‘হোম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’-স্মৃতিচারণে অমর্ত্য

‘হোম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’-স্মৃতিচারণে অমর্ত্য

ড. গৌতম সরকার

‘অমর্ত্য’ নামটি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া। শৈশবের কিছুটা সময় কেটেছে শান্তিনিকেতনের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অসংখ্য গুণী মানুষের সান্নিধ্যে। বাবা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শাস্ত্রের প্রফেসর। ঠাকুরদা সারদা প্রসাদ সেন, ঢাকা কোর্টের জজ। অন্যদিকে মা স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী এবং তৎকালীন সমাজের বিদুষী মহিলা অমিতা সেন। রবীন্দ্র স্নেহধন্যা অমিতা সেনের পিতা ক্ষিতিমোহন সেন বিশ্বভারতীতে পড়াতেন। শুধু পড়াতেনই না, ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ যখন বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন তখন ক্ষিতিমোহন তাঁর অন্যতম সেনাপতি ছিলেন। বিশ্বভারতীকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ক্ষিতিমোহনের ভূমিকাও কোনও অংশে কম নয়। এইরকম পরিবার এবং পরিমণ্ডলে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা অমর্ত্যকে একজন জ্ঞানপিপাসু, বুদ্ধিমান, এবং মননশীল মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করেছিল। জন্ম শান্তিনিকেতনে হলেও শৈশব কেটেছে ঢাকায়। বাবার চাকরির সুবাদে তাঁরা থাকতেন ঢাকার অভিজাত এলাকা ‘ওয়ারি’-তে। বাড়ির নাম ছিল ‘জগৎ কুটির’, সেটি বানিয়েছিলেন ঠাকুরদা সারদা প্রসাদ সেন। যদিও অমর্ত্যর কথায় তাঁর প্রথম শৈশব স্মৃতি আছে বার্মাকে নিয়ে। বাবা আশুতোষ সেন ১৯৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনবছরের ছুটি নিয়ে বার্মার মান্দালয়ে ছিলেন। তিন বছরের অমর্ত্যের স্মৃতিতে জাজ্ব্ল্যমান মেমিয়ো পাহাড়ের প্রেক্ষাপটে অপূর্ব সূর্যোদয়। সেই সুখস্মৃতি সাতাশি বছরের অমর্ত্যর চোখে এখনও জীবন্ত, তাই মান্দালয়ও অমর্ত্যর কাছে আরেকটা বাড়ি হয়ে রয়ে গেছে। এইসব হাজার স্মৃতি শৈশব-কৈশোর-যৌবন-পরিণত বয়স জুড়ে, সেই স্মৃতির রঙিন পানসি ছুটিয়ে অতীত সাগরে ভেসে বেরিয়েছেন নোবেলজয়ী বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ সম্প্রতি লিখিত স্মৃতিকথায়, ‘হোম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড: আ মেমোয়ার’৷

‘হোম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’-স্মৃতিচারণে অমর্ত্য

বইয়ের ‘শৈশব স্মৃতি’ পরিচ্ছদে লিখেছেন, ‘আমার যখন জন্ম হয়, আমার পরিবার ঢাকায় বসবাস করত, যদিও সেখানে আমার জন্ম হয়নি। সময়টা ছিল ১৯৩৩ সালের শরৎকাল। পরে জেনেছি বছরটা ছিল ইউরোপে বাড়িঘর আর জীবন হারানোর এক ভয়ংকর বছর। ষাট হাজার পেশাজীবী লেখক, শিল্পী, বৈজ্ঞানিক, সঙ্গীত শিল্পী, অভিনেতা, চিত্রশিল্পী জার্মানি থেকে অভিবাসী হয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশে এবং আমেরিকায় চলে এসেছিলেন। ইহুদিদের কেউ কেউ ভারতবর্ষেও এসেছিলেন’।

কয়েকবছর বার্মায় কাটিয়ে ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি উচ্চবিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। অমর্ত্যর পূর্বপুরুষদের আদি বাড়ি ছিল ঢাকা শহর থেকে কিছু দূরে মানিকগঞ্জ গ্রামে। বছরে একবার করে সেই গ্রামে যাওয়া হত। দূরত্ব বেশি না হলেও নদীবহুল সেই দেশে নৌকা চেপে এক নদী থেকে আরেক নদীর বুকে ভেসে যেতে যেতে দিন কেটে যেত। সাধারণত কোনো উৎসবের সময়ই যাওয়া হত। ফলে নিজের তুতো ভাইবোনের সাথে পাড়ার সমবয়সী বন্ধুদের অভাব হতনা। কটাদিন খুব আনন্দে কাটিয়ে বন্ধু, ভাই-বোনদের একবছরের জন্য বিদায় জানিয়ে ঢাকা শহরে ফিরে আসতেন। স্মৃতিকথায় অমর্ত্য লিখেছেন, ‘মানিকগঞ্জের বাড়িতে এলে আমি দারুন স্বস্তি বোধ করতাম এই ভেবে যে আমি বাড়ি ফিরে এসেছি।’ দেশভাগের পর তাঁর পরিবার কলকাতায় থিতু হন। 

অমর্ত্যর জীবনে মাতামহ ক্ষিতিমোহন এবং মাতামহী কিরণবালার প্রত্যক্ষ প্রভাব ছিল। শৈশবের সেই সব দিনের স্মৃতিযাপন করেছেন বইয়ের ‘দাদু-দিদিমার সঙ্গ’ অধ্যায়ে। সেই যাপনে তাঁর শান্তিনিকেতনের শৈশব মূর্ত হয়ে আছে। রাতে খাওয়ার সময় দাদুর সাথে সংস্কৃত, সাহিত্য, কবীরের দোঁহা এবং ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞেয়বাদ নিয়ে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা চলত। ক্ষিতিমোহনের কাছ থেকেই হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতির পাঠ পেয়েছিলেন। মনের দিক থেকে অমর্ত্য অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন। অতি অল্প বয়সেই দুর্ভিক্ষ এবং দেশভাগের মত ট্র্যাজেডি সামনে থেকে দেখতে হয়েছিল। সেই কারণেই সারাটা জীবন ব্যয় করলেন ছিন্নমূল এবং হতদরিদ্র মানুষদের দূর্দশা দূরীকরণের অর্থনৈতিক তত্ত্ব আবিষ্কারের পিছনে। তৃতীয় বিশ্বের দারিদ্র নিয়ে তাঁর মহান কাজই তাঁকে অর্থনীতিতে শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছিল।

‘হোম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’-স্মৃতিচারণে অমর্ত্য

একজন ভালো ছাত্র আর একজন প্রতিভাবানের মধ্যে তফাৎ হল অনুসন্ধিৎসু মন। ভালো ছাত্র পড়ার বই মুখস্থ করে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পায়, আর প্রতিভাবান নম্বরের পিছনে না দৌড়ে জ্ঞানের পিছনে ছোটে৷ কোনও ব্যাপারে একবার কৌতুহল জন্মালে, সেটার রহস্য উদ্ঘাটন না করে তাঁর শান্তি নেই। অমর্ত্য সেন ছিলেন ব্যতিক্রম। একদিকে তিনি খুব ভালো রেসাল্ট করে প্রতিটি পরীক্ষায় পাশ করেছেন, অন্যদিকে একইসঙ্গে জ্ঞানপিপাসা তাঁকে চিরকাল ছুটিয়ে নিয়ে গেছে নতুন কিছু সৃষ্টির নেশায়। এখানেই তিনি স্বতন্ত্র, একক। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ তাঁকে সফল অর্থনীতিবিদ হিসাবে চেনেন। কিন্তু সে চেনা আর কতটুকু? তাঁর সাহিত্য, দর্শন, গণিত, ইতিহাস, বিজ্ঞানের প্রজ্ঞা দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়। জীবনে আঠারো বয়সে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা থেকে তাঁর মেধা আর উনিশ শতকীয় রেনেসাঁ মনের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি তখন প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতির ছাত্র। একদিন খেয়াল করলেন, তাঁর মুখের ভিতর একটা অংশ ফুলে উঠেছে এবং বেশ শক্ত ঢেলার মত হয়েছে। ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা সাধারণ ওষুধপত্র দিলেন, সেরকম পাত্তা দিলেন না। কিন্তু অমর্ত্যর মন খচখচ করতে লাগলো। লাইব্রেরি থেকে ক্যানসারের ওপর বইপত্র যোগাড় করে পড়াশোনা শুরু করলেন এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন তাঁর ক্যানসার হয়েছে। শুধু তাই নয়, রোগের নামটাও আবিস্কার করলেন- ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’। পরে বায়োপসি রিপোর্টে দেখা গেল অমর্ত্যর ধারণা একেবারে নির্ভুল। 

এক অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে এলেন অমর্ত্য সেন। সেই অনুসন্ধিৎসুতার যথাযথ উত্তর পেলেন সেই আমলের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং প্রফেসরদের কাছে। ভবতোষ দত্তর কাছে শিখলেন প্রজ্ঞা আর পড়ানোর শৈলী, তাপস মজুমদার মেটালেন জ্ঞানক্ষুধা। এছাড়াও সহপাঠী হিসাবে পেয়েছিলেন সুখময় চক্রবর্তীকে, যার সঙ্গে কফিহাউসে বসে কেনেথ অ্যারোর ‘সোশ্যাল চয়েস অ্যান্ড ইনডিভিজুয়াল ভ্যালুজ’ বইয়ের ‘ইম্পসিবিলিটি থিয়োরেম’ নিয়ে আলোচনা করতে করতে তাঁর পরবর্তীকালে ‘সামাজিক চয়ন’ তত্ত্বের মৌলিক চিন্তাভাবনার বীজটি পোঁতা হয়ে গিয়েছিল। মার্ক্সীয় তত্ত্ব গুলে খেয়েছিলেন বলে মানসিকতায় চিরকাল বামপন্থী ছিলেন, তবে নিবিড়ভাবে কখনও রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েননি। তিনি চিরকাল ‘ব্যক্তি স্বাধীনতা’কে সম্মান দিয়ে এসেছেন। যে রাজনৈতিক দল প্রথমেই সদস্যদের আনুগত্য দাবি করে সেইরকম আদর্শভু্ক্ত রাজনৈতিক দর্শনের সাথে আত্মিক যোগাযোগ তাঁর কখনও হয়নি।

প্রেসিডেন্সির পড়া শেষ করে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য রওয়ানা হলেন ইংল্যান্ড। ১৯৫৩-র সেপ্টেম্বর মাসের এক সন্ধ্যায় উনিশ বছরের অমর্ত্য দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন, চোখের সামনে মাতৃভূমি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে, চোখে নীল সমুদ্রের ঢেউয়ের মধ্যে দুফোঁটা অশ্রুবিন্দু টলটল করছে; মনে পড়ে যাচ্ছে ম্যাক্সিম গোর্কির স্বীকারোক্তি। দেশ-কাল-সীমানা-সীমারেখা ব্যতিরেকে মানুষের অনুভূতি সেই একইরকম। সেদিনও বাড়ি ছেড়ে মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার সময় গোর্কির চোখদুটো এরকম ভিজে উঠেছিল। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের ঐতিহাসিক দরজা পেরিয়ে প্রথমবার প্রবেশ করলেন অমর্ত্য সেন। স্মৃতিকথায় সেই প্রথম দর্শনের কাহিনী বিস্তারিতভাবে বলা আছে। নেভিল’স কোর্টের পাশে রেইন লাইব্রেরি বিল্ডিংয়ের স্থাপত্য দেখে চোখ ফেরাতে পারেননি। তারপর সেই অপূর্ব ইমারতে ছাত্র, গবেষক হিসাবে জীবনের অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। কেমব্রিজে পৌঁছে আলাপ হল বিভাগীয় ‘ডিরেক্টর অফ স্টাডিস’ প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ পিয়েরো স্রাফার সাথে। যে পরিচয় একসময় বন্ধুত্বের পর্যায়ে পৌঁছে সারাজীবন অটুট থাকবে। ইতালির মানুষ স্রাফার সাথে বন্ধুত্ব ছিল আন্তোনিও গ্রামশির, সেই সূত্রে তিনিও অমর্ত্য সেনের বন্ধু হলেন। স্রাফা তাঁকে একটি মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেটি অমর্ত্য সারাজীবন পালন করে চলেছেন। সেটি হল-“তত্ত্বকে কখনও স্লোগানে পরিণত করতে নেই।” কেমব্রিজে গিয়ে যাঁদের শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন তাঁরা তখনই নিজ নিজ গবেষণা ক্ষেত্রে পৃথিবীবিখ্যাত হয়ে গেছেন। পিয়েরো স্রাফা তো ছিলেনই, তাঁর সঙ্গে পেয়েছিলেন মার্ক্সীয় অর্থনীতিবিদ মরিস ডব, ডেনিস রবার্টসন, জোন রবিনসন প্রমুখকে।

  ‘হোম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড: আ মেমোয়ার’ বইটি একাধারে তিনটি বইয়ের সমাহার। একটি বড় অংশ জুড়ে আছে জীবনের প্রথম তিরিশ বছরের স্মৃতিচারণ, দ্বিতীয় অংশে ইতিহাস ও রাজনীতির নিগূঢ় বন্ধন, এই অংশে অমর্ত্য তাঁর ভাষ্যে অতীব সোচ্চার আর তৃতীয় অংশে স্থান পেয়েছে তাঁর সারাজীবনের সাধনার ফসল- অর্থনৈতিক তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনায় দর্শন শাস্ত্রের প্রভাব। একটি অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে ঔপনিবেশিক ভারতের অর্থনীতির সংকট, এছাড়া আরও অনেক তত্ত্বমূলক এবং তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা আছে বইটির একটা বড় অংশ জুড়ে। 

মা এবং বাবাকে নিয়ে অমর্ত্য চিরকাল উচ্ছ্বসিত ছিলেন। মা অমিতা সেনের বড় হয়ে ওঠা শান্তিনিকেতনে, পড়াশোনা বিশ্বভারতীতে। ক্ষিতিমোহন এবং কিরণবালা মেয়ের ওপর রক্ষণশীল সমাজের কোনও বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেননি। লেখাপড়ার পাশাপাশি জুডো শিখেছিলেন, যা তখনকার মেয়েরা করা তো দূরের কথা ভাবতেও সাহস পেতেননা। তিনি একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী ছিলেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তখন এক নতুন নৃত্যশৈলী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন, সেখানে মূল ভূমিকায় অংশ নিতেন অমিতা। কলকাতাতেও জোড়াসাঁকো এবং অন্যান্য জায়গায় বিভিন্ন রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যে তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রথম পছন্দ। সময়টা তখন মোটেই আধুনিক নয়। ভদ্র ও শিক্ষিত বাড়ির মেয়েরা মঞ্চে সবার সামনে নাচ-গান করতেন না। ফলে সমালোচনাও হয়েছে প্রচুর। মা-বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অমর্ত্য বলেছেন, ‘যখন আমার মা-বাবার বিয়ের আয়োজন করা হয় তখন আমার বাবা মায়ের গুণমুগ্ধ ছিলেন। আমার বাবার কাছে মায়ের নাচের ক্লিপিংস যেমন ছিল, তেমনি ছিল সংবাদপত্রে ও পত্রপত্রিকায় ছাপা রক্ষণশীল সমাজের সমালোচনার ক্লিপিংস। যেখানে একজন নারীর জনসমক্ষে মঞ্চারোহন নিয়ে বিপুল ছিছিক্কার ছিল৷ বাবা কোনোদিন এইসব সমালোচনাকে পাত্তা দেননি, তিনি এসব আমার বিদুষী মায়ের ভূষণ বলেই মনে করতেন। মায়ের নৃত্য প্রতিভায় মোহিত বাবা এই বিবাহে সম্মত হতে দ্বিরুক্তি করেননি।’

অমর্ত্য সেন শুধুমাত্র সফল অর্থনীতিবিদ নন, তিনি একজন সংবেদনশীল সামাজিক মানুষও বটে। বহুমাত্রিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ এই মানুষটির কাছে দেশ, কাল, ভাষা কখনও পরিচয়ের মাপকাঠি হিসাবে গণ্য হয়নি। প্রকৃত অর্থে তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক। তাঁর জ্ঞান পিপাসা যেমন একটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে দেয়নি, তেমনই তাঁর চিন্তাভাবনা, বোধ, উপলব্ধি, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, অপত্য, স্নেহ সবকিছু দেশ-কালের বেড়াজাল ডিঙিয়ে বিশ্বজনীন হয়ে গেছে। সেই উপলব্ধি থেকে সহজেই স্মৃতিকথার নাম দিতে পেরেছেন, ‘হোম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’, কারণ তিনি জানেন দেশে দেশে তাঁর ঘর পাতা আছে, মানিকগঞ্জ থেকে শান্তিনিকেতন, বার্মা থেকে বাংলাদেশ, কলকাতা থেকে কেমব্রিজ।

                               

লেখক: অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক

তথ্যঋণ: ইন্টারনেট

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
হাওড়া ব্রিজের যে অলৌকিক ঘটনা কেউ জানে না | Howrah Bridge News | Horor Story

হাওড়া ব্রিজের যে অলৌকিক ঘটনা কেউ জানে না | Howrah Bridge News | Horor Story

হাওড়া ব্রিজের যে অলৌকিক ঘটনা কেউ জানে না | Howrah Bridge News | Horor Story    
কাকে বিয়ে করলেন ফারাজ করিম চৌধুরী? পাত্রীর পরিচয়

কাকে বিয়ে করলেন ফারাজ করিম চৌধুরী? পাত্রীর পরিচয়

বিয়ে করছেন ফারাজ করিম চৌধুরী, পাত্রী হিসেবে রয়েছেন যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় ও বিভিন্ন দুর্যোগকালীন মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানো তরুণ ফারাজ করিম চৌধুরী বিয়ে ...
শীতের চাদরে

শীতের চাদরে

নীলমাধব প্রামাণিক আসছে  নতুন  সাল  শীতের  চাদরে উত্তাপ  মাখা  মিঠে  রোদের আদরে । কমলা  লেবুর কাল কনকচূড়ের খই নলেন  গুড়ের  মোয়া পিকনিক হইচই । ঘোর ...
বিষদাঁত

বিষদাঁত

সাত সকালে মোরগের ডাকে ঘুম ভাঙে তানিয়ার। সকালে ঝুন ঝুন করে নুপুর পায়ে করিডোর পেরিয়ে তুলসী তলার দিকে পা বাড়ায় সে। আচমকা পেছন থেকে গলার ...
কবিতা সমাজ বাঁচায় 

কবিতা সমাজ বাঁচায় 

I আহমাদ আব্দুল্লাহ নিলয় আমার অতীতের কাছে একদিন সবায়কে নিয়ে যাবো। কেমন ছিলাম আমি, কেমন ছিলো রাত্রিযাপন। মদের সাথে পানির সমন্বয়হীনতা কিংবা সমাজতন্ত্রের সাথে পুঁজিবাদ ...
ঈদ ও জীবন

ঈদ ও জীবন

মজনু মিয়া আকাশের চাঁদ দেখা মাত্রা আনন্দ ক্ষণ শুরু কেনাকাটা শুরু আরও আগে থেকে হইছে কারও আবদার পূরণ করা সম্ভব নয় তো আমার অভাবের সংসারে ...