আশিক মাহমুদ রিয়াদ
নিঝুম রাতদপুর-
কোথাও কেউ কেউ ব্যস্ত নিশিযাপনে ..
ধোঁয়াটে ধীরতা লগ্ন বয়ে আসে নগ্নতার..
আমি তো বার বার আষাঢ় শেষে শরত চেয়েছিলাম..
হেমন্তের ডাকে শিশির ফোঁটার আহ্বানে!
যে শরতে মানসপটে একটি ধূসর চিঠি উড়ে আসে,
ওখানে যাওয়া বারণ, সেখানে বলা বারণ..
আমি মুখ টিপিটিপে হাসি, পদধূলির অভিশাপে!
অথবা ঝিম মেরে থাকি, ঝিলিম-ছিলিম রন্ধ্রে!
আমি তো সেই আষাঢ় মেঘের ফালি হতে চেয়েছি..
রিক্ততা আমায় জড়িয়েছে…
পুকুরঘাটের শ্যাওলা জড়ানো একখান
পুরনো শানে, ওপারে ঘনঘোর নিস্তব্ধতা..
পায়ের শেকল বন্দী হয়ে যায় পড়ে যাওয়ার শোকে..
তুমি কি আমায় পুড়তে চেয়েছো?
বিভিষিকার প্রয়াণে বিলীন অস্তিত্বের ক্রোধে!
আমি মুক্ত হতে চেয়েছি ঝিলিম সন্ধ্যায়..
বর্ষা আসবে বলে তুমি বারণ করেছো!
দিয়েছো ভাগ্যের দোহাই…অন্ধের মতো ঘরকুটুরে বসে রাখিয়েছো..
বুনো হয়ে যেতে দিয়েছো অপ্রাপ্তির হালখাতায়!
বিধাতা, আমি তো হতে চেয়েছিলাম বয়ে যাওয়া নদী!
কাশফুলের স্নিগ্ধতায় যে আবেগ শরতে মুড়ে থাকে..
আরও কত কি কলবাতাসের গান শোনাও আমায়!
স্থবির হই কাগুজে ফুলে মোড়া নীলাদ্রি ভাগ্যমেলায় !
যাকে মেলাও তাকে, জেতাও..
হেরে যাই বার বার আমি..
তুমিও কি জানো,
একখানা কাঁথা আছে আমার!
মা দিয়েছিলেন, বাড়ির ছাড়ার ক্ষাণিক আগে
ন্যাপথলি মোড়ানো..!