কবি জীবনানন্দ দাশ গ্যালারিকবিতাপ্রথম পাতাপ্রেমের কবিতাভালবাসার কবিতাভালোবাসার কবিতারোমান্টিক কবিতাসর্বশেষসাপ্তাহিক সংখ্যা

  কিছু তোমার অজানা- নেহাল মাহমুদ

অনেক তো হলো, পেরিয়ে গেছে অনেকটা দিন।
সময়গুলো দিন,মাস,বছর,যুগের হিসাব করে জীবনটাই হয়তো থেমে যাবে কোন একটা মূহুর্তে আমার এপারে।
মনে হয় সব বৃথা, জীবনের সমস্ত আয়োজন স্থবির করতে ইচ্ছে হয় খুব,
উড়ে যেতে ইচ্ছে হয় মেঘে মেঘে অতীতের জলবায়ু ধরে,
কি আর হবে মায়া বাড়িয়ে, জীবনের কোন প্রেরণা কি তোমার অধিক দামি ছিলো কোনকালে?
আজ তবে কোন সাহসে দাড়াই জীবনের সম্মুখে শুধু সম্ভাবনার উৎসাহে!
সত্যিই কি পূরণ হবে তোমার ক্ষতিপূরণ!
কোন এক কাঠফাটা দুপুরে হয়তো কোন অভাবই ছিলোনা, প্রাপ্তিতে টুইটুম্বর করতো জীবনের সঞ্চয়।
প্রতি মূহুর্তে হৃদয়ের ছায়ার আশ্রয় নিতো অগণিত প্রজাপতি!
তারপর হঠাৎই  তোমার কাছে চেয়ে বসলাম জীবনের শেষ উৎসাহ,
হয়তো একটু ভালোবাসাই চেয়েছিলাম,
আগুন জ্বলে উঠলো সহসা তোমার হৃদয়ের সমস্ত আবরণ জুড়ে
বিস্তারের ও বিন্যাসের অপেক্ষায় তারপর একাকি চেয়ে রইলাম জীবনের আরো কয়েকটি বছর,
আমার দোষ ও অপরাধ যা কিছু অপবাদ ও অপমান সমস্তটা মাথা পেতেই নিলাম।
বন্ধুত্বের নামে অপরিমিত ভালোবাসার যতটুকু বৈধতা ছিলো প্রায় সবটাই উজাড় করে দিয়েছিলাম,
ভেবেছিলাম এবার হয়তো তুমি বুঝবে ঠিক কতটা মুদ্রিত জায়গা আছে আমার অন্তরে তোমার জন্য!
কিন্তু প্রতিবারেই তুমি আমার ভালোবাসার দান থেকে টুকে নাও খুবই সামান্য, কখনো নিয়মরক্ষার হাসি কিংবা নামের ধন্যবাদ বলেই পরিশোধ করে দিতে চাও সমূহ নতজানু হৃদয়ের মূল্য।
তারপর অজান্তেই আড়াল করে নিলাম নিজেকে তোমার অবহেলার ক্রমাগত সৌন্দর্য থেকে।
কিন্তু তুমি হয়তো জানো না, কতটা জোনাক তারার মেলা বসে রোজ মধ্যরাতের বিরহ উৎসবে,
শেষ রাতে অশীতিপর চাঁদের লালচে আভার প্রতিটা মূহুর্তের ক্ষুদ্র একক জুড়ে শুধু তুমিই থাকো,
শ্রাবণ দিনে হুডতোলা রিকশায় চুপি চুপি ঠিকই চলে যাই তোমার গলির মুখে,
একা একা স্মৃতিচারণ করি কলেজ দিনের  শত বৃষ্টিভেজা দিনের প্রতিটা বৃষ্টি ফোটাকে।
তোমার দেয়া একমাত্র চিঠিতে লেগে থাকা আমার সমস্ত দীর্ঘনিঃশ্বাস এখনো তোমার কন্ঠে গান গায়,
শেষ বিকেলে আমিও স্পর্শ করতে পারি তোমার সবকয়টা গোধূলি
 সব কয়টা দৃশ্যপটে তোমার অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার করতলে আমিও ছোঁয়ে আসতে পারি তোমার মোহনীর দৃষ্টির উপসংহার,
সমস্ত নিকোটিনের ধোঁয়া তোমার প্রতিবিম্ব প্রতিষ্ঠার তরে আত্মত্যাগ করে যায় সহসা একের পর এক পুষ্পের সম্মোহন।
দিনলিপি লেখার ডায়েরীর ক্রমাগত রক্তক্ষরণের পিঠ চাপড়ে সান্ত্বনা দিতে পারি আমিও,
 তুমি হয়তো জানো না,আমিও বেঁচে থাকতে পারি একমুঠো মধ্যাকর্ষন আকড়ে ধরে সন্ধ্যার নিশ্ছিদ্র দেয়াল জুড়ে।
তুমি ঠিকই চলে গেছ,
ফিরবে না তাও জানি
কিন্তু তুমি হয়তো জানো না, কতটা নির্লীপ্ত অনুপস্থিতি থেকে যায় তোমার না থাকা জুড়ে।
এই লেখাটি শেয়ার করুন
ছাইলিপির ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

ছাইলিপির কথা

লেখালিখি ও সৃজনশীল সাহিত্য রচনার চেষ্টা খুবই সহজাত এবং আবেগের দুর্নিবার আকর্ষণ নিজের গভীরে কাজ করে। পাশাপাশি সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্য বিশেষ তাগিদে অনুভব করি। সেই প্রেরণায় ছাইলিপির সম্পাদনার কাজে মনোনিবেশ এবং ছাইলিপির পথচলা। ছাইলিপিতে লিখেছেন, লিখছেন অনেকেই। তাদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। এই ওয়েবসাইটের প্রতিটি লেখা মূল্যবান। সেই মূল্যবান লেখাকে সংরক্ষণ করতে লেখকদের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। কোন লেখার মধ্যে বানান বিভ্রাট থাকলে সেটির জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। ছাইলিপি সম্পর্কিত যে কোন ধরনের মতামত, সমালোচনা জানাতে পারেন আমাদেরকে । ছাইলিপির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ছাইলিপির নতুন সংযোজন ছাইলিপির ইউটিউব চ্যানেল Chailipi Magazine। সাবস্ক্রাইব করার আহ্বান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করা থেকে বিরত থাকুন ! বিশেষ প্রয়োজনে ইমেইল করুন [email protected]