সাকিব হোসেন নাঈম এর কবিতা

সাকিব হোসেন নাঈম এর কবিতা

সাকিব হোসেন নাঈম

তাফালবাড়ি ময়দানে একবার
মাহফিল হইতে চলিল।
খাদেম সাহেব বারেক মিয়াকে
চান্দা তুলিতে বলিল।
বারেক, সে যে অতিশয় বুড়ো
হৃদরোগ আছে তার।
এপর্যন্ত সে হার্ট এটাক করেছে
তিন তিনটি বার।

দুটি থলে এক বস্তা নিয়া
চলিল বুড়ো সাথে দুজন নিয়া।
এ বাড়ি ও বাড়ি মাগিলো যে ভিখ
মাহফিলের বায়না দিয়া।
কেউ দিল চাল বুলেট আবার
কেউ দিল চাল মোটা,
কেউ দিল তারে পান খাইতে
কেউবা দিল খোটা।
গ্রামের পিচ রাস্তা দিয়া
তাহারা হাটিয়া যায়।
দু ‘ চার পেয়ালা করিতে করিতে
থালেটা ভরিছে প্রায়।
সামনে পরিল নামি-দামি সেই
ফকির বাড়ির দ্বার।
ভাবিল বুড়ো,এ বাড়ি গেলে
পাইব অনেক চান্দা।
সম্মানী সব লোকেরাতো হায়
এ বাড়িরই বাসিন্দা।
করিম মাষ্টার জাকির ফকির
মোশাররফ ডাক্তার,
তিন ঘরে গেলেই থলে ভরিবে
সন্দেহ নাই তার।
প্রথম ঘরে; ডাক্তারবাবু
আছেন নাকি ঘরে?
কে ওখানে? দেখা যায়
ঐ ঘরের খুঁটিটা নড়ে।
আমরা মাগো মাহফিলের ভিখ
মাগিতে আসিয়াছি।
দয়া করে মাগো চান্দা হিসেবে
দেও কিছু দেকিনি।
ঘর হইতে বের হইয়া আসিল
মোটাসোটা একটা কে!
শুনিল বুড়ো সে যে ডাক্তারবাবু
মোশাররফের মেয়ে।
আসিয়া বলিল, চাল নাই ঘরে
রাধিব কি জানিনা।
কহিল বুড়ো, তবে ভাত কি
আপনারা খান না?
ভুটকিটা বলে, আসিছে ভিক্ষা
করিতে আবার চটাং চটাং কথা ব্যাটা বেয়াদব।
বুড়ো মনে মনে কয়,
কি ভিখ মাগিতে আসিয়াছি খোদা কটু কথা শুনিতে হয়।
বাবার বয়সি বুড়োকে যে মেয়ে
বেয়াদব বলিতে পারে।
তার মতো বেয়াদব এ জগতে
কি আর দুইটা হইতে পারে?

.

সুবিদপুর, নলছিটি, ঝালকাঠি।

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
মড়ক

মড়ক

আশিক মাহমুদ রিয়াদ এ গাঁ থেকে মানুষজন দিন দিন নাই হয়ে যাচ্ছে। কি ব্যাধি এসে ঢুকলো গ্রামে। সব মানুষজনকে ডলে মেরে ফেলছে। এই তো ক’দিন ...
মোহময় থাক রোদ্দুর

মোহময় থাক রোদ্দুর

 মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস আমি যদি চলে যাই ফুল দিও শুধু রাশি রাশি, কান্না নয়, কুন্দ আর কুমুদ, কাঞ্চন, রজনীগন্ধা গোছা আলগোছে রেখে দিয়ো ঘরে৷ ছবিরও ...
পটাদা ফিরে এসেছে

পটাদা ফিরে এসেছে

শুভ্র শোভন রায় অর্ক চায়ের দোকানের ঝুপড়িতে ধুমধ্রাম চাঁটির আওয়াজ শোনা গেলো কয়েকটা। পটাদা পায়ের উপর পা তুলে বসা। পরনে কালো জোব্বার মত কি জানি ...
ফ

ফ বাংলা ভাষার বাইশতম ব্যাঞ্জনবর্ণ হলো- ফ। ফ অক্ষরটি বাংলা বর্ণমালার তেত্রিশতম অক্ষর। ফ এর সাথে যখন আ যোগ হয়(+) তখন – ‘ফা’ হয় আবার ...
ছেলেবেলার ঈদের খুশি

ছেলেবেলার ঈদের খুশি

ইমতিয়াজ সুলতান ইমরান কিছু স্মৃতি, কিছু প্রীতি, যায় না ভোলা কভু স্মৃতির মায়া, প্রীতির মায়া, হয় না জবু-থবু। কিছু স্মৃতি বিশেষ ক্ষণে মনটা নাড়ে ঠিকই ...