মোঃ রাসেল শেখ
হে প্রিয় জ্বালাময়ী বঙ্গ-
তোমার তরে,সহস্রবারে করি শির নত-
যাহা আজও অব্দি রয়েছে বহিবিশ্বে চির উন্নত অক্ষত।
পেয়েছি তোমায়-ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ঘামের বিনিময়ে-
মাতৃ গর্ভ হতে স্বাধীনতা এসেছে সু দীর্ঘ ন’টি মাসের ত্যাগের সমন্বয়ে।
মনে আছে কী?
সেই ভয়ালো দুর্দিনে! যদি না থাকতো-
দূর্ভীক মায়ের লাখো,কোটি অকুতোভয় বীর সন্তান।
অচিরেই হারিয়ে যেত এ স্বর্গ কুঠিরের মহামূল্য মান;
টগবগে তরুণ রক্তের বিনিময়ে করেছিলো যারা মৃত্যু পণ।
রাখিতে তারা বেপরোয়া বঙ্গ মায়ের মুখের মান-
তাইতো সহিয়া ছিলো ঐ নরপিশাচদের অগণিত অপমান।
যারা ঢেলে দিয়েছিলো বুকের হাহাকার ঝরা রক্ত!
ওরা লুটেছিলো আমারি মা বোনের পবিত্র মণি মুক্ত!
তাহা সহিতে না পেরে শক্ত হাতে ধরিলো বঙ্গের হাল;
ধৈর্য্য ধরতে হয়েছিল পিতা মোর একটু বেসামাল!
তবুও মনে একেঁছিলো মুক্ত আকাশে বাঁচিবার জাল-
শত্রুর মনে আনিলে আঘাত,হয়েছিলে চোখের কাল।
মরণ কোলে,ঢেলে দিয়েছিলো ঐ পাক বাহিনীর পাল;
তবুও তুমি উড়িয়েছো স্বাধীনচেতা সবুজের বুকে লাল!
হৃদয়ে হাহাকার কত তিক্ততা কত যন্ত্রণার দহন!
নিরবে সহেছো পিতা তুমি অকথ্য কঠোরও কথন?
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে কপালে বেঁধেছিলে কাফন!
বাংলার মাঁটিকে মু্ক্ত করতে বারংবার হয়েছো দাফন!
জাতীর অব্যহতির জন্যে চলছিলে অধির তৃপ্তিতে-
এ বঙ্গের কোমলমতি মানুষের আহাজারিতে।
মৃত্যুর ভয়ও তোমাকে পারেনি রুখতে-
পারেনি ওরা তোমায় দমিয়ে রাখতে!
তুমি তো সদা চেয়েছো বাঙালির নিষ্কৃতি-
এ উদ্দম সাহসী মানবের একত্বের শক্তি।
অবশেষে হলো হায়নার করুন দূর্গতি!
কিন্তু হায়! নির্বোধ বেহায়া কালজয়ী জাতি?
বুঝতে পারেনি তারি দেওয়া দারিদ্র্যের যুক্তি!
সপরিবারে তোমারি নিতে হলো চিরতরে মুক্তি!
উত্তাল রক্তঝরা,নির্মম পনেরই আগষ্টেতে!
সেই বিভীষিকা মনে পড়ে এ শোকাবহ রজনীতে।
তুমি তো মরণি,মরেছে ঐ নির্বোধ বেহায়া জাতি-
তোমার অভাবে আজও কাঁদে সবে দিবা-রাতি।
তোমার শেষ নেই,তুমি যে বিশ্বমাতার-চীর উজ্জীবিত নেতা
তোমার মরণ নেই,ক্ষয় নেই,হে বিশ্ব রাজনীতির বঙ্গপিতা।
তুমি আছো,তুমি রবে,আগামী মহাবিপ্লবীদের বর্জিয়ান আকণ্ঠের সমন্বয়ে!
লক্ষ কোটি বাঙালির হৃদয়ে-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে।
রাজবাড়ী সদর,রাজবাড়ী