পৃথিবীর অক্ষরেখা ক্ষয়ে যায়,
প্রাচীন মরিচীকায় ধোয়াশা হয় গন্তব্য
একূল ওকূল সক্রিয় প্রাণীর পদচিহ্ন বাড়তে বাড়তে পূর্ণ হয় ভূমি
আমি কি তাদের মধ্যে যান্ত্রিকতা দেখতে পাই?
কিংবা এক দশক আকাশ না দেখার অসুখ?
প্রাচীন বিশ্ব হুড়মুড় করে ধ্বসে গিয়ে আবিষ্কার করছে কর্পোরেট জীবন,
একদল কর্পোরেট জাতি
আমি কি তাদের মধ্যে অমানবের আভাস টের পাই?
কিংবা মানুষহীন যান্ত্রিক গন্ধ?
এ সেকুলার জীবন সোসাইটির সোস্যাল মিডিয়ায় আটকে আছে,
যন্ত্রের মতো ক্যারিয়ারের পিছনে ছুটছে প্রগতিশীল প্রাণী
আকাশের রঙ দেখে ভূমিকম্প তুলছে মেশিন
আমি কী তাদের দেখে বিগত স্মৃতি জমা মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করি?
নাকি এই বালিমাখা বাতাসে গত হয়ে যাওয়া দিনকে নিক্ষেপ করি সমুদ্রের ওপাশে?
একটা দিন ভীষণ মন কেমনের সাথে আড়ি করে
গোধূলি বেলার পাখিরাও আর উড়ে না
নিকষ কালো জমা রাতে
বন্ধী হয় বিছানায় সক্রিয় মুঠোফোন হাতে..
আমি দেখতে পাই না দিনের শুরুটা যান্ত্রিক কোলাহলে মিশে আছে
মধ্যাহ্নের তেজ উত্তাপ গলে গেছে এয়ারকুলারের নিচে,
আমি কী দেখতে পাই না যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর হাতে বন্ধী হয়ে আছে অফিসের সিইও?
পিন পতন নীরবতায় এসব আর চোখে পড়ে না হয়তো,
না হয় আমিও কর্পোরেট শীতল হাওয়ায় গলে মরেছি,
প্রাচীন জীবনের মুখামুখি ছুড়ে দিয়েছি যত্তসব রাগ কিংবা গ্লানি..