অনঞ্জন
সে ঠিক করল বৃষ্টি দেখবে, ভিজবেনা কিছুতেই,
বৃষ্টি এল, অরণ্যের মতো, দুকুল ছাপিয়ে-
আজই ধুয়ে নিয়ে যাবে সমস্ত পুরনো বিশ্বাস,
আকাশে তখন অনন্তের সব সঙ্গীত!
সে গলে পড়তে থাকে, তার জেদ তার যত অভিমান,
হাত বাড়ায়, একটু স্নিগ্ধ নেয় দুইকরতলে
তারপর মেখে নেয় মুখে- স্নিগ্ধ সে আবেশ,
শ্রাবণ ঝরতে থাকে বুকের ভেতর- ঝরোঝর
ভরে দিয়ে প্রাণের মধ্যে প্রবল-শূন্য, সে ভিজে চলে,
অঘোরে বিরহ মেশে, বিরহে অঘোর,
ভেসে যায় ভিতর-বাহির!