদ্ভুত অকারণে উড়িয়ে দেয়া যায়।

এ ধরণের আরও লেখা পড়তে (এখানে ক্লিক করুন)




শুক্রবার একটু দেড়িতেই ঘুম ভাঙে শাহিনের। দেড়িতে ঘুম ভাঙার কারণে, ক্ষাণিকটা আফসোস হয় তার। সকালের কাজের মহিলাও আজ আসেনি। অবশ্য এবারের কাজের মহিলাটার ফিগারও বেশ। একবার একজনকে প্রস্তাব দিয়ে ক্ষাণিক বিড়ম্বনায় পড়েছিলো শাহিন। ‘আমার দুটো ছোট ছোট ছেলে মেয়ে আছে, এইসব আমার দ্বারা হইত না ভাইয়া। আফনে বিয়া করেন ভাইয়া। আপনার যৌবনের তাড়না উঠছে।’ এরপর থেকে আর সেই মহিলা আসেনি। বাড়ি ওয়ালার দিকে দেখা হলেই শাহিনের দিকে সে কেমন কৌতুহলী হয়ে তাকাতো, যেন শাহিনকে যতটা ভালোভেবে ঘর ভাড়া দিয়েছিলো ঠিক যেন আশাহুত হলো। শাহিনকে সে এলাকা ছাড়তে হয়েছিলো মাসখানেক বাদেই। একদিন সন্ধ্যে বেলায়, “একটি রিকশা তার সামনে এসে দাঁড়ায়, আমার বউরে কু প্রস্তাব দেস খানকির পুত? এক্কেবারে জায়গায় বেরেক কইরা দিমু।’ রিকশাওয়ালার কথায় ক্ষাণিক আহত হয়ে চারপাশে তাকিয়ে বিব্রত অবস্থায় হাটা শুরু করে। এর মাস খানেক যেতে না যেতেই শাহিনের পৌরষত্ব নাড়া দিয়ে ওঠে!



শুক্রবার সারাদিন মেয়েটিকে ব্যালকনিতে না দেখতে পেয়ে আশাহত হয়ে, সিগারেট ধরিয়ে ফুরফুর করে ধোয়া ছাড়ে শাহিন৷ অদ্ভুত এক সম্মোহন কাজ করে তার শরীরে, ফেসবুকে স্ক্রল করতে করতে চোখ আটকে যায় বিথির প্রফাইল এর দিকে। বিয়ের পরে মেয়েদের শরীরে অদ্ভুত এক পরিবর্তন আসে। ডিভোর্সের পরে বিথির চেহারায় যেন ঠিক সেরকম পরিবর্তন এসেছে। বিথি শাহিনের অফিস কলিগ। দীর্ঘদিন তারা পাশাপাশি ডেস্কে কাজ করেছে। বিয়েরপর বিথি অসম্ভব রকমের নির্যাতন হতো, অফিসে এসে সারাদিন গোমরা মুখে বসে থাকতো। শাহিনের সাথে অবশ্য বিথির খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছিলো, সম্পর্ক গড়ায় প্রণয়ে! একদিন রেস্টুরেন্টের বিশেষ টেবিলে তিথিকে কাছে টেনে ঠোটে ঠোট……..(চলবে)

 

‘একটি নষ্ট গল্প’ এর দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

 

পরের পর্ব পড়তে চাইলে কমেন্ট করুন। অথবা ডানপাশের লাল নোটিফিকেশন বাটনে ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন। 

“আপনার সামান্য উৎসাহ আমাদের অনেক বড় করে তুলবে।” সাবস্ক্রাইব করুন – ছাইলিপির ইউটিউব চ্যানেল]

এই লেখাটি শেয়ার করুন
ছাইলিপির ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

ছাইলিপির কথা

লেখালিখি ও সৃজনশীল সাহিত্য রচনার চেষ্টা খুবই সহজাত এবং আবেগের দুর্নিবার আকর্ষণ নিজের গভীরে কাজ করে। পাশাপাশি সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্য বিশেষ তাগিদে অনুভব করি। সেই প্রেরণায় ছাইলিপির সম্পাদনার কাজে মনোনিবেশ এবং ছাইলিপির পথচলা। ছাইলিপিতে লিখেছেন, লিখছেন অনেকেই। তাদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। এই ওয়েবসাইটের প্রতিটি লেখা মূল্যবান। সেই মূল্যবান লেখাকে সংরক্ষণ করতে লেখকদের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। কোন লেখার মধ্যে বানান বিভ্রাট থাকলে সেটির জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। ছাইলিপি সম্পর্কিত যে কোন ধরনের মতামত, সমালোচনা জানাতে পারেন আমাদেরকে । ছাইলিপির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ছাইলিপির নতুন সংযোজন ছাইলিপির ইউটিউব চ্যানেল Chailipi Magazine। সাবস্ক্রাইব করার আহ্বান।

error: কপি করা থেকে বিরত থাকুন ! বিশেষ প্রয়োজনে ইমেইল করুন [email protected]