পাঁচটি কবিতা
মুহাম্মদ রফিক ইসলাম
কবিতাঃ (০১)
প্রেম, শাড়িতেও বোনা যায়
অনাবৃষ্টির কোলে
শালুক বোনা মাঠ।
রোদ্দুর চিরে উত্তরীবায়ু
পাখনা ম্যালে।
ব্যাঙের নাকে গন্ধ
মেঘ!
মেঘ ওড়ে,
বিড়ালপায়ে হাঁটে চাতকের ঠোঁট।
শ্রাবণের কান্নায়
কিশোরীর বুক
বৃষ্টির শরীর!
(কবিতাঃ ০২)
সম্পর্ক, তরলের পথেই হাঁটে
স্ত্রীয়ের পাশে
পঙ্গু স্বামীর ইচ্ছে যায় না
অক্ষমতার দড়ি পেঁচিয়ে
ভোর দুপুর রাতে গরম ধোঁয়া
দীর্ঘশ্বাস
অভাবের ঘরে মন খারাপের
সুসময় আসে না
নিয়তির পাশে নিয়মের আবেগ
অভাগার চাষ
দুই মুখে চার মুখ আট পা
হতভাগার ঘর অভাগার আঁতুড়
আজন্ম নরক
পেট চেপে
পাশবালিশ ভাংতি পয়সায়
বিছানা বদলে
মুখ বুজে দাঁত কামড়ায়
ভোর-বিহানে ভাতের গন্ধ বেরোয়
বাতাসের চুলে!
(কবিতাঃ ০৩)
কবিতার ভিতরে কবিতা
অতঃপর…
প্রেম
টানা দুইযুগ
চব্বিশটি বছর
এরি মধ্যে
ঘুণপোকার রাজত্বে
কবিতার পান্ডুলিপি
ধবল সন্ধ্যায় সাদা মেঘ
প্রতীক্ষার যতো পালক
অক্ষরে
শব্দমালা ভাঙ্গে
কবিতা হলো না
তারেও বলা গ্যালো না
ভালোবাসি
কবিতাঃ (০৪)
পাখির যতোকথা
তোমারে ভাবলে ঘোরে পেয়ে বসে
ঘোরে, ঘুরপাকে সুখ থাকে
পাখি
গল্পের ভিতর গল্প
পাখি অন্যগাছে
বসন্ত
পাখিভাবনায় পাখি
ফাগুনের রাত সাদা কাশবন
কবিতাঃ (০৫)
পড়শীর আঙিনায় বসন্ত ওড়ে
ডাকপিয়ন চলে যাবার পরেত্তে
বুক পকেটের প্রেম
টেবিল, বিছানা, কোলবালিশ ছাড়িয়ে
লবণপানির স্রোতে…।
রাতবিকেল; শুকতারা জ্বলে,
সোনালি আলোয় কালো চিরকুট
শোকের বাতাসে ওড়ে!
কাকডাকা ভোরে সানাইয়ের গীত,
নীল স্বর;
কিশোরের বুক চৈত্রের দুপুর।
হলুদের বরণে
কিশোরীর হৃদয় তবু সবুজ উঠোন!