সিনেমানামা ডেস্ক
মায়াবী চাহনি। মুখে রাজ্যের একরাশ হাসি লেগেই থাকে। ভক্তরা তার হাসিতে কুপোকাত তো বটেই, অভিনয়েও মুগ্ধ। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতা চোখ বুলালেই নজরে আসে দর্শকদের অগণিত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া। বলছিলাম অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের কথা।
সাদিয়া আয়মান, বাংলাদেশের একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, মডেল এবং অভিনেত্রী, একজন তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের অংশ। যারা দেশের বিনোদন শিল্পকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছেন। টিভি নাটক এবং ওয়েব সিরিজ থেকে তার একটি সুপরিচিত চেহারা রয়েছে, যা সম্প্রতি সিনেমা শিল্পে প্রবেশ করেছে। এছাড়াও, সাদিয়া আয়মান সম্প্রতি তার প্রথম অভিনয় সম্মান গ্রহণ করেছেন এবং একটি উল্লেখযোগ্য ভারতীয় প্রসাধনী ফার্মের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন। 2022 সালের বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেত্রী (সমালোচকদের পছন্দ) জিতেছেন।
সাদিয়া আয়মান জীবনী এবং উইকি
আসল নাম – সাদিয়া আয়মান
ডাকনাম – সাদিয়া
পেশা – মডেল এবং অভিনেত্রী
বয়স – বছর (২০২৪)
জন্ম তারিখ – ১৭ মার্চ ১৯৯৮
জন্মস্থান – বরিশাল
জাতীয়তা – বাংলাদেশি
ধর্ম – ইসলাম
শিক্ষাগত যোগ্যতা আইন বিভাগে স্নাতক (পড়াশোনা করছেন)
কলেজ – বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ
বিশ্ববিদ্যালয়-ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
২০১৯ সালে পড়াশোনা করতে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বছরখানেকের মধ্যেই যুক্ত হয়ে পড়েন শোবিজে। একটি ফেসবুক পোষ্ট মারফত পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ। মূল বিপত্তি বাঁধে পরিবারের অনুমতিতে। কারণ বড় হয়েছেন রক্ষণশীল পরিবারে। তবে সাদিয়া ঠিকই তার আত্মবিশ্বাস, মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
শারীরিক অবস্থা
ফিগার ৩৩-২৮-৩৪
উচ্চতা ৫ ফিট ৩ ইঞ্চি
ওজন ৫৭ কেজি
চোখের রঙ কালো
চুলের রঙ কালো
অ্যাফেয়ার্স, বয়ফ্রেন্ড এবং বৈবাহিক অবস্থা
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
বয়ফ্রেন্ড – সিঙ্গেল
প্রথম সিনেমা – কাজল রেখা
সাদিয়া আয়মানের প্রথম সিনেমা কাজল রেখা। প্রথম সিনেমা ‘কাজলরেখা’ নিয়ে এই নায়িকা বলেন,‘আমার আশা, দর্শক আমাকে পছন্দ করবেন। এখন তো সিনেমার প্রস্তাব পাই। তবে এই সিনেমার পরেই সিদ্ধান্ত নেব সিনেমা করব কি না। দেখা যাক।” সাদিয়া পড়াশোনা করেছেন আইন বিষয়ে। সাদিয়ার সাথে আরও এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক।
তটিনী ও সাদিয়া আয়মানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দীতা আছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদিয়া আয়মান বলেন, “তটিনীর সাথে আমার কোন প্রতিদ্বন্দীতা নেই। কারণ তটিনী এবং আমি বরিশালের মেয়ে, বরিশালে আমরা একই কলেজে পড়াশোনা করেছি। তটিনী আমার এক বছরের জুনিয়র। ঠিক একই কথা বলেছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী। তটিনী বলেছেন, ভক্তরা হয়ত তাদের ভেতরে আমাদের নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা সৃষ্টি করেছে। তবে বাস্তবিক অর্থে সাদিয়া আপুর সাথে আমার কোন প্রতিদ্বন্দীতা নেই। বরং সাদিয়া আপু আমার সিনিয়র। আমরা একই কলেজে পড়াশোনা করেছি।মিষ্টি হাসি ও মিষ্টিভাসির অভিনেত্রী তটিনী। তার হাসির ঝিলিকে বুঁদ হয়ে থাকেন দর্শকেরা। অপরদিকে সাদিয়া আয়মানের ভেতরের চঞ্চলতাকে তার ভক্তরা বেশি ভালোবাসেন। এমন উৎফুল্ল অভিনেত্রী স্পষ্টভাষী সাদিয়া আয়মানের বেশ কিছু নাটক জনপ্রিয়। ভক্তরা খুব শীঘ্রই সিনেমায় দেখতে চায়।
বর্তমান সময়ের এই দু’জন অভিনেত্রীর মধ্যে কাকে আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে? নাকি দু’জনকেই ভালো লাগে? সে সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে।