ক্যাপশনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত । আপনার পছন্দের ক্যাপশনটি খুঁজে নিতে পারেন এখান থেকে । তবে একটি অনুরোধ , ক্যাপশনগুলো কপি করে পোস্ট করার সময় অবশ্যই লেখকের নাম সহ পোস্ট করবেন । এতে লেখক আপনাদের জন্য লেখার জন্য অনুপ্রেরণা পাবে । ধন্যবাদ ! ভালো থাকুন সব সময় । বিশেষ ক্যাপশনের জন্য কমেন্ট করুন। লেখক আপনার সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করবে।
আশিক মাহমুদ রিয়াদ এর আরও লেখা পড়তে
১.
বর্ষা পেরিয়ে শরতের আসা যাওয়া
তোমাকে আমার কাছে পাওয়া,
বাতাসে ভেসে বেড়ায় স্নিগ্ধতা,
খোলা হাওয়ায় ওড়ে তোমার চুল
বাতাসে দোলে স্নিগ্ধ কাশফুল!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
২.
কি প্রেমে জড়ালে আমায়,
জড়ালে কি অপূর্ণতার অদ্ভুত মায়ায়।
দূরে ঐ সোনালি পাহাড় ডাকে আমায়
আমি ঠিক ঠিক ভালোবাসি তোমায়!
বাংলা রোমান্টিক ছন্দ (এসএম এস, FB Post, Best FB Caption)
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
শহরে শহরে শয়তান নেমেছে,
নরকের আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন
ভালো হয়েছে অসৎ, নষ্ট হয়েছে বিবেক
শহরে রাজপথে, বিবেকের মগডালে
বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার! তুমি কী জানো না?
শহরে শহরে নেমেছে শয়তান,
উল্লাস ধ্বনীতে পথভ্রষ্ট হয়েছে নিশ্বাস।
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আকাশে আজ এসিড বৃষ্টির তোড়জোড়
মাছের বাজারে ঠায় দাঁড়ায়ে ন্যাঙটা হায়না
অট্টালিকার দেয়ালে দেয়ালে কিসের যেন ক্ষোভ
শয়তানের হাসিতে দেয়াল বেয়ে নামে লালসা
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
শহরে শহরে আগুন লেগেছে,
কাফের হয়েছে নরকের মগ্নতায়,
বৃষ্টি আজ ঝরতে ভুলে গিয়েছে।
বিবেক ধুঁকছে জড়তায়!
আর কবিতার পান্ডুলিপি গিলে খেয়েছে সংকট!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমার একটা অসুখ আছে,
নিশ্বাস চাপে বুকের ঘোরে,
খুব দুপুরে, গুপ-চুপুরে
তুমি আসো সন্তপর্ণে!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
ঝুমুর বাজে ঝুম ঝুম ঝুম!
আলসে দুপুর, নিদ্রাবিহ্বল
উড়ে যায় ঘুমচুম! কোথা যাও?
একটু দাঁড়াও, হৃদয় হরণ করো
তারপর না হয় যাও!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমার একটা অসুখ আছে
নিশি রাতের সাথে!
চোখ কচলানো রাত্রিবেলায়
নেশাতুর ঘুম ঝিঁঝিঁরা !
মাথায় ঘোরো তুমি!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কল্পনার, আল্পনায় কে যেনো গান গায়
চুপিসারে? ফিসফিস, গুপচুপ!
তোমার ভারী নিশ্বাস!
মাথায় ঘোরো তুমি!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
স্মার্ট ফেসবুক ক্যাপশন ২০২৪
বাজারে হুড়োহুড়ি,তাড়াতাড়ি
হাঁকডাক, কোথা যাও?
মিছিলের গান, হরতাল, অবরোধ ধর্মঘাট
কত কি বয়ে যায়, সয়ে যায় কত ঘাত
তাও মাথায় ঘোরো তুমি!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
মিছিলে মিছিলে নাকি প্রণয় হয়,
শান্ত, পথে ধীর পায়ে হাটি।
আমি সর্বহারা এক যুবক দ্রীতি!
ঘুরি আমি দেউলিয়া হয়ে,
বাউল বেশে যাযাবর!
আর মাথায় ঘোরো তুমি!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
যতদূরে তোমার স্নিগ্ধ পায়ের পদধূলী
মেঘ-বাতাসে ফিনফিনে স্বপ্ন স্নেহ
আকাশে মেঘ সেজে তোমার কোমল মুখ
ঠোটে এঁকেছে হীমশীতল স্নেহ।
তুমি আমায় জরা দেবে কোমলতা?
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কুয়াশা ভেজা স্নিগ্ধ সকালে
শহুরে বাতাসে, দূষণ জরায়
দেখলাম, এ তো আমার শহর নয়!
এ শহরে নেমেছে রুচির দূর্ভিক্ষ
ডাস্টবিনে ডাস্টবিনে ফুঁটেছে নবজাতক!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
দেয়ালের কার্ণিশ বেয়ে নেমে আসে জরা
শহরে কাক নেই, তারা সবাই চলে গেছে
উধাও হয়ে গিয়েছে নিধন ঝড়ে।
না না সকাল বেলায় কাক ডাকে না আর!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বাংলা শর্ট ক্যাপশন – Bangla Short Captioর
সন্ধ্যে তে অশুভ’র বার্তা উড়ে বেড়ায়
কাক কই? কাকের ডাকে কতদিন ঘুম ভাঙেনি?
কতদিন দেখোনি তুমি এ ময়লা শ্রমিকদের?
এ শহরে লাশের গন্ধ, মানুষে-মানুষে দ্বন্দ।
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
মধ্যবিত্তের দুয়ারে দাঁড়ায়ে হতভাগিনী;
আমায় একটু ধরো; তুমি কি জানো না?
শয়তান নেমেছে শহরের অলিতে-গলিতে।
তারা মেতেছে নির্বুদ্ধিতার কড়াল গ্রাসে..
শহরে শহরে আগুন লেগেছে, নরকের রেশ এসেছে দুনিয়ায়।
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
সূর্য্য ডোবার পরেই অন্ধকার আসে;
ভুলে যাও কেন মাগরিবের আজান?
দিনের শুরুর আগে ফজরের পাপ মোচন।
শহরে শয়তান নামলেও, ইশ্বর আছেন অন্তর্জামে!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
৩.
প্রহেলিকা! তুমি এভাবে বৃষ্টি হয়ে ঝরবে,
বিশুদ্ধ বাতাস, তুমি এভাবে স্নিগ্ধতায় আমায় জড়াবে!
উপহাস তুমি এভাবে হেয়ালি মেঘের মতো কাঁদবে!
ভেজা রাস্তায় চুমু খাওয়া রডোডেনড্রন!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বিরহের ক্যাপশন পেতে এখানে ক্লিক করুন
৪.
আমরা কেউ কাউকে ভালোবাসি না,
ভালোবাসা আমাদের চায় না!
তুমি চাও না আমাকে, আর আমি তোমাকে।
এর নাম ভালোবাসা না,
এর নাম প্রনয় কিংবা বিরহ না!
–আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তোমার শহরে চন্দ্রমল্লিকা সাজানো অট্টালিকায় আজ
অঝোরে ঝরে নিস্তব্ধতার চরম শিৎকার
তোমার দেয়ালে ঠায় দাঁড়িয়ে আমি,
দেয়াল দেখেছো বৈষ্যম্যতার?
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
মেঘ-আকশে ছেঁয়েছে জড়তা,
বৃষ্টি আসা তো অপরাধ নয়
পাপের খাতায় ডুবেছে শহর
বাণের জলে ভেসে গেছে বিবেক!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
এ শহর ও শহর কত শহরে কত গান
যে শহরে টাকা ওড়ে, লালসার বুক চিরে
যে শহরে মৃতদেহ হাটে নরকের পথ ধরে
যে শহরে ভালোবাসা খোঁজে যৌনতার গন্ধ
রন্ধ্রে রন্ধ্রে কালো নেকড়ের থাবা।
সে শহরে তুমি থাকো কেমন করে সুখলতা?
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
যতদূরে তোমার স্নিগ্ধ পায়ের পদধূলী
মেঘ-বাতাসে ফিনফিনে স্বপ্ন স্নেহ
আকাশে মেঘ সেজে তোমার কোমল মুখ
ঠোটে এঁকেছে হীমশীতল স্নেহ।
তুমি আমায় জরা দেবে কোমলতা?
সন্ধ্যেবেলায় পথ হারিয়েছি,
আমায় ঘিরে ধরেছে না পাওয়ার জড়তা।
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
৫.
পরম উষ্ণ ভেজা আদরে
কিছু কিছু প্রেমিক ভালোবেসেছে।
হাত দিয়ে কেউ কেউ বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখেছে৷
বৃষ্টির ভেজা গন্ধে কেউ সিগারেট ধরিয়েছে।
আমিও তাদের একজন হয়ে
তোমায় ভালোবাসতে চেয়েছিলেম।
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
৬.
কষ্ট দিও.. জ্যোৎস্না রাতে..
চিরলপাতার ফাঁকে দুঃখ কাঁদে..
মৃতরাও ডাক পাঠায়..।
আমাবস্যা বিলাস শোকে..
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
হুমায়ুন আহমেদের উক্তি (১০০০+) ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জন্য | Humayun Ahmed
৭.
এ চোখে দেখো চেয়ে
ক্রুদ্ধ ঘৃণার বিস্ফোরণ
রুদ্ধচোখে দেখো চেয়ে
তোমার সুখের বিস্মরণ..
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি কি জানতে পারো?
কতটা যন্ত্রণায় আমি আলো জ্বেলেছি
তুমি কি মানতে পারো?
জেলখানার কয়েদী হয়ে বন্দী আমায়?
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি কি দেখতে পারো?
তোমার শহরে আমার ক্ষত
দেয়াল বেয়ে নামে গুইসাঁপের থুথু
টাকার বাণে মেলে দেহ,
অথচ টাকার অঙ্কে হেরে যায় ক্ষুধার্ত!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তোমার শহরে চন্দ্রমল্লিকা সাজানো অট্টালিকায় আজ
অঝোরে ধরে নিস্তব্ধতার চরম শিৎকার
তোমার দেয়ালে ঠায় দাঁড়িয়ে আমি,
দেয়াল দেখোছো বৈষ্যম্যতার?
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বাংলা স্যাড ক্যাপশন (২০২৪) Best Bangla Sad Caption
৮.
বৃষ্টির আগে বাতাসের স্নিগ্ধ গন্ধ বয়।
তোমার পদচিহ্ন আমার বুকে পড়ে রয়
এরপর কত ঘনঘটা বর্ষা এলোগেলো,
বাতাস জুড়ে কয় ঘটনা রটে গেলো।
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
৯.
আমি বড্ড অসহায় অপরাজিতা…
আমি অসহায় একা, রোডলাইটের মতো
আমি অসহায় একা, এক কাপ চায়ের ক্ষত!
আমি অসহায় একা, শেষরাতের বাদলা জ্বরে
আমি বড় অসহায় একা, ভেজা কাক হয়ে!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
১০.
ভালো থেকো..নীল ফুল…!
ভালো থেকে আমার প্রিয় অপ্রিয় বাসনা..
ভালো থেকো আমার দুঃর্ভাগ্যের সময়..
তুমি বরং হার মেনো না!
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে,
তোমার কামনায় পরিপূর্ণে।
তোমার ভালবাসা আমার নেশা,
এবং আমার আত্মা আগুনে পুড়ে যায়।
-আশিক মাহমুদ রিয়াদ
১.
সন্ধ্যা নীল জেগে থাকে আশা,
দীর্ঘশ্বাস জমে রোডলাইটে, রাস্তারা সব একা!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
এই গল্পটি পড়তে পারেনঃ একটি নষ্ট গল্প
২.
নীল আলোরা জেগে থাকে মহাকালে,
ধূসর রঙে রাঙা এই বসন্তে,
কেউ কেউ প্রেমিক পায়,
কেউ কেউ প্রেমিকা পায়,
কেউ আবার একা হয়ে বসে থাকে,
বিষণ্যতা চাপা ধূসর রঙে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
৩.
কখনো কখনো বদলে যেতে হয়,
কখনো খোলস পাল্টাতে হয়,
কষ্ট চেপে রাখতে হয়, মিথ্যে হাসতে হয়।
জীবন বদলে যায় সময়ের ফেরে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
৪.
এই লাল-নীল সন্ধ্যায়,
পাখিরা সব নীড়ে ফিরে
গোধূলী আলোয় কেউ কেউ
চারদেয়ালে বিষণ্যতায় ডোবে
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি (নতুন সংকলন ২০২৪)
৫.
এই বিভিষিকাময় জীবন একদিন পালটে যাবে,
আমি আবার তোমায় ভালোবাসবো।
আমি আবার তোমায় এ কথাটি বলবো,
সেদিন আবার আমি ডুবে যাবো
তুমি অন্যের হাত ধরে চলে গেলে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
৬.
জমে থাকা ব্যথা, মৃতদের চিঠি উড়ে আসে।
কল্পনায় ডুবে থাকা সুখ পাখির মৃত্যু হয়।
কেউ কেউ মরে যেতে চায়,
সবাই চাইলেও মরতে পারে না।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
৭.
নিশিথ নিথর দেহ যাপন,
দেহ কি এক অদ্ভুত যন্ত্র।
ভেসে আসে কি অদ্ভুত সুর,
বিষণ্যতা ফেলে যাই বহুদূর।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
৮.
সবাইকেই একদিন মরে যেতে হবে,
তবে কেউ কেউ জীবিত অবস্থাতেই মৃত।
সবাইকেই একদিন বদলে যেতে হয়।
শুধু দরকার হয় বদলানোর কারণটা।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমি যাকে পছন্দ করি! সেই রংধনু প্রেমী। এই অকালবোধনের যুগে সবাই অতি জ্ঞান গর্ভে হারাইয়া যাইতে যাইতে পথিমধ্যে কিঞ্চিত বিচলিত হইয়া বৃষ্টিস্নাত পথে ধাবিত হইলো! ব্যাগ্র মারা ভরদুপুরে আষাড় মাসের আকাশে যেভাবে রংধনু রং ছড়ায়, ঠিক সেইসবদের মনেও রঙ এসে এমনভাবেই লেপ্টে গিয়েছে যে কামবাসনায় নিজের জাত হারাইয়া সে এখন নিজের সত্ত্বা বিলুপ্তির পথ ধরিয়া পুরোদস্তুর একটি আবেগহীন পশুতে পরিণত হয়েছে। বৈপরিত যাতনা তাদের এতটাই মনক্ষুন্ন করেছে যে তারা আসলেই ভুলে গিয়েছে গা’মাংসের শরীরে তারা আসলে কে। আপনাকে দেখি, অবাক হই! মুষড়ে যাই। অথবা আপনাকে দেখি না৷ কি অদ্ভুত মিল, শোক-পাথর-লীন। তাও যদি আমাদের কথাপোকথন না হয়। ভীষণ মুষড়ে যাই, এই যাতনা জন্মান্তরের!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
সাঁওতালি গ্রামে বুনো সন্ধ্যা নেমেছে শরৎ এর শান্ত বাতাসের গায়ে৷ চারদিকে কেমন একটা গুমট ভাব, পাহাড়তলে ঝিঁঝিঁদের ডাক আর পাহাড়ের ওপর থেকে ভেসে আসে বুনো শুয়োরের ডাক৷ সব মিলিয়ে পাহাড় ঘেষা নদীর কাছে, বসে নদীর বয়ে চলার শব্দ আর দূর পাহাড় ঘেষা চাঁদের আলো মিলেমিশে এখানটায় যেন অবাক জলছবি একে দিয়েছেন বিধাতা।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
অপার্থিব এক রাতের ছন্দগান,
যে রাতে ভ্রমরদের হয়েছে হৃদয়হরণ!
বিচ্ছেদের আগুনে জ্বলে নীল তারা
শিহরণে ভাসে নগ্ন নীল ডুমুর
যৌবে নাচে যৌনের গ্রীবে গ্রীবে চুমুর!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
পাপের তাপে জ্বলে অশোক নক্ষত্র,
পাপের ডাক বাক্সে আসে নগ্নপ্ত্র
ঠায় আকাশে চাঁদ দ্বগ্ধ স্থির,
আধখাওয়া চাঁদে, কত কিছু চুরি হয়ে যায়
বেদনার নগ্ন মাঝরাত্তিরে বাজে,
কাসার থালার ঝনঝনি!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
রাত জুড়ে চলে শেকলদাপট,
কারাগারে নগ্ন ক্ষুধায় ন্যুইয়ে পরে কায়েদী!
রাস্তার ফুটপাতে, গাম টেনে শুয়ে থাকে নিঃসঙ্গ নিরুপায়!
বড়লোকের গ্লাস থেকে এসে আলো পড়ে তার মুখে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি না হয় রাতের দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বেঁচে থেকো!
অন্ধ হওয়া চিলে কোঠায়-
বন্ধ হওয়া দরজার আড়ালে!
কিংবা দুঃখ পুষে রেখো-
যেথায় তুমি হারালে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমি কথা দিলাম, ফিরে আসবো!
কোন বছরের শেষের দিকে,
কিংবা শুরু দিকে,
বসন্তের শুরুতে, পাতা খসে যাওয়া দিনে!
তোমার কাছের প্রত্যেকটা ঋণে।
আমার চোখের জলে মিটিয়ে দেব !
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
নীল কাঁচে মেঘফুল
জোস্নার শব্দ নিঝুম
প্রেম আসে বসন্তে
প্রজাপতি হয়ে ডানা মেলে
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তোমার আমার মিলন হবে
এক দেয়ালবিহীন পৃথিবীতে।
এক সূর্যমুখীর ক্ষেতে দাঁড়িয়ে,
দেশ-কাল-সীমানার গন্ডি পেরিয়ে,
সমাজ,সম্পর্ক, সংসারকে পায়ে মাড়িয়ে
ঘাসফড়িংদের সাক্ষী রেখে তোমায় আত্মায় জড়িয়ে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
দিক ঠিক রেখে নৌকা ছেড়ে দিলে কূল পাওয়া যায়। কূলে বাঘ, বাঘের ভয়ে সন্ধ্যে হয়। কিন্তু সেই ঘাটে কেঁদে চোখ ভিজালেও কোন কিছুই করার থাকে না।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বোবার কোন শত্রু নেই এ ধারণা ভুল। বোবার শত্রু আছে। মানুষ শোকে পাথর হয়ে গেলে বোবা হয়ে যায়। আর সেই বোবাকে আরও যাতনা দেয় তার প্রিয় মানুষ। ভেতরে ভেতরে সেই মানুষটি অন্তঃসারশূন্য হয়ে পরে। মানুষ বরাবরের মতোই বড্ড একা।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বিবর্ণ বিশ্রি কদাকার একটি গল্প বলি
একে কবিতাও ভেবে নিতে পারো!
এক কালসিটে মুখোশের গল্প,
এই মুখোশ আমার মধ্যেও আছে,
তোমার মধ্যেও আছে!
এই মুখোশ কথা বলতে জানে;
হাসতে জানে, হাসাতে জানে৷
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
যাকে মেলাও তাকে, জেতাও.. হেরে যাই বার বার আমি.. তুমিও কি জানো, একখানা কাঁথা আছে! মা দিয়েছিলেন, বাড়ির ছাড়ার ক্ষাণিক আগে ন্যাপথালিন মোড়ানো..!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমি মুক্ত হতে চেয়েছি ঝিলিম সন্ধ্যায়..
বর্ষা আসবে বলে তুমি বারণ করেছো!
দিয়েছো ভাগ্যের দোহাই…অন্ধের মতো ঘরকুটুরে বসে রাখিয়েছো..
বুনো হয়ে যেতে দিয়েছো অপ্রাপ্তির হালখাতায়!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
হায় বিধাতা, আমি তো হতে চেয়েছিলাম বয়ে যাওয়া নদী!
কাশফুলের স্নিগ্ধতায় যে আবেগ শরতে মুড়ে থাকে..
আরও কত কি কলবাতাসের গান শোনাও আমায়!
স্থবির হই কাগুজে ফুলে মোড়া নীলাদ্রি ভাগ্যমেলায় !
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
মুখোশ বুঝতে শিখায়,
মুখোশ জানিয়ে দেয় তোমায়-আমায়!
মুখোশ বুঝিয়ে দেয় কত কিছু!
মুখোশ ডুবিয়ে দেয়, ভেঙে দেয় মন্দর!
গুড়িয়ে দেয় অন্দরমহল!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বেস্ট রোমান্টিক কবিতা ফেসবুক ক্যাপশন (২০২৪)
মুখোশ মুখোশের সাথে প্রেম জড়ায়,
শিমুলতলায় গাড় হয় শীতের কুয়াশা.
মুখোশ বদলে যায়, বিবর্ণ হয়!
ভেঙে চায় সব, উল্টে যায় ব্যবধান!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
নিশ্চুপ থাকি বলে ভেবো না,
মুখোশ পড়ে শ্রান্ত হয়ে আছি!
তোমার মুখ থুবড়ে পড়লে বুঝবে তবে!
এই চোখের দিকে চেয়ে দেখো..
জ্বলছে কত ক্রদণ দহন!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
রাতের অন্ধকার ঘিরে ধরে চারপাশ..
চোখ দুটো অসাঢ় হয়ে আসে..
ঝুম ঝুম নিঝুম বিহ্বল শব্দে..
আমি প্রতিরাতে খুন হয়ে যাই..
কল্পনার আল্পনায় তোমার ছবি এঁকে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তোমাকে কি আমার প্রিয় অসুখ বলতে পারি? সবুজ পাতা, স্যাতস্যাতে বৃষ্টি কিংবা তুমি নামের অসুখ। আমি বার বার ভুল করে ফেলি, থতমত খাওয়া এক বৃষ্টিস্নাত দুপুরে, দুড়ুম করে পা পিছলে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই! তোমাকে লুকিয়ে দেখার যে অসুখ জন্মেছে আমার শরীরে!
এই শরীর তোমায় অসুখের ঘোর রাত্রি দিনে ভীষণ কাছে চায়।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
ভীষণ জ্বরে অসাড় হওয়া পা দুটো, উষ্ণতায় ঠাসা ললাটে তোমার ভেজা ঠোটের একটুখানি চুমু চাই!
আমি তোমায় ভালোবাসতে চাই অনন্তকাল ধরে! কাল পাত্র ভেদে তুমি, হ্যাঁ! সেই তুমি বদলে যেতেই পারো।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
ভীষণ জ্বরে আমার অতিপ্রিয় পাতলা কাঁথার মতো তোমাকেও গায়ে জড়িয়ে নিতে চাই!
অসুখের শরীর নিয়ে তোমার কানের পাশের ভেজা চুল সরিয়ে নিয়ে বলতে চাই, আমি তোমায় ভালোবাসি!তুমি না হয় তোমাকে না বলার এই ঋণটুকু শোধ করতে দিও!
পরের আষাঢ় ঝরার আগেই, তুমি আমার হয়ো!
জীবনের সময় অতিবাহিত হয় নানা কাজে। তবে গোটা জীবনটাই কাজের নয়, আছে প্রচুর অবসর।
এই অবসরকে প্রত্যেকটি মানুষ নিজের মতো করে উপভোগ করতে পছন্দ করে। নিজেকে নিজের মতো করে উপভোগ করে নেওয়ার মধ্যে আলাদা ধরণের এক মজা আছে। নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি যত এরিয়ে চলা যায় ততই ভালো। মুদ্রার দুই পিঠ থাকে, একটি পিঠ দেখে অপর পিঠের বিচার করাটাও ভীষণ অকাজে। জীবনে প্রচুর অবসর নিয়ে বাঁচুন। নিজেকে উপভোগ করুন নিজের স্বাচ্ছন্দ মতো।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বন্ধুত্ব জীবনে ক’বার আসে? এই বোকা প্রশ্নটির জবাব নিশ্চয়ই আপনি জানেন। বন্ধুত্ব জীবনে বার বার আসে। কিন্তু ভালো বন্ধুত্ব আসে কয়েকবার। একজন ভালো বন্ধু আপনার জীবনকে পালটে দিতে পারে। বন্ধু কখনো খারাপ হয় না। বন্ধু কিংবা বন্ধুত্বের গায়ে সবসময় ভালোর তকমা লেগে থাকে। যাদের আপনি বন্ধু ভাবছেন কিন্তু তারা আপনাকে কোন না কোন ভাবে ক্ষতি করেছে, তাদের বিষয়ে একটা কথাই মাথায় রাখবেন। তারা কখনোই আপনার বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি। বন্ধুদের সাথে নিয়ে বাঁচুন। বন্ধুর সুসময় কিংবা দুঃসময়ে বাড়িয়ে দিন আপনার বন্ধুত্বের হাত।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বিগত চার-পাঁচ বছরের বন্ধুতের লিস্ট খুঁজলাম। সেখান থেকে সবার উপরে একটি নামই আসে। সেটি হচ্ছে নিজের নাম। কারণ নিচের চেয়ে ভালো বন্ধু, এই দুনিয়ায় আর কেউ নেই।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কখনো কখনো স্টেশনে আপনাকে একা দাঁড়াতে হবে। তবে সেই স্টেশনে আর কোন যাত্রী থাকবে না। শুধুই আপনি থাকবেন একা একা একটি যাত্রার জন্য অপেক্ষা করবেন। এই যাত্রাই আপনার শেষ যাত্রা। যে যাত্রার যাত্রী হতে হবে সবাইকে। তবে নিরাশ হবেন না, আপনি কোথাও যাচ্ছেন না। আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। স্টেশন চলে আসবে আপনার কাছে। অনেকগুলো গাড়ির মধ্যে আপনি যেকোন একটা বেছে নিতে পারবেন। তবে সেই গাড়িটি আপনার জন্য কেউ একজ বরাদ্দ করে রেখেছেন। তিনি এ ভ্রম্মান্ডের মালিক।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
নদীর সাথে যেমন নৌকার সম্পর্ক। তেমনই নৌকার সাথে মাঝির সম্পর্ক। বিকেলের শেষ আকাশে সূর্য যখন ঢলে পড়ে তখনও মাঝি কারো জন্য অপেক্ষা করে। আজ কেউ একজন আসবে ওপারে যেতে। নদী বলেছে নৌকাকে, মাঝি ধরেছে বৈঠার হাল। কেউ একজন আসবে, ওপারের সবুজ ঘাসে ঘুরে বেড়াবে। আকাশ বাতাস জানে সেসব কথা।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
গাছের চিরল পাতার দিকে তাকিয়ে থাকতে অদ্ভুত এক শান্তি কাজ করে। এই শান্তির মধ্যে একধরনের বিশুদ্ধতা আছে। যে বিশুদ্ধতায় প্রতিটি মানুষ বাঁচতে চায়। গাছের ছায়ায় তৃপ্তির এক আবেশ পাওয়া যায়। এই তৃপ্তি নিদারুণ স্নিগ্ধতার। গাছকে ভালোবাসুন। গাছ তো আপনার নিশ্বাসের সাথে কখনো বেঈমানি করে না।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
মেঘে মেঘে আগুন লেগেছে।মুগ্ধ হয়ে দেখেছে শেষ বিকেল।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বৃষ্টি দিনের গান, একা হয়ে বসে থাকা।
কিংবা দগ্ধ আকাশের ঝলসানো মেঘের খেলায় হলদে ফেরীর সাথে কাব্য কথার উপখ্যান!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
রিলেশনের কথা বলার আগে ছোটখাটো একটা ব্যপার শেয়ার করি। এটাকে দুঃখের ব্যপারও বলতে পারেন। বিশেষ করে লেখক সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী ফেসবুকে পোস্টানোর মতো অসংখ্য লেখা প্রতিদিন পোস্ট করে কিংবা লাইভ/ভাইরাল কোন টপিকের উপর লিখে টিখে পুষ্ট হয়ে যায়। কেউ লেখে রাজনীতি, কেউ খেলাটেলা, কেউ আবার বিষাদ প্রেম কাহিনী/প্রিয়তমা দিয়ে শুরু করা গল্প। কেউ আবার জীবন আর ডিপ্রেশন নিয়ে লেখে। আমি ক্লাস ফোর থেকে ফেসবুক ইউজ করি। মানে ঐ বাটন ফোনের যুগ থেকেই ফেসবুক চালাই টালাই। প্রোফাইল এবাউটে রাইটার দেইখা অনেকেই আশাবাদী হইয়া টইয়া আমারে ফেন্ড রিকুয়েস্ট দেয়। কিছু দিন পরে দেখি আবার আনফ্রেন্ডও মারে। ব্যপারটা আসলেই বুঝতে পারি না। তাইলে কি আমার লেখক হইবার মতো গম্ভীর্য ভাব দর্শকদের সামনে প্রদর্শন করতে হবে? ব্যাপারটার সাথে আমি একমত না। আমি সবার সাথে সমীহ করে আগানোর চেষ্টা করি। এতটুকু ম্যাচিউরিটি আমার মধ্যে আছে বলে নিজেকে বিশ্বাস করি। আমার ঘরে আমি যেমন ন্যাঙটো হয়ে নাচতে পারবো, আমার ফেসবুকে আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো। এতটুকু ব্যপার নিয়ে আমি স্বাধীনচেত্তার মানুষ হিসেবে বিলং করি।তবে কখন কোথায় ন্যাংটো হতে হবে সেটিও ভালো করেই জানি। তবে অনেকেই আমাকে গুলিয়ে ফেলে। এই গুলিয়ে ফেলার প্রবণতা আমি দূরের কাছের মানুষদের কাছ থেকে অবজার্ভ করেছি। আমি কম্পলিটলি সেল্ফ লাভার, পিসফুল একজন মানুষ। মাঝেমধ্যে টেনশন/স্ট্রেস, ফাস্ট্রেশন ফেইলিয়রের স্বাদটাদ নিজ দায়িত্বে ভীষণ উপভোগ করি। এই কথাটুকু অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে।
দেখুন আপনার যদি আমাকে আপনার মতো জাজ করার প্রবণতা থাকে সেটি আপনি করতেই পারেন। এটা আপনার চিন্তার স্বাধীনতা, আবার আমি কিভাবে চিন্তা, চেতনায় বিশ্বাস করি, কিংবা আমি যা ই করি সেটি আমার স্বাধীনতা। আরেকটি কথা হচ্ছে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে বন্ধুত্বের সংখ্যা মাত্র চারশো ছুঁই ছুঁই যাদের সবাইকেই আমি চিনি /চিনি না/ মোটামুটি চিনি।সবাইকে ব্যাক্তি বিশেষ শ্রদ্ধা,স্নেহ, কিংবা ভীষণ পছন্দ করি।আমার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেওয়াটা কোন ভাবেই অনার্থক নয়। আপনার সাথে আমার সম্পর্কের একটি সিগনেফিকেন্ট জেনার বলতে পারেন। আমি আমাকে খাওয়ার মেনু দিয়ে দিলাম, কিভাবে খাবেন সেটি আপনার ব্যপার।
আমি জন্ম থেকে সিঙ্গেল, কাউকে হয়ত পছন্দ টছন্দ করি। আপাতত রিলেশন না, মানুষ পছন্দ করে রাখা আছে। চাকরী করার আগ পর্যন্ত সেই মানুষ সিঙ্গেল থাকলে তার বাসায় প্রপোজাল পাঠিয়ে দিতে পারি।ব্যস এই টুকু আমার সাধ্যের মধ্যে।সে প্রপোজাল রিজেক্ট করলেও আমার আফসোস নেই। থাকার কথাও না। ততদিন সিঙ্গেল ট্যাগধারী হয়েই বাঁচতে চাই। সিঙ্গেল থাকার অদ্ভুত সুখ হচ্ছে নিজেকে নিয়ে ভাবাটাবা যায়। সিঙ্গেলেই মঙ্গল!
ব্যক্তিগতভাবে, রিলেশনশিপের থেকে ফ্রেন্ডশিপে বেশি ভরসা করি।
“One of the major benefits of being single is having the space in your life to spend quality time with friends,”
-Roxy Zarrabi, Psy. D., a clinical psychologist.
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
দীর্ঘশ্বাস গুলো পূর্নতা পাক,
পাতায় পাতায় ছন্দহীন কবিতা গুলো ছন্দ হয়ে
বেজে ওঠুক রিনিঝিনি সুর করে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
দলছুটো ভালোবাসারা মুক্তি পাক।
অপেক্ষারা ঝরে যাক-
বসন্তের লালচে বাদাম পাতার মতো!
না বলা কথা গুলো, বলা হোক-
বিষাদ আর ভালোবাসা যত!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কি প্রেমে জড়ালে আমায়,
জড়ালে কি অপূর্ণতার অদ্ভুত মায়ায়।
দূরে ঐ সোনালি পাহাড় ডাকে আমায়
আমি ঠিক ঠিক ভালোবাসি তোমায়!
পাহাড়ের মতো, নদীর টলমলে জলের স্রোতের মতো
হৃদয়ে আছে না বলা কথা যত..
আমি ঠিক একবার নয়, বার বার তোমায় কাছে চাই!
তাই যেন হয়, ঠিক তাই যেন পাই।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তবে শারদের এ দিন গড়িয়ে!
তোমাকে নিয়ে ভাবা সোনালি রোদ্দুরে
তবে কথা দাও এ শারদ সমীরণে!
পরেরবার আমাদের প্রণয়সুখে,
কাশফুলের শুভ্রতা ভেসে বেড়াবে.. শারদ সমীরণে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তোমাকে কি প্রিয় অসুখ বলতে পারি?
সবুজ পাতা, স্যাতস্যাতে বৃষ্টি কিংবা তুমি নামের অসুখ।
আমি বার বার ভুল করে ফেলি,
থতমত খাওয়া এক বৃষ্টিস্নাত দুপুরে,
দুড়ুম করে পা পিছলে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে,
তোমাকে লুকিয়ে দেখার যে অসুখ
জন্মেছে আমার শরীরে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
এই শরীর তোমায় অসুখের ঘোর রাত্রি দিনে ভীষণ কাছে চায়।
ভীষণ জ্বরে অসাড় হওয়া পা দুটো,
উষ্ণতায় ঠাসা ললাটে তোমার ভেজা ঠোটের একটুখানি চুমু চাই!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমি তোমায় ভালোবাসতে চাই অনন্তকাল ধরে!
কাল পাত্র ভেদে তুমি, হ্যাঁ! সেই তুমি বদলে যেতেই পারো।
তবে ভীষণ জ্বরে আমার অতিপ্রিয় পাতলা কাঁথার মতো তোমাকেও গায়ে জড়িয়ে নিতে চাই!
অসুখের শরীর নিয়ে তোমার কানের পাশের ভেজা চুল সরিয়ে নিয়ে বলতে চাই, আমি তোমায় ভালোবাসি!
তুমি না হয় তোমাকে না বলার এই ঋণটুকু শোধ করতে দিও!
পরের আষাঢ় আগেই, তুমি আমার হয়ো!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
প্রহেলিকা! তুমি এভাবে বৃষ্টি হয়ে ঝরবে,
বিশুদ্ধ বাতাস, তুমি এভাবে স্নিগ্ধতায় আমায় জড়াবে!
উপহাস তুমি এভাবে হেয়ালি মেঘের মতো কাঁদবে!
ভেজা রাস্তায় চুমু খাওয়া রডোডেনড্রন!
আধখাওয়া লাল-নীল কৌশিক বেদনার দল!
স্নিগ্ধতায় ভেজা অপরূপা অপরাজিতা!
আকাশের বেদনায় সবার গলায় হুইস্কির ঢোক !
আমার ভেজা সন্ধ্যায়, তোমার বানানো উপখ্যান!
শীতলপাটিতে মলিন আলপনা-
অথবা আমার চোখে তোমার ভেজা ঠোঁট!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
শুকনো ঝরে পড়া পাতাগুলোর উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কান্নার সুর করে-
মরমর শব্দ হোক!
না পাওয়ার বেদনারা মরে যাক
কষ্টগুলো উড়ে যাক
উড়ে যাক বেদনারা-
বসন্তের ঝড়ে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
দীর্ঘশ্বাস গুলো পূর্নতা পাক!
কাঠফাটা রোদে-
না পাওয়ার হাসি; হেসে উঠুক শব্দ করে!
শেষ রাতের নিরবতায় বিয়োগের স্মৃতিগুলো
ঝড়ে যাক মরা গোলাপের মতো!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
পরিবর্তন, এই শব্দটির কেন পরিবর্তন হয়না?
ভাঙন,এই শব্দটি কেন ভাঙে না?
কান্না, এই শব্দটি কেন কাঁদে না?
পিপাসা’র পিপাসা লাগে না?
স্বপ্ন কেন স্বপ্ন দেখে না?
মৃত্যূর মৃত্যূ কেন হয় না?
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
সিগারেটের বিষাক্ত ধোয়া মিশুক-
প্রেমিকার শ্যাম্পু ঘ্রাণের চুলে।
সিগারেট না হয় আমাকে ছাড়ো-
কথা কাটাকাটি হোক এই ভুলে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
মন হারালে বেখেয়ালে!
তোমায় বেঁধে রাখব সাথে
সুখ খুঁজব না হয় দুজন
তোমার আমার চোখে ।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
প্রত্যাখ্যানের সুর,
এই ভরদুপুর,
পা বাড়িয়েছি ভুল প্রান্তরে!
নিকষ কালো অন্ধকারে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তাইতো ভেঁসে,
বেড়ানোর নরকের নগরীতে-
কাঁটফাটা রোদ্দুর!
এসিড বৃষ্টি,
কিংবা সীমাহীন বজ্রপাত!
সয়ে যাচ্ছি দিন রাত।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
থেকে যা না আর ক’টা দিন,
বিষণ্যতা ভুলি;ভুলি তোর মুখ
তোকে ছাড়া বাঁচতে শিখি
দিতে শিখি সুখে ডুব
তোর না থাকার মর্ম বুঝি!
তোর হারাবার কারন খুঁজি
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
-মাইনুল হোসেন
প্রিয়তমা আমার
যেদিন তুমি অনুভবে বুঝতে শিখবে,
তোমার হৃদয়ে প্রেম পেয়েছে বৃদ্ধি।
যেদিন তুমি বুঝতে শিখবে,
তুমি গভীর সাধনায় লাভ করা সিদ্ধি
-মাইনুল হোসেন
বেস্ট রোমান্টিক কবিতা ফেসবুক ক্যাপশন (২০২৪)
৯.
সব মুখ চাইলেও ভোলা যায় না,
কিছু মুখ চিরকাল মনে থাকে,
সব দুঃখ চাইলেই সুখে পরিনত করা যায় না।
কিছু দুঃখ চিরকাল সুখ মুছে দেয়।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
১০.
আকাশের রঙ বদলে যায়,
গোধূলী আলোয় উড়ে যায় স্বপ্ন।
দু চোখ ভিজে যায় জলে,
দুঃখ পাঠাও তুমি অন্যের হয়ে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
১১.
তুমি আমার জীবনে বসন্ত হয়ে এসো,
চলে যেও কোন ধূসর রাঙা দিনে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তাও তো আমার কাছে জমানো দীর্ঘশ্বাস ছিলো
অপ্রাপ্তির হৃদয়ে জমানো ছিলো আশা
যে শারদে সবই হাসে নতুন রঙে তাও
কেন এই মজলিসে আমি একা ?
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
চারদিকে রঙ জমেছে
সেজেছে দিন নতুনের আহ্বানে
যে রঙে নেচেছে এ প্রান্তর
খিলখিলিয়ে হেসেছে ঋজু
শিমুল ডগায় শিশির জমেছে
রিক্ততায় শূন্যতায়-
মরে বিভেদ’ তবু আমি বেঁচে যাই!
তোমার টানে, হৃদয়ের টানে
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তাও তো আমার কাছে জমানো দীর্ঘশ্বাস ছিলো
অপ্রাপ্তির হৃদয়ে জমানো ছিলো আশা
যে শারদে সবই হাসে নতুন রঙে তাও
কেন এই মজলিসে আমি একা ?
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমি কি তোমায় তবে প্রশ্ন ছুড়তে পারি?
কেন সহজ সমীকরণের উত্তর মেলে না!
আমি কি তবে বুঁদ হতে পারি !
শিশির জমানো রাঙা ভোরে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
অভাবে স্বভাবে অনার্থক এসব চিন্তার ভার
যৌবে বাড়ে কটাক্ষ,
আমি তো বার বার মরে যেতে চেয়েছি
জীবন বড়ই দূর্ভেদ্য !
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমি তো বারং বার জীবনের তাড়নায় হারিয়ে গিয়েছি!
হিসাবের ষোলগুটিতে নিজেকে নিঙরে নিয়েছি!
জীবনের তাড়নায় কঠিন হয়ে যাই,
ভেঙে পড়ি বার বার
বুঝি কিংবা না বুঝি!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
ভেজা ঘাসের পারুল বনে,
আমি সেদিন তারে চিনেছিলেম
অপরাজিতার স্নিগ্ধ গন্ধে!
শিহরণ জাগ্রত হয়েছিলো রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
ঠিক সেদিনেরই কথা-
পৃথিবীতে কতগুলো ফুঁটফুটে ফুল
জন্মানোর আগেই ঝরে গিয়েছিলো!
কিংবা তাদের ঝেরে দিয়েছিলো।
তারা পৃথিবীর হয়ে জন্মাতে পারেনি!
লেখা হয়নি কত ভাগ্যের কাব্য!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
অসুখ সুখের বাতিঘরের আলো নিভিয়ে
কত প্রাণ দিয়েছে আত্মহুতি!
কেউ কেউ চলে গিয়েছে,
এই ভেজা বৃষ্টির দিনে।
কত প্রাণ ঝরেছে,
অকালে কেঁদেছে কত চোখ।
এই শিক্ত বর্ষা ভেজা দিনে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কারো বিচ্ছেদ হয়েছে পরকীয়ার ছোবলে!
অথবা পরম উষ্ণ ভেজা আদরে
তবুও কিছু কিছু প্রেমিক ভালোবেসেছে।
হাত দিয়ে কেউ কেউ বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখেছে৷
বৃষ্টির ভেজা গন্ধে কেউ সিগারেট ধরিয়েছে।
আমিও তাদের একজন হয়ে
তোমায় ভালোবাসতে চেয়েছিলেম।
তোমার প্রণয়সুখে, মনখারাপের বৃষ্টির দিনে
হাতে হাত রেখে সঙ্গী হতে চেয়েছিলেম।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
শহরে শহরে শয়তান নেমেছে,
নরকের আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন
ভালো হয়েছে অসৎ, নষ্ট হয়েছে বিবেক
শহরে রাজপথে, বিবেকের মগডালে
বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার! তুমি কী জানো না?
শহরে শহরে নেমেছে শয়তান,
উল্লাস ধ্বনীতে পথভ্রষ্ট হয়েছে নিশ্বাস।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আকাশে আজ এসিড বৃষ্টির তোড়জোড়
মাছের বাজারে ঠায় দাঁড়ায়ে ন্যাঙটা হায়না
অট্টালিকার দেয়ালে দেয়ালে কিসের যেন ক্ষোভ
শয়তানের হাসিতে দেয়াল বেয়ে নামে লালসা
শহরে শহরে আগুন লেগেছে,
কাফের হয়েছে নরকের মগ্নতায়,
বৃষ্টি আজ ঝরতে ভুলে গিয়েছে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বিবেক ধুঁকছে জড়তায়!
আর কবিতার পান্ডুলিপি গিলে খেয়েছে সংকট!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কামণার ক্রোধ হারিয়ে আজ
সমকামের পাপে মেতেছে ভ্রষ্টের দলেরা।
কাপুরুষত্ব আজ ছড়িয়ে গিয়েছে; মেরুদন্ড হয়েছে কেঁচোর চেয়েও নরম।
স্পর্ধা বেড়েছে; বেড়েছে কত কি!
মধ্যবিত্তের দুয়ারে দাঁড়ায়ে হতভাগিনী;
আমায় একটু ধরো; তুমি কি জানো না?
শয়তান নেমেছে শহরের অলিতে-গলিতে।
তারা মেতেছে নির্বুদ্ধিতার কড়াল গ্রাসে..
শহরে শহরে আগুন লেগেছে, নরকের রেশ এসেছে দুনিয়ায়।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
সূর্য্য ডোবার পরেই অন্ধকার আসে;
ভুলে যাও কেন মাগরিবের আজান?
দিনের শুরুর আগে ফজরের পাপ মোচন।
শহরে শয়তান নামলেও, ইশ্বর আছেন অন্তর্জামে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
হৃৎপিন্ডে যতবার দাগ ধুয়ে গিয়েছিলো।
ততবার আমি প্রেমে পড়েছিলাম।
ঠিক ততবারই আমি
গাছপাতার সুঘ্রাণ পেয়েছিলাম।
আমি মুগ্ধ হয়েছি বার বার!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
ঝড় এসে উড়িয়ে দিয়েছে যতবার।
ততবারই সিক্ত হয়েছে,
আঙুল দিয়ে দুঃখ চেপে-
দীর্ঘশ্বাস নিতে নিতে ভেবেছি
আরো একবার,
ঠিক আরো একবার আমি প্রেমে পড়তে চাই।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমি বাসন্তীকে ভালোবাসতে চাই।
আষাঢ়ের রুদ্রঝড়ে বিলীন হতে চাই।
তারা কি আমায় খুঁজে পাবে?
আধার রাতে বিলীন হওয়া শোকেরা।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
শীতল সবুজ বার বার
এসে আমায় প্রেমে পড়ায়!
প্রেমে পড়বার আগে
আমি আরেকবার নোনা সুখে সিক্ত হই
প্রেমে পড়ি একবার দুই বার, বারবার ।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি জানো?
আমার মাঝে একটা স্বত্তা বাস করে,
যেখানে তুমি থাকো অবলীলায়,
ঘুরে বেড়াও হৃদয়ের অন্দরমহলে!
তোমার স্বত্তা, আমার স্বত্তা মিলেমীশে একাকার।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে,
তোমার কামনায় পরিপূর্ণে।
তোমার ভালবাসা আমার নেশা,
এবং আমার আত্মা আগুনে পুড়ে যায়।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তোমার হাত আমার হাতে,
আমরা হাঁটছি, জীবনের পথ ধরে,
একসাথে, পাশাপাশি-
আনন্দ-বেদনা এবং কলহের ভেতর দিয়ে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমার ঠোটের প্রতিটি স্পন্দন খেলা করে
তোমার বুকের পাহাড় ছুঁয়ে, তোমার গলায়, তোমার কানের আশেপাশে!
তোমার কপাল বেয়ে নামা চুম্বন গড়ায়
কোমল ঠোটের হরণস্পর্শে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
পাতা পবণে পাখিদের কুঞ্জগানে..
শহুরে ঝঞ্জাট রিক্সার টুংটাং আওয়াজে
তোমায় দেখে হবো আবেগী.
মস্তিষ্কে কবিতার সিম্ফোনী..
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি হবে নীল অপরাজিতা..
নীল ফুলে মেঘে মেঘে আষাঢ় ঘনঘটা
আমি বরং বৃষ্টি হই..
আশির্বাদ হই কারো জীবনে..
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
দিন আসে দিন যায়,
স্মৃতি হত্যার দায়ে আসামীর হয় মৃত্যুদন্ড
ঠিক-বেঠিকের ময়নাতদন্তে
সাপের গর্ত থেকে বের হয় নেউলে ।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
রাতের অন্ধকার ঘিরে ধরে চারপাশ..
চোখ দুটো অসাঢ় হয়ে আসে..
ঝুম ঝুম নিঝুম বিহ্বল শব্দে..
আমি প্রতিরাতে খুন হয়ে যাই..
কল্পনার আল্পনায় তোমার ছবি এঁকে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বসন্তের ক্যাপশন (২০২৪)
বসন্তের কোন লালচে রাঙা দিনে,
চায়ের কাপে চুমুর ক্ষতের ঋণে,
পথহারা কোন পথিকের ডাকে
বেদনা নীল রঙে, লাল খামে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কতদিন হয়েছে এই অপার্থিব নরকবাস,
গুনেছি রাতপ্রহর, শুনেছি কত উপহাস!
স্বপ্নগুলো পুড়েছি, রাত শেষে দীর্ঘশ্বাস..
উড়োচিঠির আক্ষেপে পুড়েছি, হয়েছে রক্তহ্রাস
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
এই অপরাধে কেন জ্বলছি আমি?
এই অপরাধে কেন জ্বলছে ফাগুন?
কেন এই বসন্তে দেহজ্বলে, কী পাপ আমার?
কেনই বা আমি অধমের দলে?
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
মুক্তি চাই শোকের স্লোগানে..
আমার একটু করো কবর নিও..
তোমার বেদনাশিক্ত..বাগানে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
ভেবে নিও আমি আছি তোমার গন্ধে…
রক্তের পাত্রে, পাপের খাতায়..
রন্ধ্রে রন্ধ্রে শিরায় শিরায়,
শান্ত মেঘ গুলো কোথায় হারায়?
কোথায় বৃষ্টি নামে..
তোমার চোখে কার প্রতিচ্ছবি
আমি ডুবি নীল হৃদে…
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বৃষ্টির আগে বাতাসের স্নিগ্ধ গন্ধ বয়।
তোমার পদচিহ্ন আমার বুকে পড়ে রয়
এরপর কত ঘনঘটা বর্ষা এলোগেলো,
বাতাস জুড়ে কয় ঘটনা রটে গেলো।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আধখাওয়া সিগারেট, পিন ভাঙা কলম
সবকিছু খবর রাখে তোমায়!
আমি বড্ড অসহায় অপরাজিতা…
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমি অসহায় একা, রোডলাইটের মতো
আমি অসহায় একা, এক কাপ চায়ের ক্ষত!
আমি অসহায় একা, শেষরাতের বাদলা জ্বরে
আমি বড় অসহায় একা, ভেজা কাক হয়ে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আরো কত কিছুই হবে-
আমরা হাটবো-
ছুটবো,হাটব,হাসব,কাঁদব।
থমকে যাবো
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমাদের দূরত্ব উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরুতে।
আমাদের মাঝে শত কোটি ব্যবধান।
দিনশেষে আমরা কেউ কারো ছায়া মাড়াই না।
তবুও আমাদের পরিচয়টা যেন সহস্র বছরের!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
প্রতিশোধ নেবে? নাও তবে।
আমি ভালোবেসে খুন হয়ে যাবো,
তোমার ঐ আড়চোখের চাহনি,
ডেকে এনেছে আমার সর্বনাশ।
আজ আমি রুদ্ধ, আজ আমি বদ্ধ!
নাও তবে প্রতিশোধ এইরাতে!
হাতে নাও তোমার পছন্দের হাতিয়ার
আমি না হয় নেবো একগুচ্ছো কাঠগোলাপ
তুমি কি কাঠগোলাপ পছন্দ করো?
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
পাহাড় সমান দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকতে শেখো!
চিলেকোঠায় মুখ লুকিয়ে, চাঁদ দেখে রাতের নিশ্বাস নিতে শেখো! একঘেয়ে, একঘরে জীবন নিয়ে বেঁচে থাকতে শেখো পুরনো শ্যাওলা জড়ানো কবরটাতে নাহয় বছর শেষে একগুচ্ছ জবা ফুল দিয়ে এসো!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমি কথা দিলাম, ফিরে আসবো!
কোন বছরের শেষের দিকে,
কিংবা শুরু দিকে,
বসন্তের শুরুতে, পাতা খসে যাওয়া দিনে!
তোমার কাছের প্রত্যেকটা ঋণে।
আমার চোখের জলে মিটিয়ে দেব !
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
পাতা খসে যাওয়া শ্যাওলা পড়া পথটায়,
নিশ্চুপে কেউ কি হেটে যায়?
আকাশ থেকে কি ঝরে তুষারপাত?
চোখ ভেজা, কুসুম ভোরের সুখে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কবিরা শেষ বয়সে পাগল হয়ে যায়!
লেখকরা হয়ে যায় বুড়ো খুনি!
শোনাও এবার রাজ্য বিজয়ের কথা!
সকালের বেড়ালগুলো কাঁদে!
খুনি লেখক ঠান্ডা মাথায় শেষ নিঃশ্বাস ছাড়ে
কলমের মৃত্যু হয়!…
বানানো,সাজানো,চরিত্ররা দল বেঁধে হাসে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কবিরাও শেষ বয়সে এসে পাগল হয়ে যায়!
মাত্রহীন,ছন্দহীন-
একগুচ্ছো বানান ভুলের কবিতা লিখে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কখনো কি চোখে বাঁচার আশা খুঁজেছো?
খুঁজেছো নিজেকে শীতের কুয়াশায়!
ভীষণ শীতের রাতে ভেবেছো আমায়?
কোন অজানা অচেনা মায়ায়..!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি কি এই সাঁঝসকালে,
কুয়াশার চাঁদর হাত বুলিয়ে আমায় ভাবছো?
আধমরা ঘোরঘুমের শহরটা দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে
দুচোখের নিচের কালি ফেলেছো?
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বাতাসে মোহের ধূলিকণা ওড়ে!
আমরা থমকে যাই, দাঁড়িয়ে যাই!
থতমত খেয়ে অবাক মুখে তাকিয়ে থাকি!
কল্পনা বাস্তবতার আবেগ-দুঃখ মিশালি
জীবন অকোপটে, কল্পনার উকিবুকিতে
জীবনের যত নোনা,তিক্ত দুঃখ যাপি!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বোকার শহরে ভাবুকদের মূল্য নেই!
রাত জেগে সাজানো পান্ডুলিপির মূল্য নেই।
আধখাওয়া সিগারেটের মূল্য অনেক!.
দেয়ালে দেয়ালে সফলতার পোষ্টারে ছেঁয়ে গেছে!
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষের মূল্য নেই।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তোমাদের জীবন স্রোতের পিচঢালা রাস্তঘাট,
শহুরে লেকের শ্যাওলাকে একটি প্রশ্ন করি!
এ শহর কি শুধুই তাদের? এ শহর কি শুধুই ঘাতের?
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
জীবনের বছর গুলো-
কত কি ভেবেই পার করে দিয়েছে
কখনো সাক্ষি হয়েছে জন্মের,
কখনো কখনো মৃত্যুর
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বাড়লো বয়স! কেটে গেলো কত দিন!
কত বর্ষা এলো গেলো! মাঘের শীতে কাঁপলাম ভীষণ
পড়ে রইলাম রাস্তার ধারে, কখনো অঘোরে ঘুমিয়ে,
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
মানুষ মানুষ মানুষ…..
এত্ত বড় একখান প্রশ্নচিহ্ন রাইখা
মানুষ হইয়া যায়, অমানুষ!
ভাগ্যের মানুষ, অভাগ্যের মানুষ।
সৌভাগ্যের মানুষ,দুর্ভাগের মানুষ।
সৌর্যের মানুষ-বীর্যের মানুষ।
অভাগা মানুষ,অসহায় মানুষ।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
উগ্র বলছো? বলছো নাকি বিক্ষুব্ধ?
অথবা কি যেন বলে- মেন্টাল স্ট্রেসে অ্যাবনর্মাল?
অথবা বলতে পারো, কবিতা লেখা আধপাগল!
যাদের কি যেন বলে? যাক গে বাদ দেও সেসব মিথ্যে জার্নাল
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
শহর তবে মুক্তি দাও আমায়!
জীবন আমায় মুক্তি দাও এবার!
দাহ করো অথবা দিও দাফন।
ক্ষমা করো এবেলায়,
আমি হতে পারিনি শহুরে পাষাণ ।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
এ গানের নাম কি আত্মসত্ত্বা দেয়া যায়?
যেখানে একটি শরীর-
একটি খাঁচার পাখিকে মেরে ফেলে?
আত্মসত্ত্বা আবার কি?
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
জীবন নিয়ে গড়িমসি করে
জীবনকে খেয়ে ফেলেছো-
বিষন্নতা তোমার একার জীবনে নেই।
মহিতোষ গায়েন এর লেখা কবিতার কিছু পঙ্গক্তি
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমাদের মন নিকৃষ্ট; আর আত্মশুদ্ধি?
সে জিনিস কি পাপের দুয়ার ছেড়ে বের হতে পারে?
প্রশ্নোত্তর পরে খুঁজবো না হয়-
সব হারিয়ে একলা হয়ে,ঘরের কোণে;ঘোর কাঁটিয়ে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি আমায় আঁদর করো মেঘ ফুরানোর আগে,
তুমি আমায় জাপটে ধরো আষাড় রাতের বজ্রপাতে।
তুমি আমায় শুধু ভালোবেসো, বৃষ্টি নামার আগে।
সবটুকু ঋণ শোধ করে দেব আজ,
ঘুমহীন মাঝরাতে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি আমায় আঁদর করো, শেষ বিকেলের অভিযোগে
তুমি আমায় জাপটে ধরো, অন্ধকারে ভয় পেলে
অন্ধকারে ভয় কিসের মেয়ে, আছি তোমার পাশে।
আমি তোমায় আঁদর করি, ঘুমকাতুরে মগ্ন ঘ্রাণে।
তুমি আমায় একটু আঁদর করো, রাত ফুরানোর আগে!
প্রণয় শিখায় জ্বলছে আগুন, অন্তরে ফুটেছে ফাগুন।
শিহরণের প্রতিরাতে, তুমি আমায় আঁদর করো
মেঘ ফুরানোর আগে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি আমায় আদর করো উষ্ণ হাতে শীতল অলীকে,
তুমি আমায় আদর করো প্যারাফিন ছোঁয়া অঘোর অসুখে,
তুমি আমায় আদর করো বসন্তের স্নিগ্ধ বাতাসে
তুমি আমায় আদর করো বিষণ্যে ডুবে থাকি যখন।
তুমি আমায় আঁদর করো, জ্বর কাতুরে শরীর যখন!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
নিজেকে সাজাও আজ,
নিজের মতো করে,
ভীষণ কষ্ট দাও, রাতজ্বরে
ওদিকে চেয়ে দেখো,
স্বাক্ষাৎ কেউ, ঠায় দাঁড়ায়ে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
যদি মনে পড়ে আমায় তোমার,
চিঠি লিখো রক্ত দিয়ে,
শিহরণ ভেজা কামনায়,
তুমি আমায় মনে রেখো মৌনতায়।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
ডাকবাক্সে ফিসফিস
কবিতায় আজ বিষফিস
মাথাজুড়ে টুপটাপ, গুপচুপ।
এসো ছন্দ মেলাই, জীবন অংকে।
দুঃখ চাপি আজ, লাশকাটা ঘরের ব্লেডে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি আমায় আদর করো উষ্ণ হাতে শীতল অলীকে,
তুমি আমায় আদর করো প্যারাফিন ছোঁয়া অঘোর অসুখে,
তুমি আমায় আদর করো বসন্তের স্নিগ্ধ বাতাসে
তুমি আমায় আদর করো বিষণ্যে ডুবে থাকি যখন।
তুমি আমায় আঁদর করো, জ্বর কাতুরে শরীর যখন!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি তুমি তুমি! আমায় ধরো, আদর করো, চুমু খেও।
শেষ রাতের স্নিগ্ধ আবেশে, তোমার নিষ্পাপ মুখ।
তোমার স্নিগ্ধ চেহারায় মিশে আছে অদ্ভুত জড়তা।
তুমি যেন পবিত্র, স্নিগ্ধ সুন্দর উড়ো বাতাসের নিঃশর্ত মুক্তি
আমি তোমাতেই মুক্তি চাই, অশোকের জেলখানায়,
আমার বিচার তুমিই করো। তাও তুমি আমায় আদর করো।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি আমায় জাপটে ধরো,
চোখের তারায় চোখ রেখে, তুমি আমায় পাগল করো।
ঝড়ের মতো প্রলয় হয়ে প্রেম বাতাসের খেয়াল হয়ে
তুমি আমায় আঁদর করো! তুমি আমায় ধরে রাখো
শরীর ছোঁয়ার কাঁতরতায়, তুমি আমার সকাল হয়েও
অশান্তির ঝড় ঝাপ্টায়, তুমি আমায় ভালোবেসো
চৈত্রের অতৃপ্ত খরায় !
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি আমায় আঁদর করো মেঘ ফুরানোর আগে,
তুমি আমায় জাপটে ধরো আষাড় রাতের বজ্রপাতে।
তুমি আমায় শুধু ভালোবেসো, বৃষ্টি নামার আগে।
সবটুকু ঋণ শোধ করে দেব আজ,
ঘুমহীন মাঝরাতে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি আমায় একটু আঁদর করো, রাত ফুরানোর আগে!
প্রণয় শিখায় জ্বলছে আগুন, অন্তরে ফুটেছে ফাগুন।
শিহরণের প্রতিরাতে, তুমি আমায় আঁদর করো
মেঘ ফুরানোর আগে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
হৃদয়ে পাথুরে যন্ত্রণার মাকড়
শিকড় ছড়িয়ে সারা স্বরে,
জোনাক জ্বলে তোমার ঘরে
ধূসর ঝাপসা চোখে তোমার শহরে
করুণ সাইরেণে ছোটে আমার খবর
আমার সময় নেই প্রিয়তমা!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আলো ফোঁটার আগেই পিঠে এসেছে একঝাক বুলেট
লুটিয়ে পরেছে শেষ স্বাধীনতা, আজ স্বাধীন তুমি।
তোমার কারণে বিক্ষোভ হবে না,
দোষ দিও এ অভাগার, দিও যন্ত্রণার ঠাই।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
কাপুরুষ বটে, অর্থের কাছে বিত্ত হারে।
তুমি হাটো কার সাথে?
আমার আজ সময় নেই প্রিয়তমা,
তুমি তো আমার জন্য সময় রাখোনি!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
বাসর সাজানোর পসর বসেছে,
লাল বেনারসির ঝলকে নেচেছে সদ্য ফুরে ওঠা যৌবন।
তুমি কি আমায় মনে রেখেছো?
ওহ! আজ তো তোমার সময় নেই অবলা।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
সে অপরাধবোধে ভোগে, আপ্রাণ চেষ্টায় নিজেকে গুটিয়ে
তোমাকেই তো শেষমেষ ভালোবাসে।
তাকে তুমি অন্তত কাপুরুষ বলতে পারো না।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
একবার যদি দেখা দাও তুমি, অথবা বলো ঐশ্বরিক পাণে।
জেনে রেখো সে নরকে তোমার সাথী হবে
অনন্তকালের অধৈর্যের আগুনে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি তাকে পাপী বলতে পারো কিংবা অভাগা।
চায়ের দোকানে বাকির নামে যার হয় হালখাতা
তাকে কি তোমায় পাওয়ার শোভা পায়?
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
তুমি পাশা সাজাও হ্যালায় ঠ্যালায়।
তুমি হায় মানুষ বটে, শূন্য হাতে ছুঁতে চাও অট্টালিকা।
দিব্য ফাগুনে আগুন জ্বলে, আঁধার রাতে নিভু নিভু প্রদীপে
আগে ইহজনম সামলাও, পরজনমের আগে না হারাও বেখেয়ালে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
জ্বর কাঁতর গ্লাসে চুমুক দিয়ে জল তেষ্টা ছটফট করে
একবার যদি দেখা দাও তুমি, অথবা বলো ঐশ্বুরিক পাণে।
জেনে রেখো সে নরকে তোমার সাথী হবে
অনন্তকালের অধৈর্যের আগুনে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
আমায় তুমি খুঁজে নিও শেষ রাতের আঁধার,
প্রণয় সুখে মেতেছে রাত, শিহরণে তুমি নির্ঘুম
তোমার নামে পত্র লিখি, বানানহীণ চিত্র আঁকি
তোমার গালে কার চুমু গো কে দেয় তোমায় চুম?
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
ডাকবাক্সে ফিসফিস
কবিতায় আজ বিষফিস
মাথাজুড়ে টুপটাপ, গুপচুপ।
এসো ছন্দ মেলাই, জীবন অংকে।
দুঃখ চাপি আজ, লাশকাটা ঘরের ব্লেডে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
মৃতদেহ ডাক পাঠায়,
ভীষণ পাপের বোঝায়!
সিলিফিস আর গনোরিয়ায়
নেক্রোপলিসে ঘুরে বেড়ায়
নেক্রোফিলিয়া রাক্ষস!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
ডুবে যাও, অসুখ-শ্রীঘরে।
কলমে ফিসফিস, দুঃখ বলো কারে?
সব মিলেমিশে তাই,
একটা সিগারেট চিৎকারে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
নিজেকে সাজাও আজ,
নিজের মতো করে,
ভীষণ কষ্ট দাও, রাতজ্বরে
ওদিকে চেয়ে দেখো,
স্বাক্ষাৎ কেউ, ঠায় দাঁড়ায়ে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
মহিতোষ গায়েন এর কবিতার কিছু পঙ্কক্তি
১.
শব্দরা যায় যে চলে ভাষাহীন আজ মন ও মুখ..
দৃশ্যমান লতাপাতা,নির্জনতা এবং মুখোশ মুখ,
আন্তরিকতা যে নেই তা ডাক-বহরে বোঝা যায়
বোঝা যায় মুখ-অভিব্যক্তি,সাঁঝ হৃদয় শূন্যতায়।
-মহীতোষ গায়েন
২.
কেটে গেছে কত রাত্রিদিন,আসেনি কেউ সে দুঃখে
ভোরের কুয়াশায় সূর্য লাজুক চুমু খায় তার মুখে,
কুমারী ঘাসফুল হাসে,আসে হলুদ গাঁদার হাতছানি
ভালোবাসা খুন হয়ে যায়,সে কথা কী ওত জানি?
-মহীতোষ গায়েন
৩.
জলের ভাষা,পাতার ভাষা সহজ নয় তো জানা
বৃষ্টিভাষা গেলেও বোঝা প্রেমের ভাষা না না,
মুখের উপর মুখ লুকায়,যায় মনের থেকে সুখ
বুকের মধ্যে ফুল ফুটলেও যায় না চেনা মুখ।
-মহীতোষ গায়েন
বাংলা স্যাড ক্যাপশন (২০২৪) Bangla Sad SMS, FB Post, Caption
১ কাউকে আঘাত করার আগে একটু ভেবে নেয়া উচিৎ। আঘাতটা কোথায় করছি, আঘাতের পরিমাপ কত, যাকে করছি সে সহ্য করতে পারবে কিনা, বেঁচে থাকবে না মরে যাবে।
২.অস্বীকার করতে পারবে কি?
ভালোবাসতে চেয়েছি,
ভালোবেসেছি, তুমি
ভালোবাসনি
৩. আবেগ হল মোমবাতির মতো,
যা কিছুক্ষণ পর নিভে যায়।
আর বিবেক হল সূর্যের মতো
যা কখনো নেভে না।
৪. আমি কি ভাবে ভুলে যাবো তাকে
মৃত্যু তো দেহের , স্মৃতির নয়।
৫. তার ছেড়ে যাওয়া আমাকে অনেক শিক্ষা দিয়েছে
এখন কাউকে নতুন করে পাবার ইচ্ছে নেই
না আছে কাউকে হারিয়ে ফেলার ভয়।
৬. পৃথিবীতে সবকিছু বুজতে
সময় লাগে,
কিন্তু ভুল বুঝতে একটা
মুহূর্তই যথেষ্ট !
৭. আমি ছিড়ে ফেলেছি ডায়রীর পাতা,
যেখানে লেখা ছিলো হাজারো স্বপ্নের কথা,
শুধু ছিড়তে পারিনি আমার মনের পাতা,
যেখানে জমা আছে অনেক ব্যাথা।
8. হাজারো ব্যস্ততার মাঝে তোমার কথা ভাবি,
খুলে দেখো দুটি আঁখি,
নীল আকাশে উড়ছে পাখি,
পাখিরা সবাই গান গেয়ে শোনায়,
আমি এখন ভাবছি তোমায়।
9. সময় বদলে যায় জীবনের সঙ্গে,
জীবন বদলে যায় সম্পর্কের সঙ্গে,
সম্পর্ক বদলে যায় আপনজনের সঙ্গে,
আপনজন বদলে যায় সময়ের সঙ্গে।
১0. তাকেই বেশি মনে পরে
যে সারাদিন একবারও
আমার খোঁজ নেয় না !!
১১. আমি সবার মন ভালো
রাখার চেষ্টা করি,
কিন্তু সবাই ভুলে যায়
আমারও একটা মন আছে।
১২. যে বৃষ্টির ফোঁটা তোমায় আজ
নতুন প্রেমের স্পর্শ মাখায়,
সেই বৃষ্টির ফোঁটায় পুরাতন প্রেম
দুচোখের জল লুকায়।
১৩. মন ভাঙ্গলে চোখের কোনে
আছড়ে পড়ে ঢেউ ,
বুকে কতটা কান্না চাপা থাকে,
জানতে পারেনা কেউ ।
১৪. মনে ছিলো কতো স্বপ্ন ,
ছিলো কতো আসা..
সব কিছুই মিথ্যে ছিলো
তোমার ভালোবাসা।
১৫. সুখ নামের ছোট্ট নৌকায় আমি দুঃখের মাঝি,
আমার কষ্টের ভাগ নিতে কেউ হয়না রাজি,
এ জীবনে চলতে গিয়ে পাইনি সুখের দেখা,
শান্ত নদীর মাঝে আমি তাই একা।
১৬. ধীরে ধীরে যত বয়স বাড়ছে
না পাওয়ার গল্পেরা
তত বুকে পাথর চেপে বসছে।
১৭. কষ্টে ভরা জীবন আমার, দুঃখ ভরা মন,
মনের সাথে যুদ্ধ করে আছি সারাক্ষন!
১8. খালি হাতে এসেছি, খালি হাতে যাবো,
ভাবিনি এই পৃথিবীতে এত কষ্ট পাবো,
বন্ধু বলো, বান্ধবী বলো, কেউ আপন নয়,
ক্ষনিকের মেলা-মেশা সবই অভিনয়।
১9. মানুষ তখনই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে;
যখন তাকে বোঝার মতো কেউ আর থাকে না!
২0. ঝরে যাওয়া পাতা জানে।
স্মৃতি নিয়ে বাঁচার মানে।
হয়তো বা আমি ঝরে যাবো
সময়ের তালে তোমার মনে।
২১. যেখানে স্বপ্ন আমাদের
এক করতে পারে না
সেখানে বাস্তবতা তো নির্মম।
২২. মানুষের মুখের ভাষা যখন
অসহায় হয়ে যায়
তখন চোখের জল
কথা বলে।
২৩. কষ্ট ছাড়া কেউ অশ্রু ঝরাতে পারে না,
ভালবাসা ছাড়া কোন সম্পর্ক তৈরি হয় না..
জীবনে একটা কথা মনে রেখো,
কাউকে কাঁদিয়ে নিজের স্বপ্ন সাজানো যায় না।
২৪. ছেড়ে গিয়েও স্মৃতির মাঝে
ডুবিয়ে রাখে যে।
কামনা করি স্মৃতি ছাড়াই
ভালো থাকুক সে।
২৫. কার ভিতরে কেমন মানুষ
লুকিয়ে আছে সেটা
শুধু সময় বলে দেয় …
২৬. ভালোবাসার মানুষের দেওয়া সব কষ্টই মেনে নেওয়া যায়,
শুধু মেনে নেওয়া যায়না, তার চলে যাওয়ার কষ্টটা।
২৭. এ কেমন অবাক পৃথিবীতে বাস করি,
ভালোবাসার কথা বলার মত দুই একজন থাকলেও,
তা বোঝার মত কেউ নেই ।
২8. মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলের
পকেট ভর্তি টাকা থাকে না!
থাকে মাথা ভর্তি টেনশন !
২9. তীরটা যখন বুকে ঢুকলো তখন
একটুও কষ্ট পায়নি,
যখন দেখলাম মানুষটা
আমারি পরিচিত তখনই কষ্ট পেয়েছি।
৩0. হাসি সব সময় আনন্দের অনুভূতি বোঝায় না,
এটা মাঝে মাঝে এটাও বোঝায়
যে আপনি কতটা কষ্ট লুকোতে পারেন!
৩১. চায়ের কাপে ভেজানো বিস্কুট
একটাই শিক্ষা দেয়।
কারোর প্রতি এতটাও ডুবে যেওনা
যাতে নিজেকেই
ভেঙে পরতে হয়।
৩২. জীবনে বড়ো ধাক্কায় তাদেরই
চোখের জল শুকিয়ে যায়।
যে সব মানুষেরা খুব ছোট ছোট বিষয়ে
ইমোশনাল হয়ে কেঁদে ফেলে ,
৩৩. যে ধোঁকা দেয়,
সে চালাক হতে পারে!
তবে যে ধোঁকা খায়,
সে বোকা নয়, সে বিশ্বাসী!
৩৪. চাঁদ তুমি শুনবে কি
আমার মনের কথা ?
সত্যি বলছি আমিও যে
তোমার মত একা..!
তাহলে একলা
কিভাবে থাকতে হয়,
তা শিখে নাও।
৩৫. জন্ম হয় একবার মরণ হয় একবার,
ভালোবাসা হয় একবার, মন ভাঙে একবার,
যদি সব কিছু হয় একবার,
তবে আমি কেন মিস করি বারবার?
৩৬. নিজেকে যদি শক্তিশালী করে
তুলতে চাও।
৩৭. তারার সাথে থাকি আমি, চাঁদের পাশাপাশি,
আজব এক মানুষ আমি দুঃখ পেলেও হাসি!
৩৮. সাগরের বুকে আছে সহস্র ঢেউ,
তোমায় কত মিস করি জানে না কেউ,
সূর্য দেবে আলো যত দিন,
তোমায় মিস করবো আমি ততদিন।
৩৯. হারিয়ে গেছে অনেক কিছু সকাল থেকে রাত,
হারিয়ে গেছে পাশাপাশি আঁকড়ে ধরা হাত,
হারিয়ে গেছে প্রথম প্রেমে টুকরো হওয়া মন,
চলতে চলতে হারিয়ে গেছে বন্ধু কতজন।
৪০. নদীর কষ্ট হয় জল শুকিয়ে গেলে,
গাছের কষ্ট হয় পাতা ঝরে গেলে,
রাতের কষ্ট হয় চাঁদ হারিয়ে গেলে,
আর মানুষের কষ্ট হয় আপনজন ভুল বুঝলে।
৪১. তুমি বলেছিলে পৃথিবী বদলে
গেলেও বদলাবেনা তুমি,
সেই কথা বোকার মত বিশ্বাস
করেছিলাম আমি,
আজ পৃথিবী ঠিকই আছে
শুধু বদলে গেছো তুমি।
৪২. মন তাকেই পছন্দ করে
যে ভাগ্যে থাকে না !
৪৩. ছেড়ে দিলে যদি ভালো থাকে
তাহলে ছেড়ে দাও,
কারন ভালো রাখার নাম
ভালোবাসা ।
৪৪. চিৎকার করে কখনও নিজেকে
নির্দোষ প্রমাণ করা যায়না!
মাঝে মাঝে চুপ থাকতে হয় !
৪৫. সবকিছু বদলে যায় বয়সের সাথে সাথে আগে জিদ ধরতাম আর এখন ধৈর্য ধরি।
৪৬. তোমার মধ্যে সব ছিলো-
শুধু আমাকে বুঝার মতো,
তোমার একটা হৃ’দয় ছিলো না।
—জুনিয়র কাদির
৪৭. সম্পর্ক হল কাচের মতো।
মাঝেমাঝে এক করতে গিয়ে ব্য’থা পাওয়ার চেয়ে ভা’ঙ্গা রাখাই শ্রেয়।
৪৮. হঠাৎ করেই আল্লাহ আপনাকে এতোটা খুশি করবেন যে, আলহামদুলিল্লাহ বলে খুশিতে কে’দে ফেলবেন ইনশাআল্লাহ।
৪৯.জানি হয়তো তোমাকে আর কোনদিনই আমার করে পাওয়া হবে না। তবুও তোমাকে পাওয়া না পাওয়ার যোগ বিয়োগের অঙ্ক করে যাই রোজ।
৫০.আমার না, খুব ইচ্ছা করে তোমার বাসার গেটে লিখে দিয়ে আসি- এই ফ্যামিলিতে ভালোবাসার কোন মূল্য নেই, কর্তব্যের দোহাই চলে শুধু।
রেদওয়ান মেহেদী
৫১.কিছু মানুষ আছে যারা জেদ বজায় রাখতে গিয়ে সম্পর্ক হারিয়ে ফেলে। আবার এমন কিছু মানুষ আছে সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে গিয়ে নিজের আত্মসম্মান হারিয়ে ফেলে।
৫২.পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম বাজে অভ্যাস হলো, কারো কাছ থেকে তিব্র অবহেলা পেয়েও তাকে ছাড়তে না পারা।
৫৩.ভালোবাসি বলে কাউকে মিথ্যে স্বপ্ন দেখাবেন না, কারণ স্বপ্নটা যখন ভেঙে যায় তখন মানুষটা মৃত্যু কাছাকাছি চলে যায়।
৫৪.মাঝে মাঝে নিজেকেই খুব মনে পরে, কি ছিলাম আর কি হয়ে গেলাম।
৫৫.তুমি আমার হঠাৎ মনে পড়া কেও নাহ, তুমি সর্বদাই আমার মনে থাকা একজন।
৫৬.ভিতরে ভিতরে একদম শেষ হয়ে যাচ্ছি। কাউকে কিছু বলতে পারছি না। অজানা কষ্ট কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করছে কিন্তু কাঁদতেও পারছি না। কাউকে বোঝাতে পারছি না কেমন আছি কি করছি কিভাবে কাটছে আমার দিন। শুধু এটা জানি আমি ভালো নেই, সত্যি আমি ভালো নেই।
৫৭.কারও ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে তাকে, খুব ভালোবাসি বলাটা একধরনের মানসিক রোগ।
৫৮.এক জীবনে আপনাকে ভালোবাসা ছাড়া
আমি আর কোন অন্যায় করিনি।
৫৯.কিছু জিনিসকে নিজের মতো করে ছেড়ে দেন। যা হওয়ার এমনিই হবে, মনে রাখবেন Overthinking Will Kill Your Happiness.
৬০. ২০২৩ আমাকে এমন কিছু মানুষে আসল রূপ দেখিয়েছে, যাদেরকে আমি জীবনে ভালো জানতাম বলতেও ঘৃণা হয়।
৬১.রাখতে পারলে সবাই থাকে কথাটা ভুল। তুমি তার পায়ে ধরে রাখলেও সে থাকবে না, যদি তার থাকার ইচ্ছা না থাকে।
৬২.
একটা সময় ছিলো।
কিছুক্ষণ অনলাইনে না থাকলে কথা বলার জন্য পা’গ’ল হয়ে জাইতো, কল এর উপর কল দিতে থাকতো, পাগ’লের মতো ছট’ফট করতো!
কিন্তু এখন ২ দিন ৫ দিন ১ মাস অনলাইনে না আসলেও কারো কিছু যায় আসে না।
কেউ আর বার বার কল দিয়ে বলে না,
কই ছিলা?
লাইনে আসছো না কেনো??
কতো কল দিচ্ছি।
৬৩.বাঁচার মঞ্চে অদরকারি চরিত্র তারাই যারা তোমায় অযথা কষ্ট দেয়!
৬৪.যে আমাকে বুঝাইত-
ভালোবেসে সবাই ছে’ড়ে যায় না,
সেও আমাকে ছে’ড়ে গেছে!
৬৫.মন একবার ভা’ঙতে শুরু করলে,
আগের মত আর গোছালো হয়ে ওঠে না!
৬৬.তোমার মধ্যে সব ছিলো-
শুধু আমাকে বুঝার মতো,
তোমার একটা হৃ’দয় ছিলো না।
লেখা: জুনিয়র কাদির
৬৭.তোমাকে একজন পেয়েছে মানে, আরেকজন কি বীভৎস ভাবেই না তোমাকে হারিয়েছে।
৬৮.নিজেকে সামলে নেওয়ার জন্য একটা মুচকি হাঁসি আর দীর্ঘশ্বাস’ই যথেষ্ট।
৬৯.পুরুষ কোন দিন প্রিয়জন হয় না, মৃত্যুব আগ পর্যন্ত প্রয়োজন হয়েই থেকে যায়।
৭০.তুমি বলেছিলে প্রিয়!
তোমার-আমার মা’ঝে কেউ নেই।
অথচ খোঁ’জ নিয়ে দেখলাম!
তোমার-আমার মা’ঝে সবাই আছে।
শুধু আমি-ই নে’ই!
লেখাঃ কাবেরী কয়াল
৭১.মনের টান থাকলে কখনো বিচ্ছেদ হয় না, স্বপ্ন দুজনের হলে কখনো অপূর্ণ থাকে না।
৭২.তুমি আমার না তাই বলে কি তোমায় ভালোবাসা যাবে না? তোমায় পেলে হয়তো জানাই হতো না যে, তোমায় এতো ভালোবাসি। তাই এই অপ্রাপ্তিটাই আমার প্রাপ্তি।
৭৩.কি অদ্ভুত এক ব্যাপার- কোনো এক বেইমানের জন্য আমরা বিশ্বাসী মানুষটা কেউ বিশ্বাস করে উঠতে পারি না!
৭৪.তোমাকে হারিয়ে নিজেকে ভুলতে বসেছি অথচ তোমাকে ভোলা হলো না!
৭৫. ১ ঘন্টা কথা না বলে থাকতে পারা মানুষটা আজ দিনের পর দিন কথা না বলে থাকে।
৭৬.আমরা সবাই চাই প্রিয় মানুষ সবটা জুড়ে থাকুক, মন টা ভালো রাখুক; কিন্তু দিন শেষে তারা অসুখের কারণ হয়ে যায়।
৭৭.আজকাল সম্পর্ক মেপে মেপে কথা বলতে হয়।
৭৮.পথ কখনো হারিয়ে যায় না, হারিয়ে যায় একসাথে হাঁটার মানুষ।
৭৯.চেনা রাস্তায় চেনা মানুষ যখন ভীষণ অচেনা হয়ে ওঠে তখন কথা না বাড়িয়ে, দূরত্ব বাড়ানোটাই শ্রেয়, এতে সময় এবং সম্মান দুটোই বাঁচে।
৮০.এমনও অনেকের সাথে আপনি দেখা করে ফেলেছেন, যাদের সাথে আপনার জীবিত অবস্থায় আর কখনোই দেখা হবে না।
৮১.পৃথিবীতে কেউ কারো আপন নয়,
যেটা হয় সেটা কিছু সময়ের অ’ভিনয়।
লেখা: এ.পি. সায়েদ নুর
৮২.
তোমার চোঁখের দু-একফোঁটা চোখের জলে তার কি যায় আসে বলো? সে’তো তোমার অ’শ্রুধারা ভালোবাসা বুঝবেনা, যেখানে তোমার অনুভূতির কোনো মূল্য সে দেয়নি। তার কাছে তোমার চোঁখের জল সাধারণ জলের মতই মনে হবে। তাহলে কেন এতো আবে’গ তোমার তার প্রতি? সে’তো চায়ই তাঁকে ছাড়া তুমি ভালো থাকো, তাহলে তুমি কেন বুঝনা তার মনের অনুভূতি?
লেখা: এ.পি. সায়েদ নুর
৮৩.তারপর তুমি ব’দ’লে গেলে,
আর আমার কাছে ব’দ’লে গেল ভালোবাসার সংজ্ঞা!
৮৪.তুমি চলে যাওয়ার পর মনের উঠোন
জুড়ে ১২ মাসই ভয়া’বহ বৃষ্টি!
সেই বৃষ্টির পানিতে ডুবে ম’র’ছি আমি!
৮৫.কিছু মানুষ বারবার সেখানেই ফিরে যায়,
যেখানে সে বারবার ক’ষ্ট পায়।
৮৬.মানুষের সাথে পরিচয় হওয়ার আগে যদি ৩০ সেকেন্ডের একটা trailer দেখা যাইতো।
৮৭.সে’তো চায়ই তাঁকে ছাড়া তুমি ভালো থাকো, তাহলে তুমি কেন বুঝনা তার মনের অনুভূতি?
৮৮.কাউকে ভালোবাসলে প্রথম মূহুর্ত’টাই আমাদের ভালোভাবে শান্তি-স’স্তি দেয়, বাকিটুকু মূহুর্ত দু’পক্ষের অ’ভিমান আর অ’ভিযোগ করতে করতে কে’টে যায়।
৮৯.
আ’বেগকে পাশ কাটিয়ে
বি’বেককে নিয়ে সংসার করা উচিত,
কারন আ’বেগ ক’দিনের স’স্তা মোহমায়া
আর বি’বেক বাস্তবতার সরলরেখা।
লেখা: প্রিয়ন্তি মুনা
৯০.হাসির আড়ালে লুকিয়ে ফেলেছি আমার জীবনের সব একাকিত্বের গল্প।
৯১.আশেপাশে অনেক মানুষ থাকলেও মাঝে মাঝে তোমার শুন্যতায়-ই যেন দমবন্ধ হয়ে আসে।
৯২.মন থেকে কিছু মানুষকে মুছে ফেলেছি। দেখা হবে, কথা হবে, চলা ফেরাও হবে কিন্তু কখনো মনে জায়গা হবে না।
৯৩.তোমার কোন দোষ নেই, অতিরিক্ত আশাগুলোই আমার ভালো না থাকার কারণ।
৯৪.অতীত দিয়ে কখনো মানুষকে বিচার করবেন না। মানুষ শিখে, মানুষ বদলায়, মানুষ এগিয়ে যায়।
৯৫.আর কেউ তাকে স্পর্শ করবে তার হাত ধরবে তার পাশাপাশি হাটবে। আর কেউ তাকে বলবে আমি তোমাকে ভালোবাসি। এসব ভাবলেই আমার চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসে
৯৬.কাউকে ঘৃণা করার মতো সময় বা মানসিকতা কোনটাই নেই আমার। গুরুত্ব পেলে খুব ভালবাসবো আর অবহেলা পেলে চুপচাপ অনেক দূরে সরে যাব।
৯৭.যেখানে কারো থাকার ইচ্ছেটা শূ’ন্য!
সেখানে তাকে রাখার তী’ব্র চেষ্টা করাটাই বো’কামী।
-আয়ান হাসান
৯৮.কতটা মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে ঘুরাফেরা করি, তা একমাত্র আমি আর আমার আল্লাহ জানে।
৯৯.
আমি তোমায় বিশ্বাস করেছিলাম বলে তুমি আমায় ঠ’কালে, তুমিও একদিন কাউকে বিশ্বাস করবে সেও তোমাকে ঠ’কাবে!
লেখা: এ আর আকাশ
১০০.
তুমি বলেছিলে প্রিয়!
তোমার-আমার মা’ঝে কেউ নেই।
অথচ খোঁ’জ নিয়ে দেখলাম!
তোমার-আমার মা’ঝে সবাই আছে।
শুধু আমি-ই নে’ই!
১০১.
চার দেওয়ালের বন্দিশালায়
একটি রাতের পাখি,
স্বপ্ন ডানায় উড়ান ভরে
আকাশ দিয়ে ফাঁকি
– জয় গোস্বামী
১০২.
প্রতিদিন কিন্তু ইচ্ছেকে পুড়িয়ে মারি প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পাঠাই নির্বাসনে, ভালবাসা কি ভীষণ প্রতারক হৃদয় ভেঙেছে যার সেই জানে।
– জয় গোস্বামী
১০৩.
শোনো, আমি রাত্রিচর। আমি এই সভ্যতার কাছে এখনো গোপন করে রেখেছি আমার দগ্ধ ডানা; সমস্ত যৌবন ধরে ব্যধিঘোর কাটেনি আমার। আমি একা দেখেছি ফুলের জন্ম মৃতের শয্যার পাশে বসে, জন্মান্ধ মেয়েকে আমি জ্যোস্নার ধারণা দেব বলে এখনো রাত্রির এই মরুভুমি জাগিয়ে রেখেছি।
– জয় গোস্বামী
১০৪.
সমুদ্র? না প্রাচীন ময়াল? পৃথিবী বেষ্টন করে শুয়ে আছে।
তার খোলা মুখের বিবরে অন্ধকার।
জলের গর্জন।
– জয় গোস্বামী
১০৫.
যদি শাখা থেকে নীচে ফেলে দেয় তোকে?’
কী আর করব? জড়িয়ে ধরব ওকেই
বলো কী বলব, আদালত, কিছু বলবে কি এরপরও?
‘যাও, আজীবন অশান্তি ভোগ করো!
– জয় গোস্বামী
১০৬.
কলঙ্ক, আমি কাজলের ঘরে থাকি
কাজল আমাকে বলে সমস্ত কথা
কলঙ্ক, আমি চোট লেগে যাওয়া পাখি
বুঝি না অবৈধতা।
– জয় গোস্বামী
১০৭.
পৃথিবীর এ অপার্থিব মায়া,
নীল জল, সবুজ অস্তাচল
ফানুসের মতো স্বপ্ন,
উড়ে বেড়ায় নীল দূর আকাশে।
তুমি নেই বলে কল্পনা আজ ফ্যাকাসে
– আশিক মাহমুদ রিয়াদ
১০৮.
সন্ধ্যা নীল জেগে থাকে আশা,
দীর্ঘশ্বাস জমে রোডলাইটে, রাস্তারা সব একা!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
১০৯.
নীল আলোরা জেগে থাকে মহাকালে,
ধূসর রঙে রাঙা এই বসন্তে,
কেউ কেউ প্রেমিক পায়,
কেউ কেউ প্রেমিকা পায়,
কেউ আবার একা হয়ে বসে থাকে,
বিষণ্যতা চাপা ধূসর রঙে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
যতদূরে তোমার স্নিগ্ধ পায়ের পদধূলী
মেঘ-বাতাসে ফিনফিনে স্বপ্ন স্নেহ
আকাশে মেঘ সেজে তোমার কোমল মুখ
ঠোটে এঁকেছে হীমশীতল স্নেহ।
তুমি আমায় জরা দেবে কোমলতা?
সন্ধ্যেবেলায় পথ হারিয়েছি,
আমায় ঘিরে ধরেছে না পাওয়ার জড়তা।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
১১০.
কখনো কখনো বদলে যেতে হয়,
কখনো খোলস পাল্টাতে হয়,
কষ্ট চেপে রাখতে হয়, মিথ্যে হাসতে হয়।
জীবন বদলে যায় সময়ের ফেরে।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
১১১.
জমে থাকা ব্যথা, মৃতদের চিঠি উড়ে আসে।
কল্পনায় ডুবে থাকা সুখ পাখির মৃত্যু হয়।
কেউ কেউ মরে যেতে চায়,
সবাই চাইলেও মরতে পারে না।
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
১১২.
আমি কি তোমায় তবে প্রশ্ন ছুড়তে পারি?
কেন সহজ সমীকরণের উত্তর মেলে না!
আমি কি তবে বুঁদ হতে পারি !
শিশির জমানো রাঙা ভোরে!
—আশিক মাহমুদ রিয়াদ
১১৩.
হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেখ
আমি যে আর আমি নেই
হয়েছি তোমার বিলীন
স্পর্শে তোমার জাগ্রত চোখ
সর্বব্যাপী বরজুখে তুমি আমি অমলিন।
– গোলাম সরোয়ার
১১৪.
স্বপ্ন বুনে পুঁথিরমালা গেঁথে চলি অজানায়
বেলি ফুলের সৌরভ সজিবতা অর্জন করি
দূর বহুদূরের রাস্তায় খুঁজে বেড়াই প্রিয় মুখ
হাসিমাখা সেই তোমাকে চাই
– গোলাম সরোয়ার
১১৫.
এখনো ছোঁয়ার শরীর থেকে গন্ধরা আসে
আমার নাকের সীমানায়। অনুক্ষণ ডুবতে
থাকি পূর্বের সন্ধিক্ষণে। শুধু দূরত্বের জন্য
দৃষ্টিতে আঁকতে পারি না রূপের চন্দ্রিমা।
-গোবিন্দলাল হালদার
১১৬.
অনুপস্থিত প্রহরে ভাবনার চোখে
যতবার দেখি তোমাকে ততবার আলোরা এসে
ফুটিয়ে তোলে তোমারই শিল্পী মুখের
মোনালিসা প্রতিকৃতি।
-গোবিন্দলাল হালদার
১১৭.
যতবার মিষ্টি চিন্তার জলে ভিজে যাই,ততবার
অনুভূতির সারগাম বুকে বেজে ওঠে কষ্টের বিউগলে
তখন বুকের অলিন্দ পাড়ায়
নিরামিষ আকাঙ্খারা চিরিত করে ওঠে।
-গোবিন্দলাল হালদার
১১৮.
এখানে রাত্রি নিরব, বিকেলটা ধূসর
প্রেমগুলো রঙিন কাগজের মতো
উড়ে বেড়ায় প্রেমিকের বুক থেকে বুকে
বিকেলে ধলেশ^রীর বুকে নৌকায় অলস সময়।
-অলোক আচার্য
১১৯.
পাহাড়গুলো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে
বিস্তৃত জলরাশি ক্রমশঃ উধাও হয়ে যাচ্ছে
পাখিদের ডানা থেকে খসে খসে পড়ছে শুভ্র পালক,
কোথাও কোনো বৃক্ষ নেই; কোথাও কোনো ছায়া নেই
কোথাও কোনো ফুলও নেই; ফুলের কোনো ঘ্রাণও নেই!
-রফিকুল নাজিম
১২০.
ভালবাসা হারিয়ে গেলে
পড়ে থাকে স্মৃতির দহন।
ভালবাসা হারিয়ে গেলে
অনিদ্রার রাত গুলো দীর্ঘ হতে হতে
-গোলাম কবির
১২১.
ভেবেছিলাম আশ্বিনের ঝরা মেঘে বৃষ্টি হবে,
হীরক কুচির ঘোর আলপনায় আমার দুয়ার,
উঠোন, কলতলা, তুলসীমঞ্চে লক্ষ্মী জেগে উঠবে
-ড.গৌতম সরকার
১২২.সম্পর্ক যখন পুরনো হয়, কল দেওয়া কমে যায়, কথা বলার সময় কমে যায়, মেসেজ দেওয়া কমে যায়, রিপ্লে হয় ধীর গতির, অবহেলা বেড়ে যায়, কমে যায় গুরুত্ব।
১২৩.আমরা খুব কাছে তবু ও অনেক দূরে ঠিক যেমন ডিসেম্বর আর জানুয়ারি।
১২৪.ভেতরটা যে যায় পুড়ে যায়- শব্দহীনা বজ্রপাতে,
তবুও অষ্টপ্রহর স্বপ্ন আঁকি কল্পনারই ক্যানভাসেতে।
~রিতিকা
১২৫.রাগ করলে নাকি সম্পর্ক গভীর হয়?
আর আমি রাগ করলে উল্টো আরও সম্পর্ক নষ্ট হয়।
১২৬.আমরা দুঃখ জমাতে পারি, কিন্তু সুখ জমিয়ে রাখতে পারি না। আমাদের স্বভাবে সুখ জমানোর নিয়ম নাই। তাই আমরা অতি সুখে বিভোর হয়ে আপনজন ভুলে যাই।
-আলতাফ
১২৭.হাসির আড়ালে লুকিয়ে ফেলেছি আমার জীবনের সব একাকিত্বের গল্প।
১২৮.বড্ড ফিরে পেতে মন চায় সেই রাতগুলি যখন কোন ভাবনা ছাড়াই ঘুমিয়ে যেতাম।
১২৯.একদিন আমার জায়গায় নিজেকে রেখে দেখো, কষ্ট জিনিস টা কি তুমি বুঝতে পারবে।।
১৩০.তীব্র অভিমান নিয়ে যে চলে যায়, সে আর কোনোদিনও ফিরে আসে না।
১৩১.প্রিয় মানুষের থেকে বিচ্ছেদ অতটা যন্ত্রণা দেয় না, যতটা যন্ত্রণা অনুভব হয় তাকে অন্য একটি মানুষের সাথে দেখতে।
১৩২.বেশি সরল হওয়া ঠিক না আসলে। সরল মানুষের ফায়দা সবাই তুলতে চায়। সরলতার দাম কেউ দেয় না। তাই একটু কঠিন হতে শেখো। নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তোলো যাতে কেউ ঠকাতে না পারে।
১৩৩.মাফ করতে পারবো না তোমাকে। পারলে এমনেই ভালো থাইকো। কারণ তোমাকে মাফ করে দিলে নিজের সাথে খুব অবিচার করা হবে।
১৩৪.দিন শেষে কারো মেসেজের জন্য অপেক্ষা করা টা স্বাভাবিক কিন্ত অপেক্ষা করতে করতে এক বুক অভিমান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া খুব কষ্টের, পুরো কাদিয়ে ছাড়ে।
১৩৫.যদি জানতাম তিলে তিলে ক্ষয় হয়ে যাবো তাহলে কখনোই ভালোবাসি কথাটা প্রকাশ করতাম না।
১৩৬.আজও ভালোবাসি, কাল ভালোবাসি, এখনও ভালবাসি, পরেও ভালোবাসি, তুমি থাকলেও ভালোবাসি, না থাকলে ভালোবাসি।
১৩৭.আমি তেমন আহামরি কিছু না আমাকে ছাড়াও সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকা যায়।
১৩৮.শখের অনেক কিছুই ত্যাগ করেছি, মন তো পাথর হবেই।
১৩৯.বাস্তবতা থেকে একটা জিনিস শিখেছি চুপচাপ মেনে নিলে সবার কাছেই ভালো থাকা যায়।
১৪০.মানুষ নিজেকে তখনই অসুন্দর ভাবে
যখন দেখে তার প্রিয় মানুষটি অন্য কারো প্রতি দুর্বল।
১৪১.কিছু মানুষ এতটাই গভীরে ছুঁয়ে যায় যে, মানুষটা ঠকিয়ে চলে যাবার পরও; আমরা তার কাছেই ফিরতে চাই আবার ঠকার জন্য।
১৪২.আমরা নিজের জীবন নিজেই নষ্ট করে ভাগ্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেই!
এ আর আকাশ
১৪৩.শত কষ্ট দমিয়ে আমি আমারে সবটা ভালোবাসি।
১৪৪.আমি তোমায় ঠিক যতটা ভালোবাসি, দুঃখরাও ঠিক আমায় ততটাই ভালোবাসে!
১৪৫.উচ্ছ্বাসিত হাসির জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করা মানুষগুলো মিথ্যে হাসতে হাসতে অপেক্ষার সেই মুহুর্তে সুখে কেঁদে দেয়।
–আলতাফ
১৪৬.তুমি কোথায় পাবে এমন মানুষ, যে তোমাকে পাওয়ার জন্য দু’হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে কেঁদেছে।
১৪৭.আমাকে ভালোবাসে অথচ আমাকে না পেলে সমস্যা নেই, এমন মানুষের প্রতি আমার জন্মানো ভালোবাসার মৃত্যু হোক।
১৪৮.চাইলেই তো আর সব আঘাত ভুলে জাওয়া যায় না, কিছু আঘাত আজীবনের জন্য দাগ কেটে যায়!
১৪৯.ভেবেছিলাম তার জন্য পুরো দুনিয়ায় সাথে যুদ্ধ করবো আফসোস তাকে পাওয়ার জন্য তার সাথেই যুদ্ধ করতে হয়েছে।
১৫০.সবশেষে আমিও হার মেনে নিলাম, তোমাকে পাবো না জেনেও ভালোবেসে ছিলাম, ভেবেছিলাম আমরা দুজন যদি চাই তাহলে পেয়ে যাব কিন্তু দেখো আমি তোমাকে চাইলেও তুমি আমায় চাইলে না।
১৫১.সবচাইতে জঘন্য মানুষ হচ্ছে সেই মানুষ, যে মানুষকে মিথ্যা ভালোবাসা দেখায়। আর যখন মানুষটার ভালোবাসা সত্যি চলে আসে, তখন সে বেইমানি করে হাত ছেড়ে দেয়।
১৫২.হেরে যাওয়া মানুষ গুলাই জানে, নিদারুণ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার স্বাদ কেমন!
১৫৩.নাহ, এখন আর কোন এক্সপেক্টেশন নেই, সময়ের সাথে সাথে এগিয়ে যেতে থাকবো, তারপর যা হবে দেখা যাবে।
১৫৪.সুতো ছিড়ে গেলে ঘুড়ির পিছনে দৌড়াতে নেই, ঘুড়িকে উড়তে দেখার মাঝেও একটা, আনন্দ আছে।
১৫৫.অনেকের বেকারত্ব জয় করা হয় না বলে, রোজ অজস্র স্বপ্নের মৃত্যু হচ্ছে!
১৫৬.আচ্ছা তুমি কি আগের মতোই হাসো? নাকি আমাকে হারিয়ে তুমিও বিষন্নতায় ভোগো?
১৫৭.শুধু এইটুকুই বলেন অপেক্ষা করবো নাকি বদলে যাবো আপনার মতো।
১৫৮.মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রেমে পড়ে কিসের জানেন? কথার ! কথা বলার ধরন, স্বর রুচিবোধ আর শব্দ। শুধু কথা দিয়ে কাউকে মেরে ফেলা যায়। কথা দিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নের অর্ধেক কাজ হয়ে যায়, কথা দিয়ে একটা যুদ্ধ বাধিয়ে ফেলা যায়।
১৫৯.আমরা সহজ সরল মানুষগুলো একটু সুখ খুঁজতে গিয়ে দুঃখ কিনে আনি!
– এ আর আকাশ
১৬০.দূরত্ব কখনো সম্পর্ক আলাদা করে না। ঘনিষ্ঠতা কখনো সম্পর্ক তৈরি করে না। অনুভূতি যদি সত্য আর আন্তরিক হয়, তাহলে সম্পর্ক বেঁচে থাকে চিরকাল
১৬১.কে ইগনোর করলো, কে কষ্ট দিলো, কে কথা বললো, কে বললো না, এখন আর এসব নিয়ে ভাবিনা! নিজের মতো একা থাকি ভালো থাকি।
১৬২.কতটা soft heart জানেন? কেউ হাজারো কষ্ট দেওয়ার পর দুটো মিষ্টি করে কথা বললেই সব ভুলে যাই।
১৬৩.মানুষ আর কি ব্যথা দিতে জানে? “তারচেয়ে বেশি ব্যথা দিতে জানে আমাদের চোখ”। মুহূর্তে ক্ষণে ক্ষণে স্মৃতিগুলো কে মনে করায় আর চোখ থেকে অশ্রু ঝরায়!
১৬৪.একটু ভালো থাকার জন্য এতো মানিয়ে চলি, এতো যুদ্ধ করি, তাও দুইটা দিন একটানা ভালো থাকতে পারি না।
১৬৫.প্লান করে ঠকানো যায় সত্যি কিন্তু প্লান করে কাউ কে ভালোবাসা যায় না।
১৬৬.জীবন নিয়ে এতো অভিযোগ কিসের? যা হচ্ছে হোক না! মানুষ বাঁচেই বা ক’দিন
১৬৭.সম্পর্ক শেষ হলেও শেষটা সুন্দর হোক, যাতে রাস্তায় দেখা হলে চোখে চোখ রেখে হাসা যায়।
১৬৮.প্রিয়জনের মৃত্যু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর শোক হলেও প্রিয়জনের সাথে বিচ্ছেদের সময়টা তারচেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর
১৬৯.প্রিয় ঠিকানা যাদের হাতছাড়া হয়েছে, তারাই জানে দুঃখ পেতে কেমন লাগে!
১৭০.তারপর যখন বুঝতে পারলাম তারে বুঝাইয়া কোন লাভ হবে না, তখন থেকে নিজেকেই বুঝাতে লাগলাম।
১৭১.বার বার ক্ষমা চেয়েও যার কাছে ক্ষমা পাওয়া যায় না, তাকে ক্ষমা করে দিয়ে আসুন।
১৭২.সুতো ছিড়ে উড়তে থাকা ঘুড়িটাও ধরার জন্য আমরা তার পিছু দৌড়াতে থাকি। আর তুমি তো আমার ভালোবাসার মানুষ, এতো সহজে কিভাবে তোমার পিছু ছাড়ি।
১৭৩.আমি জানি না মানুষটা আমাকে miss করে কিনা তবে আমি মানুষটিকে প্রতিটা মুহূর্ত miss করি।
১৭৪.পরিবর্তন হতে চায়নি, বাধ্য করেছো তুমি, ছিলাম তো তোমারই কিন্তু আফসোস ধরে রাখতে পারোনি।
১৭৫.জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে হলেও আমি একবারের জন্য তোমাকেই চাই।
১৭৬.ব্রাজ যার সাথে রাত জেগে ভোর পাঁচটা অবধি কথা বলছো, হতে পারে একদিন তাকে না পাওয়া যন্ত্রণা আর রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলো তোমাকে ভোর পাঁচটা অবধি কাঁদাবে, এটাই বাস্তবতা।
১৭৭.কাউকে আঘাত করে নিজে ব্যাথা পেলেও তখন ব্যাথা অনুভব হয় না। কিন্তু যখন কেউ আপনাকে আঘাত করবে তখন সেই ব্যাথা সহ্য হবে না।
১৭৮.জন্ম থেকেই মানুষ প্রতিনিয়ত নিজের অস্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে বেড়ায়; নানান আঘাত-প্রতিঘাতে সহ্য করতে করতে; একসময় মানুষ ক্লান্ত হয়ে যায়। অন্যের কারণে, বারবার নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টায় একদিন একেবারেই শান্ত হয়ে যায়।
১৭৯.দুঃখ-কষ্টের কাছে বারবার পরাজিত হয়ে, নিজেকে বদলাতে বদলাতে; এমন একটা অবস্থানে মানুষ চলে আসে, যেখান থেকে নিজেকে নতুন করে বদলানোর মতন আর কিছু থাকে নাহ।
১৮০.অনেকের অনুপস্থিতি আমার খারাপ লাগলেও তোমার অনুপস্থিতিতে যেন আমার হৃদপিন্ডে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
১৮১.সবার গল্প যদি পূর্ণতায় ভরে উঠতো, তাইলে কারো আর্তনাদ কেউ শুনতো না।
১৮২.খুব বেশি পছন্দের কিছু না পাওয়াই ভালো, তাতে বাস্তবতা শেখা যায়! খুব ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়াই ভালো, তাতে ভালোবাসার মূল্য বোঝা যায়!
১৮৩.দূরত্ব কতটা বেড়ে গেলে “সে আমার থেকে আমার ছিল” হয়ে যায়!
১৮৪.মাঝরাতে হঠাৎ করে ইচ্ছে হলো তোমাকে মেসেজ করি কিন্তু পারলাম না, মনে পড়লো অধিকার হারানোর পর বিরক্ত করতে নেই।
১৮৫.মানুষ চিনতে শিখে গেলে, কারো প্রতি কোন অভিযোগ থাকে না, তখন মনে হয় দূরত্বই শ্রেয়।
১৮৬.গন্তব্য ছিল জীবনের শেষ অব্দি, কিন্তু শুরুতেই ঘটে গেল সমাপ্তি!
১৮৭.তুমি বললে সময় বদলায়, আমি তোমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ভাবলাম,শুধু সময় নয় সাথে তুমিও বদলে গিয়েছো অনেকটা।