এ কবিতার নাম কি রুদ্ধশ্বাস দেয়া যায়?
যেখানে এক নরম মেরুদন্ডী জীব-
বাঁচার প্রাণপন চেষ্টা করে?
এ শহরের কি কোন মায়া দয়া আছে?
এ শহরে কি মায়ার মেঘ নামে?
সাঁঝ-সকালে;সন্ধ্যে রাতে ;ভর দুপুরে-
মেঘ কাঁদে গলায় ফাঁস দিয়ে?
এ কবিতার নাম কি অসহায় দেয়া যায়?
ভাবুক মাথায় উড়নচণ্ডা-
চটি পায়ে-ঝাকড়া চুলে,
হেঁটে যায় শহরের ময়লার স্তুপের পাশ দিয়ে!
বিষিয়ে ওঠা মন নিয়ে
কিংবা গভীর রাতে নিজের একাকিত্বকে
মন বিষিয়ে ওঠার ক্ষণে,
দূর থেকে ডাকাডাকি করে মৃত্যু!
মৃত্যু কি এতই অসহায় তার কাছে?
পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চির শরীরটা অসার হয়ে আসে!
মস্তিস্কে বিভিষিকার আগুন জ্বলে।
চোখ জুড়ে নেমে আসে অন্ধকার।
আমাদের মন নিকৃষ্ট; আর আত্মশুদ্ধি?
সে জিনিস কি পাপের দুয়ার ছেড়ে বের হতে পারে?
প্রশ্নোত্তর পরে খুঁজবো না হয়-
সব হারিয়ে একলা হয়ে,ঘরের কোণে;ঘোর কাঁটিয়ে!
এ গানের নাম কি আত্মসত্ত্বা দেয়া যায়?
যেখানে একটি শরীর-
একটি খাঁচার পাখিকে মেরে ফেলে?
আত্মসত্ত্বা আবার কি?
নিজে কখনো একা হয়ে ভাবতে শিখেছো?
শিশুর মতো খিল খিলিয়ে হাসতে পেরেছো?
বৃষ্টির ঘ্রাণ বুকে বাঁধতে পেরেছো?
চোখ খুলে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পেরেছো?
আত্নসত্ত্বা খুঁজতে পেরেছো?
জীবন নিয়ে গড়িমসি করে
জীবনকে খেয়ে ফেলেছো-
বিষন্নতা তোমার একার জীবনে নেই।