ছাইলিপি কেন ছাইলিপি?
প্রিয় লেখক এবং পাঠক,
ইতিমধ্যেই আপনারা জেনেছেন ছাইলিপি তরুণ এবং নবীন লেখকের লেখা প্রকাশের একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। ছাইলিপির সম্পাদক নিজেও একজন তরুণ লেখক। আর ছাইলিপি চির-তরুণ।
এপর্যন্ত ছাইলিপি লেখকদের লেখায় কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে উঠেছে। ছাইলিপিতে নিয়মিত লেখা পাঠাচ্ছেন নবীন-প্রবীন,এপার বাংলা-ওপার বাংলার অনেক বিখ্যাত, অখ্যাত লেখকেরা।লিখছেন নবীন-প্রবীন লেখকরা।
ছাইলিপির শুরু কথা-
আমি আশিক মাহমুদ রিয়াদ। লেখালিখির জগতে ঠিকঠাকভাবে কলম ধরতে শিখেছি মাত্র এক বছর। হ্যাঁ শুধু মাত্র এক বছর।আমি একজন গল্পকার।তবে ইতিমধ্যেই আমি গল্প লেখার পাশাপাশি,কবিতা এবং দুটি উপন্যাস লেখার চেষ্টা করছি। যার মধ্যে একটি ছাইলিপিতে প্রকাশিত হচ্ছে ধারাবাহিক ভাবে। আমি নিজেকে গল্পকার পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। ২০১৯ সালে আগষ্ট মাসের ৮ তারিখে বাংলাদেশের একটি নামকরা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় লেখা প্রকাশের মাধ্যম দিয়ে আমার লেখা প্রকাশের হাতে খড়ি হয়। এরপর দীর্ঘ একবছর আমি লেখালিখি করেছি দেশের বিভিন্ন পত্রিকায়। আমি মনে করি আমার বয়সের তুলনায়,আমার লেখালিখির জগতে কলম ধরার তুলনায় আমার অভিজ্ঞতা কম। তবে এই কথা আমি শুধু মনেই করি, বিশ্বাস করি না। অভিজ্ঞতার কাধে হাত না রাখতে পারলে অভিজ্ঞ হওয়া যায় না।
প্রথমে ভেবেছিলাম যে নিজের লেখালিখির জন্য একটি ব্লগসাইট খুলবো। করোনা এবং প্রাকৃতিক মহাদুর্যোগের কারনে গত কয়েকমাস যাবৎ আমি পড়াশোনা থেকে খানিক বিচ্ছিন্নই বলা যায়। এদিকে জাতীয় পত্রিকাগুলোতে সাহিত্যের নিয়মিত বিভাগগুলো অধিকাংশই বন্ধ। তাই নিজের মুঠোফোন থেকে নিজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরী করলাম। এই ওয়েবসাইট নিয়ে ততটা গুরুত্বপূর্ন কাজ তখনো শুরু করিনি। নিজের লেখাগুলোকে আর্কাইভ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। সেই থেকে শুরু।
এরপর আমার চিন্তায় পরিবর্তন আসে। ভাবলাম এই লকডাউনের সময় বোরিং না হয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য কিছু করা যায় কি না। আমি মোবাইল ফোনে বেশ আসক্ত হলেও গেমসের প্রতি আসক্ত ছিলাম না।
আমার সমবয়সী অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করতো যে তারা লেখাপ্রকাশ করতে চায়।
এভাবেই ছাইলিপি নিয়ে যাত্রা শুরু। আমার নিজেস্ব ব্লগসাইটের নাম কি রাখবো সেটি নিয়ে ভাবতে না ভাবতেই আমার মাথায় একটি নাম গেথে যায়। “ছাইলিপি” এই নামের কোন অর্থ নেই। কিন্তু সুন্দর একটি স্পর্শ আছে। ছাই মানে বেদনার ভষ্মপ্রতিক। আর লিপি মানে লেখা।
একজন লেখক কখনোই সুখে থেকে তার জীবনের সেরা সাহিত্যকর্মটি বের করে আনতে পারে না। একটি লেখার মধ্যে ঢুকতে হলে তাকে সেই লেখার চরিত্রগুলোর অসুখে ভুগতে হয়। এভাবেই বেরিয়ে আসে দারুণ লেখা। প্রচলিত একটি প্রবাদ- যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখো তাই,পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন। এই প্রবাদটির ভাবধারা থেকে ছাইলিপি নামটিকে চুড়ান্ত নাম হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এবং মনে প্রানে চাই ছাইলিপি থেকেই “সৃষ্টি হোক দারুণ কিছু”
ছাইলিপির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ২২ শে মে থেকে। এরপর ঈদ সংখ্যার বের করি নিজের কাছের কিছু মানুষদের সাথে নিয়ে। এরপর ধারাবাহিক ভাবে ঈদুল আযহা সংখ্যা, আগষ্ট সংখ্যাএবং প্রতিসপ্তাহে একটি সাপ্তাহিক সংখ্যা প্রকাশ করছে ছাইলিপি।
ছাইলিপি কি লেখা প্রকাশের বিনিময়ে লেখককে সম্মানী প্রদান করে?
দুঃখিত! ছাইলিপি আর্থিক কোন ফান্ড এখন পর্যন্ত তৈরী হয়নি। যেদিন থেকে ছাইলিপি একটাকার ফান্ড তৈরী হবে সেদিন থেকে ছাইলিপি তার স্বপ্ন পূরনের দিকে এগিয়ে যাবে। ছাইলিপি স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্নকে পূরন করতে নিরালস ভাবে প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে ছাইলিপিতে লেখা পাঠানো লেখকবৃন্দ এবং পাঠকবৃন্দ।
ছাইলিপি নিয়ে অনেকেরই আছে অনেক কথা। কেউ কেউ ছাইলিপির নামকে নিয়ে দারুণ চিন্তিত হন। আমরা তাদের চিন্তা দূর করতে নবীন লেখকদের কাঁচা হাতে লেখা সৃষ্টিশীল লেখাগুলো প্রকাশ করি। কারন আমরা প্রত্যাশা করি- সৃষ্টি হোক দারুণ কিছু।