রক্তরস [পঞ্চম পর্ব]

রক্তরস [পঞ্চম পর্ব]
রক্তরস [পঞ্চম পর্ব]

আশিক মাহমুদ রিয়াদ

টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে সারাদিন, ফসলি জমি থেকে উঠে, শুপারি গাছের খোল দিয়ে অন্তত বিশটা জোঁক ছাড়িয়ে বাড়ির দিকে হাটা দিলো রসু, বাড়িতে ঢোকার আগে, মতিনের দোকান থেকে একটা সাবান আর দুই টাকা দিয়ে শ্যাম্পু কিনে মাদরাসার পুকুর থেকে গোশল দিয়ে, শিনল চাপরাশিদের বাড়ির উঠনের ওপর দিয়ে হেটে বাড়িতে ঢোকার পরিকল্পনা রসুর, মতিনের দোকানের সামনে আসতেই, পাওনাদারের সাথে মুখোমুখি হবে বিধায়, সে আর ও পথে গেলো না! দোকানের পিছন ঘুরে বাগান দিয়ে সোজা হেটে যাওয়ার পথে চোখে পড়লো, দুটো সাপ মিলনে ব্যাস্ত। গা ছম ছম করে উঠলো, এই ঘনঘোর বৃষ্টির দুপুর মানেই অভিশপ্ত কিছু। তাছাড়া এ বাগানেই, বছর তিনেক আগে সোবহান মাস্টারদের বাড়ির কাজের মেয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। জামরুল গাছটার ডালে, শিনল চাপরাসীদের বাড়ি উঠন, নিরিবিলি। ভরদুপুর। শিনল বাড়িতে থাকে না অবশ্য…শহরে তার সুদের ব্যবসা আছে।

রক্তরস [পঞ্চম পর্ব]




ঘরের পাশ দিয়ে পিছনের দিকে যেতেই, আচমকা চিৎকারের ডাকে থমকে গেলো রসু। হোগলপাতার বেড়া টপকিয়ে, উকি দিতেই দেখলো তার জীবনের অপ্রাপ্তির এক দৃশ্য, এক নগ্ন নারী একটা সাপের ভয়ে চিৎকার করছে, শিনলদের বাড়ি থেকে পরের বাড়ি বহুদূরে। বর্ষার দুপুর! নারীটি এবার চোখ রাখলো রসুর দিকে। রসু লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেললো। নগ্ন নারীটি দৌড়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে কোন মতে শাড়ির প্যাচ দিয়ে, ঘরের ভেতর থেকেই বললো। আপনে না আইলে আইজক্যা আরও ডরাইতাম রসু ভাই। রসু ক্ষানিকটা স্বস্তি পেলো নিজের মধ্যে, এলো পৌরষত্যের অদ্ভুত ক্রোধের বাণ। সে বললো, যাই ভাবি। ডরাইয়েন না, এইটা জলঢোউরা সাপ। এতে কামড়ায় না।

ভরদুপুরে নগ্ন-নারীকে দেখে রসুর গাঁকাপিয়ে জ্বর এলো, সেই সাথে নিজের পৌরষদন্ডের চাপ বাড়তেই থাকলো। বার বার কল্পনায় আসতে থাকলো সেই নারী। সেই নারীকে রসু ভাবী বলে ডাকে, তার নাম সোনালি।

শ্রাবণের রাত! টিপ টিপ সারাদিন বৃষ্টি হলেও আঁধারে ঘনঘোরে আমাবস্যার দিনে আজ বৃষ্টি নেই। আকাশে কালো মেঘ করে আছে ঠিকই, রসু ফিরছে ঘরে, এত রাতে বাগান পেড়িয়ে নয়, চাপরাশী বাড়িদের উঠোন পেড়িয়েই মৃদ্যু গলায় শুনলো..রসু ভাই যায় নাকি? নারী কন্ঠ…
-হ ভাবী কিছু কইবার চান?
-আফনার ভাইয়ের কি কোন খোঁজ আছে রসু ভাই?
-কেন ভাই আসে না বাড়িতে?
-সেই কবে বের হইছে বাড়িত্থেইকা! এখনো আসার নাম গন্ধ নাই।
-এয়া কিরকম কথা? ( এই বলে রসু ক্ষাণিক দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়)। কিছুক্ষণ ধরে ভাবছে , সে কি বাড়ির দিকে যাবে নাকি থেকে যাবে। শ্রাবণের রাত। গ্রাম। গাছপাতায় টপটপ করে জমে থাকা বৃষ্টির ফোঁটা ঝড়ে যাওয়ার শব্দ। )
-যাই ভা্বী কোন দরকার হইলে ডাইকেন।



রসু দু-তিন পা হাটা দিতেই, ডেকে ওঠে সোনালি। যাইবেন? আরেকটু রইয়া যান। গপ-সপ করি। হারাদিন একা একা বইয়া থাকোন যায়, আফনে বন। মুড়ি আর মোয়া দেই। রসু বারান্দায় বসে, একটা কুপি নিয়ে মাথায় ঘোমটা দিয়ে হেঁটে আসে সোনালি। তার নাকফুলটা বেশ বড়, হাতে কাচেঁর চুড়ি, ব্লাউজহীন…খায়েরী শাড়ির নীচের দোলুনি চোখ এড়ায় না রসুর। সে কোষ পেতে মুড়ি উঠায়, শুকনো মুড়িতে…গলা আঁটকে যায়, কেঁশে ওঠে সেই কাঁশিতে কুপি নিভে গিয়ে অন্ধকার হয়ে যায়…রসু ঢকঢগিয়ে পানি খেতে খেতে কুপির আলো জ্বলে ওঠে আবার, হাটু গেড়ে নুয়ে দিয়াশলাই কাঠি দিয়ে কুপি জ্বালায় সোনালি।



-ভাবীর দ্যাশ কি ভাটি অঞ্চলে?, নিস্তব্ধতা কাটাতে প্রশ্ন করে রসু।
রসুর প্রশ্নে কথা বলার জোড় পেয়ে আত্মবিশ্বাসের সুরে সোনালি মৃদু কন্ঠে বলে,
হয় ভাই~আফনে গেছেন কখনো ঐ দ্যাশে?
-রসু মুড়ি চাবাতে চাবাতে বলে, ‘ না, ঐদিকে যাওয়া হয় নাই। তয় মাইনশ্যের কাছে শুনছি ঐ দ্যাশের মাইয়া-মানুষ নাকি পরীর লাহান সুন্দর।’ (আড়চোখে সোনালির দিকে চেয়ে কথা শেষ করে রসু! লজ্জা পেয়ে মাথায় ঘোমটা তোলে সোনালী)
হাসতে হাসতে বলে, ‘আচ্ছা ভাই! আফনার লইগা আমগো দ্যাশের মাইয়া খুঁজমু।




রসু এবার আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় নিজের মধ্যে, বণের মধ্যে বাঘ যেভাবে শিকার ধরার জন্য ওত পেতে থাকে। রসু এবার বলে ওঠে, ‘আফনাগো দ্যাশের মাইয়া মানুষের গতর খানা যে কী সুন্দর ভাবী।’ সোনালি এবারও লজ্জা পায়, শরীর টা নাঁচিয়ে বুকের ওপরের কাপড় নাড়াচাড়া করে হাত দিয়ে, রসুর চোখ যায় সেদিকে। লম্বা মুখের সাথে, ঠোটটাও ভীষণ উত্তপ্ত, নাকটা লম্বা, কানের পাশে চুল পড়ে আছে। আচমকা দপ করে বাতাস এসে কুপি নিভিয়ে দেয়, ‘রসু এক লাফে জড়িয়ে ধরে সোনালিকে, যেমন বাঘ তার শিকার কে ধরে, ঠোটের সাথে নিজের ঠোট লাগিয়ে দেয়, সোনালি যেন দীর্ঘদিন ধরে কোন পুরুষের স্পর্শ না-পেয়ে লজ্জাবতী পাতার মত নেতিয়ে পড়ে মাটির মেঝেতে! সেই নিস্তব্ধ রাতে চলে ধস্তাধস্তি, অন্ধকারের মধ্যে দুটি নর-নারীর সাপের মতো ফোস ফোস শব্দে নিস্তব্ধ নিগুড় রাতও ভারী হয়ে ওঠে, তৃপ্তির সুখে।

রক্তরস [পঞ্চম পর্ব]



 

 

রসুর জিহ্ববের প্রতি স্পর্শ উপভোগ করে সোনালি, সোনালিও যেন পরম আদরে পরপুরুষকে নিজের করে নেয়, উত্তপ্ত রাতে ভিঁজে ওঠে চাষহীণ উর্বর জমি। রসু বাগিয়ে নেয় সবটুকু! ঝির ঝিরে বৃষ্টি নামে। এভাবেই হয় রসুর প্রথম নারী স্পর্শের ভোগ। জুয়ান বয়স চলছে তার, তার সাথে কবিরাজের থেকে বিশেষ জোঁকের তেল সে কাজে লাগিয়েছে। এবার খেলার মাঠে সর্বচ্চো চেষ্টা, রসু অবশ্য প্রথম দিকেই খুব ভালো না এগোলেও। বাকি খেলাটা সোনালিই এগিয়ে নিয়ে গেলো। সতিত্ত্ব হারানো নারীদের সাথে শোয়ার এই এক লাভ, তারা নবপৌরষের থেকে বেশ পটু। সোনালির সারা শরীর থেকে সে এক অদ্ভুত গন্ধের স্বাদ উপভোগ করে তার নাকে, জিহ্বেবের প্রতিটি চুমুক তাকে নিঙরে দেয়, উত্তপ্ত করে দেয় এই আধার রাতে। সোনালি ভীষণ যৌনজ্বরে প্রলাপ বলতে থাকে ফিসফিস করে। রসু উৎসাহ পায় আরও। এবার সে উঠে সোনালীকে কোলে নেয়, শস্যক্ষেতের মতো দোলিনি চলতে থাকে তাদের। কুপির আলোর নিভু নিভু অন্ধকারে দুটি নগ্ন দেহ, নগ্নতার চরম উধ্রান্তে মেতেছে। রসুর সমাপ্তি, এবার সে সোনালিকে নিয়ে বিছানায় পরে। রসুর গরম রক্তের স্রোত নিজের ভেতর টের পেয়ে ভীষণ গা কুটকূট করে সোনালির। এবার সে রসুকে ঠেলে দেয়, “এটা আপনে কি করলেন রসু ভাই?” ছি ছি! কত বড় পাপ হইয়া গালো আমার। এই পাপ আপনেই আমার লগে করসেন~আমি এহন আমার জামাইরে মুখ দেখামু কেমন কইরা? রসু ভীষণ লজ্জিত হয়! সে দৌড়ে ঘরের চৌকাঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। দরজার কপাট এটে সোনালিও নগ্ন হয়ে শুয়ে থাকে বিছানায়! রসুর রক্তের স্রোত তার অভ্যন্তরে! রসুর প্রতিটি স্পর্শ্ন তাকে শিহরিত করেছে।





সে রাতের পরে রসু সোনালির সামনে আসতে ভীষণ লজ্জা পেয়েছে, এরপরের দিন শিনল চাপরাশী ফিরেছে বাড়িতে। রসুরও আসার দরকার পরেনি, শিনলের সাথে দেখা হয়েছে রসুর, একসাথে বসে চাও খেয়েছে। বাজারের ডাক্তারের কাছে থেকে, কনডমের প্যাকেট নিয়ে বাড়িতে গিয়েছে এমনটাও উঠে এসেছে মতিনের চায়ের দোকানের সান্ধ্যকালীন আড্ডায়। রসু অবশ্য সে রাতেই, ওত পেতেছিলো শিনল চাপরাশীর ঘরে, বেড়ার পাশে থেকে নিশুতি রাতে…চেয়ে দেখেছে কুপির আলোয় দুটি নগ্ন দেহের মিলন। হাত বুলিয়েছে নিজের পৌরষসত্ত্বায়, উন্মাদনা চেপেছে রসুর ঘাড়ে।



শিনল অবশ্য সে উর্বর জমিতে চাষাবাদ করতে পারেনা ভালোভাবে, তার মেলামেশা আছে বেশ্যাপাড়ার বেশ্যাদের সাথে। সেখানের সে নিয়মিত খদ্দের। যেখানেই আঠারো বছরের যুবতি মেয়ে, সেখানেই শিনল চাপরাসী। ফলে সেই কথাই থেকে যায়, বাইরে থেকে খেয়ে এলে ঘরে কি আর কারো খেতে ইচ্ছা করে? সোনালীর আফসোস হয় ভীষণ, তার ফিগারটা দেখে নিজেই ভীষণ গর্বিত হয়। রাস্তা ঘাটে বেরোলে মানুষ তার দিকে এক নজর তাকায়, সে তখণ অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গিমায় হাটে। সুঘ্রাণ ছড়ায় বাতাসে্‌ যাতে পৌরষযাত তাকে দেখে বিভৎস ক্ষুধায় মাতে কিন্তু স্বামী থাকার সত্ত্বেও সোনালির রাতভর শরীরের ক্ষুধা থেকে যায়। উলঙ্গ হয়ে শুয়ে থাকে স্বামীর গায়ে হাত রাখে, স্বামী অবশ্য সে হাত বার বার সরিয়ে দেয়, এরপর নিজেই নিজের শরীরকে শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। বেড়ার ফাঁক থেকে এসব দৃষ্টি বিচলিত হয় না, রসুর। সে যেন মনোবল ফিরে পায়! সোনালীকে আরেকবার অবৈধভাবে ছোয়ার।

-‘আমি ঢাকায় যামু! আমার আসতে কয়েকদিন দেরী হইবো। তুমি সাবধানে থাইকো। মতিনের দোকানে বলা আছে, যা লাগবে নিয়া আইসো। ‘
-মুখ ভার করে ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে সোনালী। তার চোখে জল! স্বামী এতদিন পরে বাড়িতে ফিরেছে। তার মরুভূমিতে জল এসেছে। স্বামীর সাথে শুয়ে সে বুনেছে কত রঙিন স্বপ্নের।

শিনল চাপরাশী বেশ সৌখিন মানুষ। মাথার চুল বড় নাকের নিচে ঠোট জুড়ে বড় একটা গোফ আর সারা মুখ ক্লিন শেভ করে আফটার শেভ মাখা। মাথার চুলের সাথে বুকের পশমও পাতলা! বয়স ৪৫ হলেও চুল পাকেনি, গায়ের চামড়ায় এখনো নেই কোন পরিবর্তন। সোনালির বয়স সবে মাত্র চব্বিশ! কিছু বুড়ো হলেও তার দেহের আগুন জ্বলে! শিনল চাপরাশী বিছানায় বউকে আদর করতে কম রাখে না, তাও সোনালী যৌবনের যৌনতার ক্ষুধায় মরে, কারণ শিনল বাড়িতে এসে তার বউকে সেরকম ছোঁয় না৷ গ্রামের মানুষ বলে সে নাকি শহরের বেশ্যা পাড়ায় ঘোরে। কয়েকজন দেখেছেও, সুদের ব্যবসার সাথে তার নাকি অস্ত্রেরও ব্যবসা আছে। নতুন পিস্তল ও কোমড়ে দেখেছে কেউ কেউ!



শিনল ঘর থেকে বেরোবার আগে বউয়ের কপালে চুম্বন করলো! সোনালি তাও মুখ ভার করে আছে। এবার সে সোনালির ঠোটে ঠোট রেখে লম্বা একটা চুম্বন করলো, সোনালীও চুম্বনে বেশ পটু। তবে শিনলের সাথে মেয়েদের শোয়াবসায় শিনল এসবে ভীষণ পটু! সোনালি শিনলের কাপড়ের প্যান্টের চেইনে হাত দিতেই দেখলো শিনলের পৌরষত্ব্য জাগ্রত হয়েছে, সোনালির নিশ্বাস ভারী হলো এবার। সে শিনলের সবটুকু নিজের করে নিতে চায় এই মুহুর্তে। কিন্তু শিনলের হাতে তাড়া! সে সোনালির হাত সরিয়ে সোনালির কপালে শেষ চুম্বন দিয়ে ঘর থেকে বেরোলো। বেরোবার আগে পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে, ফুর ফুর করে টানতে বৃষ্টি মাখা সন্ধ্যায় বেরিয়ে গেলো লঞ্চ ঘাটের দিকে।

ভর সন্ধ্যায় সোনালীর সারা শরীর জুড়ে চাপলো যৌণতার কড়াল ভূত। দুঁয়ার এটে, রান্না ঘর থেকে বেগুন নিয়ে এসে কাঁথামুড়ি দিয়ে সে চালালো নিজের শরীর জুড়ে অনৈত্য নির্যাতন। বিভৎস সন্ধ্যাবেলায় ঝিরিঝির বৃষ্টির সাথে নারী নিশ্বাসের শব্দে ভারী হয়ে উঠলো কাল-সন্ধ্যাবেলা।



ঘরের বেড়ার ফুটো দিয়ে এসব দৃশ্যের অবতারণ হলো রসুর চোখে৷ সে মনে সাহস পেলো! শরীর জুড়ে এলো তার অদ্ভুত জোড়! সে রাতেই রসু আবার আঘাত হানলো সোনালির কপাটে। রাত যখন মোটামুটি গভীর, ঠিক তখনই টোকা পড়ে সোনালীর দরজায়। সোনালি ঘুমে কাতর, কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে উঠে দরজা খুলতেই রসুর ঠোট এসে লাগে সোনালির ঠোটে। সোনালি হতবিহ্ববল হওয়ার আগেই, আঁধার রাতে রসুর হানায় সে নিজেকে খুঁজে নেয় অন্য দুনিয়ায়। রসুর জিহ্বের কড়াল গ্রাসে নেশাতুর হয় সোনালী। দরজাটা ভিজিয়ে দিয়েছে। শ্রাবণের পূর্ণিমা সহজে দেখা না গেলেও আজ দিনের আলোর মতো ফকফকে। সুপাড়ি বাগানে ঝড়ো বাতাস, বৃষ্টি নেই। আষাড়ে জোয়ার আর ঢালের পানিতে টইটম্বুর সব। পূর্ণিমার জোয়াড়ে জোয়াড় এসেছে সোনালীর শরীরের, সে রসুর সবটুকু সুখ আস্বাদন করে নিচ্ছে নিজের মতো করে।

রক্তরস [পঞ্চম পর্ব]

ঘন নিশ্বাস বাড়ে, সেই সাথে ভেসে আসে দুটি ঠোটের চুম্বনের শব্দ। তারা একে অপরের চোখের দিকে তাকায়, পুরুষটি ভীষণ যত্নে আদর করে মেয়েটিকে। মেয়েটির কপালে চুমু দেয়, তাদের শরীর নাচে ফসলি জমির শস্যক্ষেতের মতো। সোনালির নগ্ন বুকে নিজের মাথা ঠেকিয়ে অদ্ভুত এক ঘ্রাণ নিচ্ছে রসু। জিহ্বের প্রতিটি লোলুপ তেজ তাকে আরও উদ্দিপ্ত করে তুলছে, রসু থেকে গেলে সোনালি এগিয়ে যাচ্ছে। আবার কখনো দুজনই একসাথে। পৃথিবীতে থেকে স্বর্গের এই একটা সুখ মেটানো যায়। সঙ্গমের তোড়ে, পৌরষ গ্রাস করে নারীকে, নারী গ্রাস করে পুরুষ। সোনালি রসুর চোখে চোখ রাখলো, রসুর গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। চেহারায় সেরকম উত্তপ্ততা না থাকলেও, গরম জুয়ান পুরুষ। গায়ের তেজ আর রক্ত গরম। সেই গরম রক্তের তেজে পুরে গিয়েছিলো সোনালী। সোনালির শরীরের অভ্যন্তরে রসু ঢেলে দিয়েছিলো এক ঝাপটা তাজা পৌরষরস!





টিনের চাল দিয়ে চাঁদের আলো এসে সৃষ্টি হয়েছে আল্পনার, সেই কাব্যিক প্রেক্ষাপটে দুটি নগ্ন শরীর নিজেদের মতো করে নিজেদের সুখ বিলাচ্ছে। সুখের শেষ সীমানায় যখন রসু, বৈঠা চালাচ্ছে সমুদ্রের বুকে। ঠিক তখনই রক্তাক্ত হলো সোনালির নগ্ন বুক।
মাঝরাত্তিরে পিস্তলের বিকট শব্দ! মদ্যপ গলায় বলে ওঠে, খানকি মাগী? পরপুরুষ নিয়া এইখান চাটাচাটি লাগাইসোস?” রসুর মাথা থেকে রক্ত গড়ায় সোনালির বুকে, রসুর পৌরসত্ত্ব এখনো সোনালীর অভ্যন্তরে! সোনালি হতবিহ্বল হয়।
-আর তুই খানকির পোলা? তুই ভ্যাটকাইয়াও আমার বউয়ের শরীরের উপর শুইয়া আছস? খানকির পোলা? মইরাও আমার বউরে ভোগ করার সুখ যায় নাই তোর?
শিনল হাত দিয়ে মৃতদেহটিকে তোলে! সে আরো একটি বিভৎস দৃশ্যের সম্মুক্ষিণ হয়। রসুর পৌরসসত্ত্বা এখনো সোনালির অভ্যন্তরে। সে ভীষণ রাগী হয়ে মৃতদেহটিকে তুলে আবারও কয়েকটি গুলি করে। গুলি করার সাথে সাথে শরীর থেকে তাজা রক্ত ছিটকে পড়ে সোনালির মুখে। মইরাও তুই আমার বউরে *****? বাইঞ্চোদ?



এমন বিভৎস দৃশ্যেও অজ্ঞান হয়ে পড়ে না সোনালি। সে ভীষণ হক চকিত হয়। তার স্বামী তার প্রেমিককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। যে প্রেমিকের সাথে সে একটু আগে সঙ্গমে লিপ্ত ছিলো। সোনালীর উলঙ্গ শরীরের দিকে এবার পিস্তল তাক করে শিনল।
সোনালি লাফ দিয়ে উঠে পিস্তলটি ধরতে যাবে এমন সময় ট্রিগার চালালে গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয়ে শিনলের গলা ভেদ করে মাথা থেকে বেড়িয়ে যায়। লুটিয়ে পড়ে শিনল। রক্তসুখের পিশাচের মতো নগ্ননৃত্যে মাতে সোনালি, সে হতভম্ব হয়ে যায়। দুটি পৌরষ দেহ তার পায়ের তলায়। সে কি করবে দিশা না পেয়ে নগ্ন অবস্থাতেই ঘর থেকে বেড়িয়ে ছুটে যায় নদীর দিকে। সেই নিশুতি রাতে বাইরে বেড়িয়ে এলাকার নিরাপত্তা প্রহরী নকিব। এত রাতে সে নগ্ন নারীর ছুটে যাওয়া দেখে অলৌকিক কিছুর গন্ধ পেয়ে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের মনো রক্ষাবন্ধন পাঠ করে। সোনালী ছুটে যায় নদীর দিকে, ঝাপদেয় বর্ষার উত্তপ্ত নদীতে।



চাঁদের আলোয় মাছ ধরছে করিম এবং তার ছেলে। আজ ভালো মাছ উঠছে। ইলিশ মাছ! বড় বড় সাইজের। কাছেপিঠে দু একটা নৌকা আছে,তাও দূরত্ব কম না। হঠাৎ ছেলেটার চোখ যায় নদীর জলের দিকে। ছেলেটি বলে আব্বা টর্চের আলো মারেন তো এইদিকে,দেহেন দেহি ঐডা কি যেন ভাইস্যা যায়৷ করিম টর্চের আলো জ্বালায়।
এ কি! এইডা দেহি মাইনষ্যের লাশ তাও আবার নেঙটা। ছেলেটি আতকে ওঠে, করিম আশেপাশের মানুষজন ডাকে৷ নৌকাগুলো তখন জাল টানায় ব্যস্ত। করিম হাঁক দিয়ে ডাকে। দু একটা নৌকা কাছে আসে।
করিম তাদের উদ্দ্যেশ্যে বলে,দেখো ভাই একটা মাইয়া মাইনষ্যের লাশ ভাইস্যা যাইতাছে।



সবাই চোখ কপালে তোলে।ষাটোর্ধ একজন বৃদ্ধ বলে,হ এ দেহি মাইয়া মাইনষ্যের লাশ তাও আবার নেঙটা। কার লাশ এই লাশ কোথা থেইকা আইছে?
করিম বলে,এখন কি করুম ভাই? নৌকায় তুইলা নিমু?
পাশে নৌকা থেকে একজন বলে,তুমি বোকা নাকি মিয়া? কার না কার লাশ। নৌকায় তুইল্যা কি জেল খাটতে চাও? পুলিশি ঝামেলা আছে।
তার থেইকা তুমি এই লাশরে ভাসাইয়া দাও। এই লাশ যেমন ভাইস্যা আইছে তেমন ভাইস্যা যাউক!
পাশের নৌকা থেকে একজন বলে,দেহি মুখের দিকে আলো মারো তো। লাশটাকে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে নেয় একজন। এই মাইয়া মাইষ্যের চেহারা তো ফাইন।
করিম হতভম্ব হয়ে দাঁডিয়ে থাকে। ষাটোর্ধ বৃদ্ধের এমন কথা শুনে পাশের নৌকার লোকজন হলে,’আরে বুইড়া ব্যাডা। বুড়া হইছো এহনো শইল্যে তেজ কমে নায়। একজন দাঁত মুখ খিচিয়ে বলে, ‘হালারে ঠেইল্যা পানিতে হ্যালা। গাঙের জোয়ারে এই মাইয়া মাইষ্যের লাশের লগে ভাইস্যা যাউক।’



লাশটি আবার ভাঁসিয়ে দেওয়া হলো নদীতে ভরা জোয়ারে আর আকাশে ভরা পূর্নিমা। পূর্নিমার চাঁদ উঠেছে। সব যেন দিনের আলোর মতো পরিস্কার। চাঁদের আলো নদীর পানিতে মিলেমিশে প্রতিবিম্বের। এই প্রতিবিম্বের স্থান দিয়ে ভেঁসে যাচ্ছে একটি পরিচয় বিহীন লাশ। এই লাশ যখন জীবিত ছিলো, তখন তার পরিচয় ছিলো। তারো চাঁদের আলো গায়ে মাখতে ভালো লাগতো। জোৎস্না দেখতে ভালো লাগতো। মানুষ মরে গেলে কি থাকে? অনূভুতি বুঝতে পারে? হয়ত পারে না। যদি মৃত হয়েও মানুষ অনুভূতি বুঝতে পারতো, তাহলে কেমন হতো? তাহলে হয়ত সে মৃত হতো না। মৃত্যূ মানে অনুভূতিহীন এক দেহ। বেঁচে থাকলে এই দেহ নিয়ে যত কৌতূহল।

আরও পড়ুনঃ বেশ্যা বাড়ির মাটি




সকাল বেলা বেশ্যাপাড়ার লোকজন জড়ো হয়েছে! একটি মেয়ের লাশ ভেসে এসেছে তীরে। বেশ্যাপাড়ার সর্দারনী, লাশটির কাছে এগিয়ে যায়। হাতের রগ টিপে দেখে মেয়েটির জান আছে এখনো।
-ওরে খানকি মাগির দল, এইডা লাশ না রে লাশ না?
সবাই হক চকিত হয়ে এক পা পিছনে আগায়। এইডা জীবত মানুষ। সবাই তোল তোল!
মেয়ে মানুষটিকে সবাই ধরে! কি ফর্সা দেহ মাইয়াডার। শরীরের খাঁজটা এই বেশ্যাপাড়ার সবথেকে সুন্দর নারী রঙ্গিলার থেকেও সুন্দর। যেটাকে পুরুষ মাইনষ্যে বলে ফিগার। মেয়েটির পেটে চাপ দিতেই পানি বেড়োতে থাকে মুখ থেকে। মেয়েটিকে পড়ানো হয় জামাকাপড়, স্থানীয় হাতুড়ি চিকিৎসককে আনা হয়। তিনি আসতে আসতেই অবশ্য মেয়েটির জ্ঞান ফেরে। ভীষণ জ্বরে সে কাতর। সারারাত ভেসেছে খরস্রোতা নদীতে, কোথা থেকে এই মেয়ে এসেছে তা জানে না। সারারাত জীবিত থেকেও এই মে কিভাবে ভেসে থাকলো সেটাই অলৌকিক বিষয়। বেশ্যাদের ধর্মে বিশ্বাস কম, কিন্তু অলৌকিকতা এমন এক জিনিস যেটা নাস্তিককেও আস্তিক বানায়।



বেশ্যাপাড়ার সর্দারনী সবাইকে কঠোর উপদেশ দিলো, এই মেয়ে যে ভেসে এসেছে তা যেন পাড়ার বাইরের একটা কাউয়া-কোকিলও টের না পায়। সর্দারনীর যে কথা সেই কাজ। টের পেলো না কোন কাকপক্ষীও। মেয়েটিকে দেওয়া হলো নতুন নাম, সাথে কঠোরভাবে বলে দেওয়া হলো এখান থেকে তোমাকে কোন পরপুরুষ যদি কিনে নেয় তবে তুমি বের হতে পারবে। স্বেচ্ছায় পালানোর চেষ্টা করো না, দুদিন বাদে ক্ষুধার জ্বালায় মেয়েটি নিজেই তার শরীর বিকিয়ে উপার্জন শুরু করলো। এ ক্ষুধা পেটের নয়, জৈবিক শারীরিক ক্ষুধা।

একের পর এক নতুন নতুন পুরুষের সাথে শুয়ে শুরু হলো সোনলীর বেশ্যা জীবন। তাকে নাম দেওয়া হলো নদী। বেশ্যাপাড়ার সর্দারনী বললেন, ” তুমি যখন গাঙ থেইকা ভাইসা আইসো। তখন তুমি নদীদেবী।” নদী বেশ কিছুদিন বাঁদেই সুস্থ হয়ে উঠলো। স্নো পাউডার মেখে তার ঘরে বসে থাকলেই হতো। এলাকার বড় বড় রাজনীতিবিদ সহ বেশ উচ্চপর্যায়ের মানুষের ওঠাবসা তার ঘরে। সর্দারনীও বেশ খুশি, বেশ কিছুদিন বাদে পাড়াটা জমে উঠেছে। কিশোর থেকে পঞ্চাশোর্ধ পৌরষসত্ত্বার স্বাদ গ্রহণ করতে থাকলো নদী।



এক যুবকের ঘটনায় বলা যাক, বয়স ষোল হবে। শখ করে এসেছে, বেশ্যাপাড়ায়। বেশ্যাপাড়ার সবচেয়ে সুন্দরীর ঘরেই সে ঢুকেছে। ঢুকেই দেখে একটি নারী ঘোমটা দিয়ে বসে আছে, সেই উঠতি বয়সি পুরুষটির চোখে ভীষণ যৌনতা ও একইসাথে কৌতুহল কাজ করছে। সে ধীরপায়ে বিছানার দিকে এগিয়ে যায়, বিছানার কাছে এগিয়ে যেতেই ঘোমটা দেওয়া নারীটি বলে, বসেন।



মিষ্টি কোকীল কন্ঠী সেই নারীর কথা শুনেই পৌরষটির পৌরষসত্ত্বায় প্রবলভাবে হানা দেয়, সে ধীরে ধীরে নারীটির ঘোমটা তুলতেই, চোখে পড়ে এ যেন হিন্দি সিনেমার নাইকে। ঘোমটা তুলতেই মেয়েটির মিষ্টি মুখ তাকে গ্রাস করে, মেয়েটির মুখে আধো আধো হাসি। মুখে পান, জর্দার সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পরেছে ঘরে। বুকের খাঁজ থেকে সে একটি পান বের করে, ছেলেটির মুখে ছোঁয়ায়।মুখে ছুঁইয়ে, সে পানটি গালে পুড়ে দিতেই, পান ঠাসা মুখে শ্বাস না করতে পেরে সে বিকট শব্দে কাশি দেয়। সেই কাশের পরেই ভেসে আসে নদীর হাসির শব্দ, যে হাসিতে ছেলেটি ক্ষাণিক বিভ্রান্ত হয়। সাহসহীনতায় ভুগতে থাকে, এরপর অবশ্য নদীই ছেলেটির দিকে ঝাপদেয়। ছেলেটিকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফ্যালে, এরপর চালাতে থাকে তার সুখের রঙতরী। ছেলেটি অবশ্য নদীকে ভোগ করার আগেই নদীর অথৈ জলে ডূবে গিয়েছিলো। নদীর অবশ্য সেদিন ভীষণ মেজাজ খারাপ হয়েছিলো। এ ছেলে কোন দিন তার সঙ্গীকে সুখ দিতে পারবে না।




অদ্ভুত কারণে নদীকে সুখ দিতে পেরেছিলো এক বুড়ো। তার বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি মাঘের জলসায় হাজির হয়েছিলেন চেয়ারম্যান আজগর। মেয়েটিকে তার ভালো লেগেছিলো। মেয়েটির শরীর জুড়ে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন অদ্ভুত এক সম্মোহনী টান।মেয়েটি তার সারাজীবনের নগ্ন ক্ষুধার যেন তৃপ্তি দিয়েছে তাই তিনি মেয়েটিকে নিয়ে চললেন তার গ্রামে। নদীপাড়ে গেড়ে দেওয়া হলো একটি ঘর।

রাত শেষে বিষন্নতা নামে চোখের পাতায়। নদী বানুর দু চোখ জুড়ে ঘুম আসে না৷ পান চিবোতে চিবোতে ভাবে যাপিত জীবনের যত কথা। তার এই জীবনের পরিনতির জন্য দায়ী কি সে নিজেই? তার দু চোখ বেয়ে জলের ফোঁটা গড়ায়। চোখের জল গাল বেয়ে নেমে ভিজিয়ে দেয় বালিশ। তার সর্বাঙ্গ পাপের কথা বলে, মনে হয় শেষ জীবনের কথা। মৃত্যুর পরের জীবন নামে একটা জীবন আছে৷ সেই জীবনের সাথে এই জীবন বেঁধে আছে। এই জীবনটা একটা পরিক্ষার খাতা। এই জীবনে যা লেখা হবে, সেই জীবনে হবে তার হিসেব। হিসেবের ফলাফলে অকৃতকার্য হলে, পুড়তে হবে নরকের আগুনে।



নদী বানু চোখের জল মুছে নেয়। পানের পিক ফেলে। আজ খদ্দের নেই। হঠাৎ করে তার খদ্দেরের কথা কেনো মনে পড়লো? একটু আগেই তো সে ভাবলো নরকের কথা। জীবন থমকে যায় দ্বিধাদ্বন্দের হিসেব নিকেশে। পাপ-পূন্যের ভাবনা চিন্তা থেকে নদী বানুর বেড়িয়ে আসতে শুধু মাত্র একটি অযুহাত অবচেতন মনে সাড়া দেয়, নটিদের পূণ্যের কথা ভাবতে নেই। নটিদের পূণ্য বয়ে আনে শরীর। এই শরীর যুগ যুগ ধরে ভোগ করছে পুরুষ। বৈধতা ছাড়া! কত নারী মরে গেলো অকালে। তাদের কি হয়েছে সাড়ে তিন হাত যায়গা? দহনে দাহন! পৃথিবীর কোথায় কি পুরুষদের বেশ্যালয় আছে? খুব জানতে ইচ্ছে করে নদীর।

গাঁজা খেয়ে নিদারুণ নেশায় সে লুটিয়ে পড়ে! ইচ্ছে করছে আজ কারও সাথে সঙ্গমে জড়াতে। জীবনের যে জড়তা সে কাটিয়ে এসেছে, পুরুষের সঙ্গছাড়া তার ভালোই লাগে না। শুধু মাসিকের সময় ছাড়া। নদীরও ইচ্ছে করে মা হতে! বেশ্যারা কি মা হতে পারেন না?

 

[প্রিয় পাঠক? গল্পের এই পর্বটি নিশ্চয়ই আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্ব আসছে শীঘ্রই। কমেন্টে জানাতে পারেন আপনার মতামত]

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
ছোটগল্প - শেষ মুহুর্ত

ছোটগল্প – শেষ মুহুর্ত

নাঈমুর রহমান নাহিদ রক্তে রঞ্জিত হয়ে আছে পুরো মেঝে। আমার নিথর দেহ অসহায়ভাবে পরে আছে ফ্লোরে। সদ্য কাটা শিরা বেয়ে টপটপ করে ঝরে পরছে দেহের ...
অপয়া | অর্পিতা শিরিন স্বর্ণা

অপয়া | অর্পিতা শিরিন স্বর্ণা

| অর্পিতা শিরিন স্বর্ণা   আমি নাকি অপয়া! বাবা মায়ের ইচ্ছাতেই বিয়ে হয় আমার। শুরু হয় সংসার জীবন। আমার উনি ব্যবসা করে। ইদানিং ব্যবসায় লাভ ...
কবিতা- বাংলা ভাষা

কবিতা- বাংলা ভাষা

সাইফুল ইসলাম মুহাম্মদ জন্ম নিয়ে দুঃখ নেই পেলাম বাংলা ভাষা বাংলা বীনে কথা বলে মিটে না যে আশা। আমার ভাইয়ের রক্ত সেদিন যায়নি তাই বৃথা তাইতো আজ নানান কাজে বলি বাংলায় ...
ছোট গল্প - বাপের বাড়ি

ছোট গল্প – বাপের বাড়ি

ডঃ গৌতম সরকার গঙ্গার দিক থেকে একটা হাওয়া এসে চিতার আগুনটাকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। এদিকটায় কোনো আলো নেই। দূরে ডোমের এক কুঠুরি ঘরটায় একটা অল্প পাওয়ারের ...
Facebook Status: বাংলা রোমান্টিক ছন্দ (এসএম এস, FB Post, Best FB Caption)

Facebook Status: বাংলা রোমান্টিক ছন্দ (এসএম এস, FB Post, Best FB Caption)

১.তোমার আগমনে আমার জীবন যেন নতুন রং খুঁজে পেয়েছে। সে রঙের মহিমায় আমি সব সময় উচ্ছ্বসিত থাকি। সে রং আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা যোগায়, আত্মবিশ্বাস ...
ভ্রমণকাহিনী- সুন্দরবনের জলে জঙ্গলে- ডঃ গৌতম সরকার

ভ্রমণকাহিনী- সুন্দরবনের জলে জঙ্গলে- ডঃ গৌতম সরকার

ডঃ গৌতম সরকার   ” বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে  বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে  দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা  দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু ;  দেখা ...