কবিতা সমাজ বাঁচায়
আমার অতীতের কাছে একদিন সবায়কে নিয়ে যাবো।
কেমন ছিলাম আমি, কেমন ছিলো রাত্রিযাপন।
মদের সাথে পানির সমন্বয়হীনতা কিংবা সমাজতন্ত্রের সাথে পুঁজিবাদ – কোন কিছুই গোছালো ছিল না।
না চিলেকোঠার রুম,না বিছানার চাদর!
মনের ক্যানভাসে নিকোটিনের অভিমান,
জীবন্ত হয়ে ওঠা সদ্যজাত অ্যালকোহল-এখনো আমাকে ধমক দেয়।
হুমকি দিয়ে বলে কী অপরাধে আজ সে মাতাল?
সমাজ তো কখনো মাতালের কারণে ধ্বংস হয়নি, ধ্বংস করেছে যতসব জ্ঞানপাপীরা।
তাহলে কেন সে নিষিদ্ধ?
র্যাডক্লিফ লাইন হতে আবেগের দেশভাগ, আমাকে উপহার দিয়েছে কেবল ঝুলন্ত লাশ!
সীমানার সংঘাত ক্রুশবিদ্ধ করেছে একেকটি মানচিত্র,
পতাকার গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে পবিত্র জাতীয় সংগীত।
বরাবরের মতোই এবারোও আমি প্রতিবাদী প্রেমিক!
আমার অবস্থান শান্তির পক্ষে, আমার অবস্থান কবিতার পক্ষে।
কবিতার একেকটি লাইন পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী!
যুগে যুগে কতশত নেতা-ভূপতি এসেছে, শোষণ করে নিয়েছে জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার।
কেউ কী পেরেছে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার?
অথচ একটি কবিতা বেঁচে আছে,
শত বছরের পুরনো কবিতা।
সাক্ষী হয়ে দেখিয়ে দেয় বর্বরতার বিভীষিকা।
কবিতা কখনো ঠকায়না,
কবিতা সমাজকে বাঁচায়!
রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা