শহরে নতুন টিকটিকি! পালাবি কোথায় বল?
দেব কে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, এখনো দেখছি। আগেই একটা পোস্টে লিখেছিলাম দেব সময়ের সাথে নিজেকে পাল্টাতে পেরেছে। এটা করতেই হবে যদি ইন্ড্রাস্ট্রিতে টিকে থাকতে হয়, তবে পালটানো শুধু কমার্শিয়াল সিনেমায় নয়, ওপারের হিউজ কাজের স্ট্র্যাকচার আর স্টোরি বিল্ডাপ আসে সাহিত্য থেকে। ব্যোমকেশ, ফেলুদা সহ আরও গোটা কয়েকটা কাজের নাম মনে করতে পারবো চেষ্টা করলে। কলকাতা শহরের অলিতে গলিতে এখনো বাজে সাহিত্যের গান, তর্ক-হয় বিতর্ক হয়। দেয়ালে দেয়ালে ঘোরে সাহিত্যের সজ্বল লাইন।
দেব নিজেকে ভেঙেছেন আবারও গড়ছেন, চ্যাম্প থেকে বোধয় তার এই যাত্রা শুরু। এরপরই সাহস করে পা ফেলেছেন। চাঁদের পাহাড়, অ্যামাজন অভিযানেও দেবকে উচ্ছ্বসিত এবং দৃঢ় ভাবে নিগুঢ় চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। এবার অবতার এলেন ব্যোমকেশ হয়ে। তিনি পারবেন – ‘গরীবের নাম ব্যোমকেশ বক্সী’ এই ডায়লগটা শীতল গলায় চরম উত্তপ্ত হয়ে বলতে? নিজের কাছে এই চরিত্রে মহানায়ককেই ভালো লেগেছিলো। দেব এর চেষ্টা ভালো, তবে মূল সিনেমায় তিনি কিভাবে কি করেন সেটিই দেখার বিষয়। আমার কাছে ব্যাক্তিগতভাবে মনে হয় ব্যোমকেশ চরিত্রটাকে ফ্রিজ করে দেওয়া উচিত। অন্তত পক্ষে সবাই এই কঠিন চরিত্রে তো আর সহজে অভিনয় করতে পারবেন না। এ সময়ে আমার কাছে অনির্বাণের অবতার ভালো লাগে, যেন এ যুগের ব্যোমকেশই তিনি।
তবে দেব এ টিজারে, যেভাবে বললেন…আমি নেতা ও নই অভিনেতাও নই। চিনলেন কি করে? তখন মনে হচ্ছিলো তিনি ট্রেলারে এর থেকেও ভালো কিছু নিয়ে আসতে যাচ্ছেন।
তবে শেষমেষ এতটুকুই প্রত্যাশা থাকবে দেব কতটুকু কি করতে পারেন
একই গল্পে ভিন্ন মাঠে মুখোমুখি দেব-অনির্বাণ।
গতকাল দেবের প্রথম ব্যোমকেশ হয়ে ওঠার গল্পের এক ঝলক দেখা গিয়েছিলো। বিরসা দাশগুপ্তের সেই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করছে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স। ঠিক একদিন পরে আজ অবাক করে দিয়েই এসভিএফ এর ওটিটি হইচই থেকে ঘোষণা এলো শীঘ্রই আসছে দূর্গ রহস্য! সেই গোমড়কে রহস্যেই রেখছেন অবশ্য তারা, খুব শীঘ্রই অর্থাৎ ১৮ জুলাই আসছে টিজার। যেখানে অভিনয় করেছেন অনির্বাণ। হইচই এর ব্যোমকেশ সিরিজে অবশ্য অণির্বাণই অভিনয় করেন। তবে এবারের পরিচালক উলটে গেছে, সৃজিত মুখার্জি হাত লাগিয়েছেন। এখন একটা কথা না বললেই নয়, আবির মুখার্জি ফাঁক-ফোকড় দিয়ে উদয় হলেই জমে যাবে একদম।
সব মিলিয়ে এক্সপেক্টেশন হিউজ। দেব আর অনির্বাণ, দুজনই পাকাপোক্ত। এখন দেখার অপেক্ষা একই সিলেবাসে কে ভালো পরিক্ষা দেন। নিঃসন্দেহে দেবের জন্য এ পরিক্ষা ভীষণ কঠিন।
“দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্জ” তৈরি করার পর থেকেই দীপক অধিকারী রাজু ওরফে দেব নতুন সংস্করণে আবির্ভূত হয়েছে। শুধু এমপি হয়ে নয়, নিত্যনতুন এক্সপেরিমেন্ট করে সিনেমাগুলোকে হিট করিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তার কথার উচ্চারণ নিয়ে খিল্লি করা নিন্দুকরা সবাই আজ চেয়ে চেয়ে তার ধারাবাহিক সফলতার জোয়ার দেখছে। নিজেকে ভেঙ্গে, শুধরিয়ে সে আগের চেয়ে অনেক পরিণত, কলকাতার বেস্ট সুপারস্টার, বক্স অফিস কিং। দর্শক আর বিজনেসের পালস অন্য সবার চাইতে সে একটু বেশীই বুঝতে পারে। তাই সাথে সুপারস্টারডমের প্রভাব মিলিয়ে দেবের বোমকেশই সম্ভবত আবারও বাজি মারতে চলেছে।