হাবুসু : সাপ থেকে তৈরী হয় যে পানীয়
“সাপ” শব্দটির নাম শুনলেই আতংকে বুকধড়ফড় শুরু হয়। সাপের সাথে আমাদের সখ্যতা- ভয়ের রাজ্যে পৃথিবী সর্পময় এর অনুরূপ। ছোটবেলা থেকে কর্ডাটা পর্বের এই সরীসৃপের সাথে আমাদের কারোরই সখ্যতা খুব বেশি একটা ছিলো না। অবশ্য বুড়োদের কাছ থেকে সাপের গল্প,বেঁদেদের সাপের খেলা কিংবা সাপের সাই-ফাই মুভির সাথে আমাদের সখ্যতা আছে।
অ্যান্টার্টিকা মহাদেশ ছাড়া বিশ্বের সব দেশেই সাপের বিচরণ রয়েছে। বিষধর সাপে দংশন করলে এবং যথাসময়ে চিকিৎসা না করা হলে তা থেকে হতে পারে মৃত্যু। আবার সাপের বিষ থেকে তৈরী হয় ওষুধ।
তবে এবার খানিকটা নড়ে চড়ে বসতে হবে। আপনি কি ছোটবেলায় সাপের পা দেখার গপ্প শুনেছেন? কিংবা সাপ নিয়ে ভাবতে ভাবতে হয়ত খানিকটা অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছেন এমন সময় আপনার পাশ থেকে কেউ এসে আপনার গায়ে একটু হাত বোলালো। আপনি আচমকা চমকে উঠলেন সাপ ভেবে৷
ধরুন,আপনি আপনার জন্মদিনে আপনাকে আপনার বন্ধু সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা একটি জার দিলো। আপনি আইস্ক্রিম কিংবা চকলেট ভেবে জার খুলেই দেখলেন বয়মের ভেতরে একটি কুন্ডুলী বিষধর সাপ ভাইপার।
বলছিলাম জাপান,চীন এবং ফিলিপাইনের বিখ্যাত পানীয় হাবুসুর কথা। সাম্প্রতি এর জনপ্রিয়তা দক্ষিন কোরিয়াতেও দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।

[বিষধর রাসেল ভাইপার ]
স্নেক ওয়াইন কিংবা হাবুসু হচ্ছে সেই পানীয় যার বোতলে আস্ত বিষাক্ত ভাইপার সাপ ছেড়ে দেওয়া হয়। নিঃসন্দেহে আপনার মনে কৌতুহল জাগতে পারে৷ এ পানীয় কি মানুষ আত্মহত্যার জন্য পান করে? ভাইপার তো বিষধর সাপ। তাহলে বলছি বিষের ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত হবেন না। পানিয়র মধ্যে থাকা এলকোহল বিষকে নিস্ক্রিয় করে দেয়। ভাইপার না খেয়ে প্রায় বছরখানেকের মতো সুস্থ সক্ষ থাকতে পারে। এদের সঙ্গমকাল সুদীর্ঘ সময় ধরে সংঘটিত হয় বলে অনেকেরই ধারনা এই পানীয় শরীরের শক্তি, শারিরীক সক্ষমতা এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
স্নেক ওয়াইন প্রস্তুত কারক জারের মধ্যে সাপ না দিয়েই বাজারজাত করে। তবে কেউ কেউ জারের মধ্যে আস্ত একটি সাপ দিয়েই এটি বাজার জাত করে থাকে।