হৃদয়
ঢেকে রেখেছিলাম কুসুমে কোমলে
বাজার থেকে কিনে আনা দামি সুগন্ধে,
গোলাপে আতরে জরির ওড়নায় লোকচক্ষুর অন্তরালে –
আমার মগজের পচে যাওয়া ক্ষত।
বেখেয়ালে কখন দমকা হাওয়া এসে
ভেঙে দিলো সুকঠিন লোহার আগল,
লোকারণ্যে প্রকাশ হলো নিরলঙ্কার ঘৃণা
এতোদিন বুকে চাপা দেয়া ছিল যত।
.
.
.
.
ভার্চুয়াল ইমেজ
আমাদের,
কথা হয় শুধু মনিটরে,
কথা হয় শুধু পরস্পরের ছবি দেখে।
ভাবের আদান প্রদান হয় ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশের আলোয়।
মুখোমুখি আড্ডা নাই-
গ্রাহামবেলের আবিষ্কৃত টেলিফোন নামক যন্ত্রে কণ্ঠস্বর শোনা নাই-
একে অপরের হাঁটা চলা উঠা বসা রুচির শৌখিনতা কেমন
সে আন্দাজ করার কোন উপাই নাই-
তবুও এই যন্ত্রের জগতে ঠিক চেনা হয়ে যায় আসল মানুষটাকে।
কিভাবে?
মুঠোফোনে ফুটে উঠে মানুষগুলোর মনের ভাষা,
আর বাক্যের গঠন,
আর ইমোজি ব্যবহারের ভঙ্গিমা,
সব বলে দেয় তারা যত্ন করে ঢেকে রাখা প্রেরকের অনেক গোপন কথা।
কি-বোর্ডের চাপে- তারে আর বেতারে,
ফুটে উঠে ব্যাক্তির ব্যক্তিত্ব মেজাজ আবেগ আর অহংকারের নিপুন ইমেজ।
তাই,
সামনা সামনি দেখা না হয়েও মানুষ মানুষের বন্ধু হয়।
আবার দিনের পর দিন অপমানিত হবার সুযোগ না দিয়েই
কিছু ইতর লোকের কাছ থেকে দূরে থাকা যায়, সসম্মানে।
উপলব্ধি:
মানুষ নিজেই নিজেকে মেলে ধরে অন্যের সামনে নিজের কথায় আর প্রত্যুত্তরে-
সামনাসামনি গুটিকয় লোকের কাছে,
কিংবা আধুনিক এই প্রযুক্তির যুগে স্ক্রিনে একই সাথে কোটি মানুষের সম্মুখে।
আসলে,
গুণী হলেই মানুষ বড় মানুষ হয় না।
বিনয়ী হবার গুন মানুষকে অর্জন করতে হয়।
খুব কঠিন এই বিদ্যা অর্জন করা।