আমার ভিতরে কয়েকটি শুভপাখি সবসময় কেঁদে চলে –
অনবরত শুভতার সবুজাভ আশে ;
একসময় দিশাহীন উড়ে যায় পরিযায়ী পাখির মতো ঐ দূর দূরের আকাশপানে !
আমি কালসিঁটে বসন্তদাগের মতো পরেথাকি দুঃখেরঝাঁপি-
আমার দুঃখ শুধু দীর্ঘশরীর নিয়ে এগিয়ে যায় সবুরের জামাপরে ।
এইসব পথ আমার শেষ হয়না-
জানি এইসব ধূসর পথ শেষ হবেনা কোনোদিনও আমার আর!
অন্ধকারের আলোর ভিতর হতে চেয়ে দেখি গেরুয়া রঙের পাঞ্জাবিপরে ঐপথে হাঁটে –
শুদ্ধতম কবি জীবনানন্দ দাশ, সজল সমুদ্র আর আমি ।
যেতে যেতে আমাদের নাসারন্ধ্রে ভেসে আসে অঘ্রাণের ধানের মায়াবিনী গন্ধ ;
আমরা যাত্রাপথে এইটুকু আনন্দ ধরেরাখি আমাদের স্ব স্ব হাতরুমালের বুকের ভিতর !
এই যা পাই আমাদের একজীবন –
গরম চায়ের পেয়ালার মতো ধূমায়িত আনন্দ ।
তারপর আরো আছে আমাদের চোখে খেলা করতে থাকে-
আগামী পরশুর মৃত্যুর মৃদুমন্দ ঘ্রাণ