কয়েকটি অণুকবিতা
ব্যর্থ এ জীবন
সন্ধ্যা না ভাই, সমস্ত রাত গেল আমার শুঁড়িখানায়
ব্যস্ত ছিলাম নগ্ন নারী, নর্তকীদের চুড়ি নাড়ায়।
নেশা
নর্তকীদের নূপুর কিংবা ঢোলের ঢঙে যাচ্ছি নেশায় গড়িয়ে
রাত ফুরায়ে ভোর হয়েছে, কাঁপছি আমি⎯ পড়ছে আলো ছড়িয়ে।
শুঁড়িখানা
এখান থেকে আর যাব না পাখি কিংবা নরম তুলো নদীর কাছে
শীৎকার এবং ষড়ৈশ্বর্য⎯ শুঁড়িখানায় জোছনা-তারা সবই আছে।
বিষ প্রয়োজন
মৃধা আলাউদ্দিন
শুঁিড়খানার নরম দেহ, কাবাব ভুনা, আদিরসের নিষ্প্রয়োজন
কান্নাভেজা জীবনে আজ আমার দেখি সবার আগে বিষ প্রয়োজন।
শুঁড়িখানায়
মধ্য রাতে শুঁড়িখানায় এমন করে দিলে যখন হাত ছেড়ে
নীল ব্যথাতে বুকের ভেতর শব্দ হলো যেমন করে কাঠ চেড়ে…
যৌবন
জীবন কেনো যায় না ধরা, যায় না ধরা⎯ নারীর দেহ নদীরে
আমার কথা বলব সবি শুঁড়িখানায় খোদারে পাই যদিরে।
তোর জন্য
শুঁড়িখানার চারদেয়ালে লিখে দিলাম তোর কথা
সন্ধ্যা হলে একলা থাকি, সয়না বুকে নীল ব্যথা।
আমিই কবি
শুঁড়িখানায় ঢুকেই দেখি রঙমহলে নগ্নদেহ, তোর ছবি
সত্যি বলি আর কিছু না, তখন থেকে এই শহরে আমিই কবি।
একটু দেখি অল্পক্ষণ
শুঁড়িখানায় একলা থাকি চোখের জলে সারাক্ষণ
কোথায় গেলি আয় না কাছে, একটু দেখি অল্পক্ষণ।
দ্বার খুলে দে শুঁড়িখানার
মিনার থেকে ডাক দিয়ে কয় আয়রে সাকি দ্বার খুলে দে শুঁড়িখানার
জীবনযুদ্ধে ছুটবে এখন মানুষগুলো⎯ চাল কল এবং গুঁড়িখানার।
নিরুপায়
হঠাৎ দেখি হুর-পরি না কারা যেনো নূপুর কিংবা নুড়ি নাড়ায়
গভীর রাতে একলা আমি বেহেড মাতাল কাঁপতে ছিলাম শুঁড়িখানায়।
কবি
মানুষের ষড়ৈশ্বর্য, শুঁড়িখানা⎯ আলোর বয়ান
কবিদের রাগ নেই, রোগ নেই⎯ কবিরা জোয়ান।