সিনেমা পর্যালোচনা- বসু পরিবার

সিনেমা পর্যালোচনা- বসু পরিবার

হুমায়রা বিনতে শাহরিয়ার

 সুমন ঘোষ পরিচালিত “বসু পরিবার” একটি বাংলা চলচ্চিত্র। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চ্যাটার্জী এবং অপর্ণা সেন। এটি ১৮ বছর পর এই অভিনেতাদের পুনর্মিলনী কে চিহ্নিত করে। তারা সর্বশেষ “পারমিতার একদিন” (২০০০) চলচ্চিত্রে জুটি বেঁধেছিলেন।এই চলচ্চিত্রটি এপ্রিল ৫,২০১৯মুক্তি পেয়েছে।

১১০ মিনিটের এই পারিবারিক চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন – সৌমিত্র চ্যাটার্জী,অপর্ণা সেন,ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত,শাশ্বত চ্যাটার্জী,যীশু সেনগুপ্ত,কৌশিক সেন,পরান বন্দ্যোপাধ্যায়,লিলি চক্রবর্তী,শ্রীনন্দ শঙ্কর,সুদীপ্ত চক্রবর্তী প্রমুখ চলচ্চিত্র শিল্পীগণ। গল্পটি পরিচালনা করেছেন ও লিখেছেন সুমন ঘোষ।বিক্রম ঘোষ দ্বারা সংগীত পরিচালিত হয় এবং জয় সুপ্রতিম দ্বারা সিনেমাটোগ্রাফি। ছবিটির শুটিং জুলাই,২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল। মহিষাদল রাজবাড়ি সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন লোকেশনে এর শুটিং করা হয়েছে।

ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব অপর্ণা সেন এবং সৌমিত্র চ্যাটার্জি পারিবারিক বন্ধন এবং হতাশার এই তিতোত্তর কাহিনীটির শীর্ষকেন্দ্রটি তুলে ধরেছেন।ছবিটি একটি প্রাচীন বাড়ির পটভূমিতে নির্মিত যার নাম “কমলিনী।”

এক প্রবীণ দম্পতি সেখানে মঞ্জুরী (অপর্ণা সেন) এবং তার স্বামী প্রণব (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) তাদের পঞ্চাশতম বিবাহ  বার্ষিকী উদযাপন করছেন এবং পরিবারের সদস্যরা তাদের এককালের দুর্দান্ত, এখন বেশিরভাগ হ্রাসপ্রাপ্ত মঞ্চে জড়ো হয়েছিলেন, যেখানে তারা অর্ধ শতাব্দীর আগে বিবাহ করেছিলেন।যুবা-বৃদ্ধরা আত্মীয় স্বজন এসে তাদের জীবন সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার দরুন এই মহান পরিবারের অতীত সম্পর্কে গল্পের আদান-প্রদান হয়।

এক পর্যায়ে,এমন একটি পারিবারিক রহস্য প্রকাশ পায় যা দীর্ঘ সময়ের জন্য গোপন ছিল।তবে বাস্তবে পারিবারিক কল্পকাহিনীর থেকে বেশি জটিল তা অনুধাবন করতে বেশি সময় লাগে না।দীর্ঘ-সমাহিত পারিবারিক গোপনীয় গোপনীয়তা অনিবার্যভাবে উত্থিত হয় যা আরও ভালভাবে লুকিয়ে রাখা থাকতে পারে – “একটি নীরব অতীত।অতীতের বিবর্ণ অভিমানের মুখোমুখি হওয়ার জন্য” পারিবারিক ঘনিষ্ঠতা এখন আগের চেয়ে আরও বেশি প্রয়োজন।এই চলচ্চিত্রতে সুমন ঘোষ উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রশ্নগুলো এবং অন্যায় কাজগুলির পাশাপাশি এর অন্তর্নিহিত শক্তি এবং বেদনা গুলোর জন্য সূক্ষ্ম চোখে নির্দেশনা দেন।

উচ্চবংশীয় মর্যাদাকে বাঁচিয়ে রাখতে গিয়ে মানুষ কতোই না হাজারো গোপনীয়তা রক্ষা করতে চায়।

কিন্তু হাজারো কাহিনী বালি চাপা দিয়ে রাখলেও তা যে সময়কালে বেড়িয়ে আসবেই এমন এক নষ্টালজিয়ার অবগাহন এই চলচ্চিত্রটি। কিংবদন্তি আইরিশ লেখক জেমস জয়েসের জনপ্রিয় গল্প “ দ্য ডেথ” থেকে অনুপ্রানিত হয়েই এই চলচ্চিত্রটি সকলের সামনে উপস্থাপন করেন সুমন ঘোষ। কোনো সমস্যা নেই যদি আপনি এই বইটি না পড়ে থাকেন তবে, চিত্রনাট্যই সিনেমার উপজীব্য।

“বসু পরিবার” তার শেকড়ের সন্ধানে বেরিয়েই যেনো তলিয়ে যায় গভীর অতীতে।অতীতের ফেলে আসা দিনগুলোর পদচারণায় কিছু গোপন ও কঠিন সত্যের উপর হতে কাপড় উঠে আসে কালবেলা হয়ে।

গল্প পটে পুরো পরিবারের মানুষেরা একে একে হাজির হতে শুরু করে- প্রথমে তনু,পম্পি আর বসু বাড়ির মেয়ে মামনি  আসে, তারপর আসে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকা ছেলে রাজা আর ওর নববধূ রশনী।মূলত তাদের বাবাই চিঠি পাঠায়;  নববধূকে রাজবাড়িতে বরণ করাও যেনো এক কারণ ছিলো। এরপর আসে টুবলু আর তার মা। কিছুক্ষণ পর আসে পোকা।বাড়ির খাস চাকর বাকর, রাধুনী; সবার মিলেমিশে আনন্দ করা,শূন্য বাড়ি যেনো মুহুর্তেই  মনমুখোর হয়ে উঠে।হৈ-হুল্লোড় করে সব মিলিয়ে ভালোই এগোচ্ছিল ছবি। কিন্তু রহস্যের খাসমহল দ্বিতীয়ার্ধে। এখানেই হয় প্রত্যেকটি চরিত্রের ময়নাতদন্ত।

কৌশিক সেনের চরিত্রটির উভকামী সত্ত্বা থেকে শুরু করে সব রহস্য রয়েছে এই দ্বিতীয়ার্ধে। মানুষমাত্রই তার কিছু গোপন কথা থাকবে। দ্বিতীয়ার্ধে সেদিকেই নজর দিয়েছেন পরিচালক।

শ্বশুরবাড়িতে এসে রশ্মিকে অবশ্যম্ভাবীভাবে একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় যে – “ছেলেমেয়ে কবে হবে?”

এই প্রশ্ন শুনতে শুনতে রশ্মি ক্লান্ত।সে জানে সমস্যা তার নয়; তার স্বামীর।কিন্তু কাউকে সে সেকথা বলতে পারে না।কিন্তু আড়াল থেকে মা শুনে ফেলে সেই কথা।এই আড়াল থেকেই ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।কারণ ছেলের কথা যেমন মা শুনে ফেলে তেমন মায়ের কথাও শুনে ফেলে মেয়ে।মায়ের পরকীয়া ছিল।শ্বশুরবাড়িতে নতুন বউ হয়ে আসার পর কেয়ারটেকারের ছেলেকে তার ভাল লাগত। সেই ভাললাগা মানতে পারেনি একসময়ের আত্মঅহংকারে টইটম্বুর বসু পরিবার।

এই সজল উপস্থিত কিন্তু ছবিতে নেই।কিন্তু আড়াল থেকে ছড়ি ঘুরিয়ে গিয়েছে ছবির প্রতিটা চরিত্রে উপর। এই সজলের জন্যই প্রাচীন রাজবাড়ি থেকে নতুন বাড়িতে উঠে আসে গোটা বসু পরিবার। সেকথা জানতো বাড়ির বড়ছেলের ছেলে টুবলু।সজলের সঙ্গে ছিল তাঁর নাড়ির টান।রক্তের সম্পর্ক না হলেও তাদের মধ্যে ছিল পাতানো দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক।তাই মঞ্জুরী তার বিহনে সজলের আত্মহত্যা মেনে নিতে পারেনি সে।ওই ঘটনার জন্য বসু পরিবারের কোনও আনন্দোৎসবে শামিল হতে চাইতো না সে।এবারও আসতে চায়নি।মায়ের জোরজবরদস্তিতে আসে। কিন্তু তার মন পড়ে থাকে পুরনো রাজবাড়ির কোণে।সেখানে একসময়ে  বাড়ির কেয়ারটেকার থাকত।মঞ্জুরীর সঙ্গে সজলের নামহীন সম্পর্কের কথাও কি সে জানত?

হয়ত!তাই তো একসময়ের নিত্যসঙ্গী ‘কাকিমা’-কে সে সরাসরি সজলের কথা নিয়ে নাড়া দিতে পারে।

গোটা বসু পরিবার মূলত এই দুটি চরিত্রের গল্প।টুবলু আর মঞ্জুরী। ছবির গল্প ভালই। কিন্তু চিত্রনাট্য যেন একটু দুর্বল।প্রথমার্ধ অতীব ধীর। রহস্যের খাসমহল পরিচালক তৈরি করেছেন দ্বিতীয়ার্ধে। কিন্তু এর কথা ও আড়াল থেকে শুনে নিচ্ছে-ওর কথা এ শুনে নিচ্ছে এসব যেন বড় তাড়াতাড়ি হয়ে গেল।

হয়ত একটু সময় নিয়ে এগুলি সাজাতে পারতেন পরিচালক।অবশ্য পরিচালক একের পর এক চমক দেবেন বলে চিত্রনাট্য লিখে থাকেন, তবে এ নিয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠে না।তাই ভালমন্দের বিচার এখানে অপ্রাসঙ্গিক।কিন্তু চিত্রনাট্য নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।সত্যিই যেন এখানে আরও একটু যত্নবান হতে পারতেন পরিচালক। কারণ সুমন ঘোষের থেকে দর্শক আরও অনেক বেশি কিছু আশা করে।তাই যে প্রত্যাশা নিয়ে বসু পরিবার দেখতে গিয়েছিলাম, তা অনেকটাই অপূরণীয় থেকে গেল। তবে একবার দেখে আসাই যায় বসু পরিবার।

এক পর্যায়ে রশ্মি রাজবাড়ি ঘুড়তে ঘুড়তে পৌঁছে যায় পুরোনো রাজপ্রাসাদে যেখানে এক কঠিন সত্য লুকায়িত ছিল অনেক বছর ধরে। টুবলুও সেই প্রাসাদে ঘুড়ে আসে যেন সে চায় এই রহস্যের উপরের পর্দা উঠুক।ধীরে ধীরে ধুলো জমা অতীতের গিট খুলে সামনে আসতে শুরু করে সকলের।

এদিকে অন্য কাহিনী পটে উঠে আসে বসু পরিবারের ছেলেদের মাঝে কেমন যেনো এক সমস্যা রয়েছে,তা কি ছিলো?

রহস্যের বেড়াজাল পেড়িয়ে কি বেরিয়ে আসে?

তবে আমার মতে কিছু একটা খামতি থেকে যায় গল্পে, এতো চরিত্রের ভিড় যেখানে, সেখানে আরো অনেক কিছু পাওয়ার আশা থেকেই যায়, যা পূরণ হলো না।

কিন্তু সকলের অভিনয় ছিলো অসাধারন;এখানে আরো কিছু ড্রামেটিক কিছু হবে বলে আশা করেছিলাম।তারকাদের আরো ব্যবহার করে কিছু কাহিনি যোগ করলে বোধহয় খারাপ হতো না!

ছবি শেষ করার কি যেন একটা তাড়া ছিলো বটে।এমনকি সংগীতের দিকে যদি কথা বলি তবে শুধুই “ভ্রমর কইও গিয়া” গানটা যেন মনে ধরেছে;বাকিটা খানিকটা একঘেয়ে লেগেছে।এত ভালো শিল্পীরা ছিলেন কিন্তু ক্যামেরার কাজে আহামরি তেমন কিছুই ছিলো না।খানিকটা অন্য চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপটের কথাই যেন বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিল মাঝেমধ্যেই।

সংলাপে হিউমারের ছোঁয়া হৃদয় স্পর্শ করলেও চরিত্রদের টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে এক থেকে অন্যে চলনে বাধা পড়ে।ইচ্ছে আর ইচ্ছেপূরণের মাঝের ফারাকটুকু চোখে লাগে।তবে ভাল ছবির ডিটেলিং, অভিনয়ে আর আর্ট ডেকরে অনেক খামতি ঢেকে গেছে।

“পঞ্চাশ বছর কম সময় না, আবার কম…।”

পেছনে ফেরার রাস্তায় অতীতের কিছু পাতা না চাইলেও খুলেই যায়। এক লহমায় হারিয়ে যায় প্রণব ও মঞ্জুরীর বিবাহবার্ষিকীর আড়ম্বর।

ছবির মূল আকর্ষণ বহু বহু দিন পরে পৰ্দায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং অপর্ণা সেনের যুগলবন্দি,যা নিশ্চিতভাবেই নস্টালজিয়ায় ডুব দিতে বাধ্য করবে বাঙালি দর্শককে।একটা যৌথ পরিবার, তাদের সম্পর্কের ‘সমীকরণ-টানাপোড়েন’ এই নিয়েই গল্প ‘বসু পরিবার’-এর। যে পরিবারের আপাত-খুশি থাকার নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে সুখী মুখগুলোর আড়ালে থাকা চোরা টেনশনের আবহ।যে টেনশনের উত্তাপ ছুঁতে থাকবে দর্শককে,যত এগোবে গল্প,যত উন্মোচিত হবে পরিবারের সদস্যদের চরিত্রের আপাত গোপন ভাঙাচোরা।

আশা করি আপনারা এই চলচ্চিত্রটি দেখবেন।এটি একটি বাস্তব রত্ন।সিনেমাটোগ্রাফি,পটভূমি সংগীত দুর্দান্ত।ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসাবে একাকী ভয়েস একটি অনন্য ধারণা।বেশ ভালো ফিনিশিং।এই দুর্দান্ত মুভিটি আপনি দেখনে পারেন।স্পট নির্বাচন সত্যিই ভাল।

গল্পের সাথে সাথে সকলের পথ এগোতে থাকে?

তনু আর পম্পির কি কোন কথা হয়ে ছিল নাকি একে অপরকে এড়িয়েই গেলেন?

রাজা আর নববধূ রশনীর মাঝের সমস্যার কি সমাধান হয়েছিলো?

“বসু পরিবার” গল্পটি আসলে এক বিবাহ দম্পতির কাহিনী শুধু তা নয়, বরং ফেলে আসা দিনগুলো মনে করে সকলের অতীতে হারিয়ে যাওয়ার গল্প।পরিবারকে নতুন করে জানার,বোঝার চিত্র দেখা যাবে এবং একটা সম্পর্ক কি করে সুন্দর করা যায়!

সেটা নিয়েই যে বেঁচে থাকা সেটা নিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে প্রশান্তি তার এক অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে বেশ ভালভাবেই।সম্পর্ক নষ্ট করেও যে মানসিক সুখ হয় না,তাই শিখিয়ে দেয় এই চলচ্চিত্র।বাঁচতে হলে যে প্রেম-ভালবাসারও দরকার তা যেনো হাতেকলমেই শিখিয়ে দিয়ে চলতে থাকে গল্পের কাহিনি পট।

গল্পটি চলছিল নতুন-পুরোনো সম্পর্কের যাত্রা হয়ে।আমি বলব সংসার জীবনে সকলেরই এই চলচ্চিত্রটি দেখা দরকার,সম্পর্কের কোথায় কেমন করে সামাল দিতে হয় বা আমাদের কোথায় একটু ভাবা উচিত সেটার অভিপ্রায় শিখিয়েই চলতে থাকা এই গল্পটি – “ বসু পরিবার ” । আপনার সময় নষ্ট হবে না বরং আপনার শেখার – জানার কিছু মূহুর্ত হবে।চলচ্চিত্রটি দেখুন, না হয় প্রিয় মানুষটার সাথেই দেখুন, অবশ্যই ভালো লাগবে। আশা করি আপনি মুভিটি দেখবেন।

ধন্যবাদ।

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
ক্ষতি 

ক্ষতি 

জোবায়ের রাজু  সেনাপাড়া বাজারের মোড়ে ডান হাত কাটা যে বয়স্ক মহিলাটি বসে বসে গলা ফাটানো আর্তনাদ করে ভিক্ষা করছে, তাকে দেখে আমার বুক ধক করে ...
যমুনার জল

যমুনার জল

আদ্যনাথ ঘোষ স্পর্শগুলো ভুলে গেলে শ্রীরাধিকা। আগুনের গোলা বুকে নিয়ে ফুলেরা মিছিল করে। সিদ্ধপুরুষও মতিভ্রম হয়। শতদলপদ্ম জলে ফোটে রাঙা জলে জ¦লে ওঠে ফুটন্ত বসন্ত। ...
বঙ্গবন্ধু তুমি

বঙ্গবন্ধু তুমি

শেখ সা’দী তুমি বাঙ্গালির বন্ধু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভুলিনি আজও, ভুলবো-না কভু তোমার রেখে যাওয়া অবদান, বাঙ্গালির আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র তুমি বাংলা মায়ের সন্তান। ...
ঈদ সওগাত

ঈদ সওগাত

গৌতম সরকার ও আমার মেঘলা আকাশ একটু বৃষ্টি দিও খুশির এই ঈদের দিনে আমাদের দাওয়াত নিও। ও ভাই মেঘলা আকাশ গ্রীষ্মের নিদাঘ দিনে শরীরের ঘামগুলো ...
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ঈদের কবিতা (আবৃত্তি)

কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ঈদের কবিতা (আবৃত্তি)

ঈদ মোবারক- কাজী নজরুল ইসলাম (আবৃত্তি-মহীতোষ গায়েন) কত বালু চরে কত আঁখি-ধারা ঝরায়ে গো, বরষের পরে আসিল ঈদ! ভূখারীর দ্বারে সওগাত বয়ে রিজওয়ানের, কন্টক-বনে আশ্বাস ...
জিহাদি

জিহাদি

গৌতম সরকার কালো রঙের বি.এম.ডব্লিউ গাড়িটা এয়ারপোর্ট এক নম্বরে এসে দাঁড়ালো। কলকাতার লোকের কাছে এসব গাড়ি অনেকদিন চোখ সয়ে গেছে, তবুও গাড়িটা উপস্থিত অনেকেরই চোখ ...