জোড়া কবিতা- লুনা রাহনুমা

জোড়া কবিতা- লুনা রাহনুমা
  হৃদয়
ঢেকে রেখেছিলাম কুসুমে কোমলে
বাজার থেকে কিনে আনা দামি সুগন্ধে,
গোলাপে আতরে জরির ওড়নায় লোকচক্ষুর অন্তরালে –
আমার মগজের পচে যাওয়া ক্ষত।
বেখেয়ালে কখন দমকা হাওয়া এসে
ভেঙে দিলো সুকঠিন লোহার আগল,
লোকারণ্যে প্রকাশ হলো নিরলঙ্কার ঘৃণা
এতোদিন বুকে চাপা দেয়া ছিল যত।
.
.
.
.
  ভার্চুয়াল ইমেজ
আমাদের,
কথা হয় শুধু মনিটরে,
কথা হয় শুধু পরস্পরের ছবি দেখে।
ভাবের আদান প্রদান হয় ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশের আলোয়।
মুখোমুখি আড্ডা নাই-
গ্রাহামবেলের আবিষ্কৃত টেলিফোন নামক যন্ত্রে কণ্ঠস্বর শোনা নাই-
একে অপরের হাঁটা চলা উঠা বসা রুচির শৌখিনতা কেমন
সে আন্দাজ করার কোন উপাই নাই-
তবুও এই যন্ত্রের জগতে ঠিক চেনা হয়ে যায় আসল মানুষটাকে।
কিভাবে?
মুঠোফোনে ফুটে উঠে মানুষগুলোর মনের ভাষা,
আর বাক্যের গঠন,
আর ইমোজি ব্যবহারের ভঙ্গিমা,
সব বলে দেয় তারা যত্ন করে ঢেকে রাখা প্রেরকের অনেক গোপন কথা।
কি-বোর্ডের চাপে- তারে আর বেতারে,
ফুটে উঠে ব্যাক্তির ব্যক্তিত্ব মেজাজ আবেগ আর অহংকারের নিপুন ইমেজ।
তাই,
সামনা সামনি দেখা না হয়েও মানুষ মানুষের বন্ধু হয়।
আবার দিনের পর দিন অপমানিত হবার সুযোগ না দিয়েই
কিছু ইতর লোকের কাছ থেকে দূরে থাকা যায়, সসম্মানে।
উপলব্ধি:
মানুষ নিজেই নিজেকে মেলে ধরে অন্যের সামনে নিজের কথায় আর প্রত্যুত্তরে-
সামনাসামনি গুটিকয় লোকের কাছে,
কিংবা আধুনিক এই প্রযুক্তির যুগে স্ক্রিনে একই সাথে কোটি মানুষের সম্মুখে।
আসলে,
গুণী হলেই মানুষ বড় মানুষ হয় না।
বিনয়ী হবার গুন মানুষকে অর্জন করতে হয়।
খুব কঠিন এই বিদ্যা অর্জন করা।

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
আরেকটি শিরোনামহীন কবিতা

আরেকটি শিরোনামহীন কবিতা

আশিক মাহমুদ রিয়াদ   এ কবিতার নাম কি রুদ্ধশ্বাস দেয়া যায়? যেখানে এক নরম মেরুদন্ডী জীব- বাঁচার প্রাণপন চেষ্টা করে? এ শহরের কি কোন মায়া ...
চ

চ ‘চুপি চুপ বলো কেউ জেনে যাবে’ এই গানটি নিঃসন্দেহে জীবনে একবার হলেও শুনেছেন? না শুনে থাকলেও ক্ষতি নেই বৈকি। তবে আসুন এবার জানাই ‘চ’ ...
তিশার সম্পর্কে বইয়ে কি লিখেছেন মুশতাক?

তিশার সম্পর্কে বইয়ে কি লিখেছেন মুশতাক?

কে এই খন্দকার মোশতাক আহমেদ? খন্দকার মুশতাক আহমেদ এর শৈশব কৈশোর কেটেছে রাজধানীর মতিঝিলে। গ্রামের বাড়ি ঢাকার অদূরে সৈয়দ নগর, শিবপুর, নরসিংদী। পড়াশুনা করেছেন নটর ...
ছোটগল্প - সমাধান

ছোটগল্প – সমাধান

জোবায়ের রাজু ঘড়ির কাটায় রাত দুইটা। কবির হোসেনের ঘুম আসছে না। চব্বিশ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্ত্রী ঝর্না বেগমকে বেশ মনে পড়ছে। আজ তাদের ...
ক্রান্তিকাল

ক্রান্তিকাল

কাজী আশিক ইমরান দেখেনি কেউ অপরাহ্ন,আহ! কতোদিন থেমে ছিল মৃদু পরিমল। শান বাঁধানো খোলা ডাস্টবিন আবর্জনা নয়, লাশের স্তুপ চেয়েছিলো। ক্রিং ক্রিং হর্নে জেগে উঠা ...
তোমার গায়ে হলুদে

তোমার গায়ে হলুদে

অমিত মজুমদার আমার ঘরে বাঘ এসেছে তোমার দেহে কুমীর কেটে খাল দাঁড়িয়ে আছি মাঝ আকাশে দেখতে পাচ্ছি আপেল রাঙা গাল। একটু না হয় দোলই খাবো ...