প্রিয় রহমান আতাউর
ভোরের কুয়াশায় আচ্ছন্ন গ্রাম
সোনালী ধানক্ষেতের আল ধরে হেঁটে যাই আমি
বাবুই পাখিদের দেখি
ওদের কিচিরমিচির শব্দ কানে আসে
কোথাও বা কাকতাড়ুয়া, দু’একটি ফিঙ্গে পাখি
শালিকেরা ডানা মেলে দল বেঁধে।
ওই যে হাবুদের আখক্ষেত, অদূরে শঠিবন
তারই ঝোপে শেয়াল ঘুমায়,
আমাদের সবজি ক্ষেতে পুষ্ট হয় মূলা –
লালশাক, ফুলকপি, বরবটি
আরও কত কী!
এই সবুজ ছেড়ে মন কি যেতে চায় শহরে!
দূষিত বায়ু আর ঘিঞ্জির এই শহরে
পারি কি নিতে নির্মল নিশ্বাস?
এখানে আকাশ নীল
শহুরে আকাশ বড় ফ্যাকাশে লাগে আমার!
সর্ষে ফুটেছে কেবল
হলুদের সমারোহে দিগন্ত হাসে
মৌ পিয়াসী নীল ভ্রমর উড়ে এসে বসে
গুন গুন গান গায়
হলুদ আর নীল রঙে ভালোবাসা হয়!
আমার শব্দগুলো এলোমেলো হয়ে যায়
কবিতায় নেই আমার ধন্বন্তরি হাত;
পারিনি হতে কোনো শিল্পীও-
ফ্রিদা কাহলো বা অমৃতা শের গিলের মত
যদি ছবি আঁকা যেতো- এই হেমন্ত সকালের;
মন্দ হতোনা মোটেও।