তিশার সম্পর্কে বইয়ে কি লিখেছেন মুশতাক?

তিশার সম্পর্কে বইয়ে কি লিখেছেন মুশতাক?

কে এই খন্দকার মোশতাক আহমেদ?

খন্দকার মুশতাক আহমেদ এর শৈশব কৈশোর কেটেছে রাজধানীর মতিঝিলে। গ্রামের বাড়ি ঢাকার অদূরে সৈয়দ নগর, শিবপুর, নরসিংদী। পড়াশুনা করেছেন নটর ডেম কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয় নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিলেও ব্যস্ত থাকেন ব্যবসা ও সমাজসেবা নিয়ে। তিনি মতিঝিলের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুর আন্ড কলেজের সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য গুলশান সোসাইটির জোন-৩ সাবেক কনভেনর, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক সদস্য। এছাড়াও তিনি বহু সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত খন্দকার মুশতাক আহমেদ সাপ্তাহিক তথ্যসনদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক। তিশার ভালোবাসা লেখকের দ্বিতীয় প্রকাশিত উপন্যাস। তাঁর অবসর কাটে নিজের গড়া আনন্দভবনে। অবসরে বই পড়তে ভালোবাসেন। তিনি বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন৷ সম্প্রতি এই দম্পত্তিকে নিয়ে সরব নেট দুনিয়া। অসম প্রেম এবং বিয়ের কারণে নেট দুনিয়ায় ব্যপক ভাইরাল হচ্ছেন তিশা ও মোশতাক দম্পত্তি।

ফেসবুক এ আমার অনেক আগের একটি স্ট্যাটাস দিয়ে শুরু করছি

স্কুল জীবন থেকেই প্রচুর বই পড়তাম। শুধু যে বই পড়তাম তা নয়, প্রচুর বইও কিনতাম। এমনও সময় গিয়েছে সারাদিন সারারাত বই পড়েছি। এখনো প্রায় প্রতিদিনই বই পড়ি তবে আগের মতো বই পড়ার সেই গতি নেই, মাঝে মাঝে ব্রেক নেই, তখন একটি বই শেষ করে আর একটি পড়তাম। কিন্তু এখন এক সাথে অনেকগুলো বই নিয়ে বসি, একটা কিছুক্ষণ পড়ে আবার হয়তো অন্যটা পড়ি, আগে বই পড়াতে অসম্ভব ধৈর্য ছিল এখন আর সেই অবস্থা নেই। এটা হয়তো বয়সের দোষ। যদিও আমি ঢাক ঢোল পিটিয়ে বলি আমার বয়স ৩৭। কিন্তু আসলে তো মেঘে মেঘে অনেক বেলা। জীবনের অনেক স্বর্ণালী বসন্ত পেরিয়ে এসেছি আজ। মাঝে মাঝে মনে হয় কোথায় হারিয়ে গেলো সেই সোনালী দিনগুলো। তবে মনের দিক থেকে আমি সেই আগের মতোই আছি। টগবগে যুবক। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়েছে সত্যি কিন্তু মনের বয়স আর বাড়েনি একটুও। যদিও আমি অন্য সব মানুষের মতো খুবই সাধারণ একজন মানুষ। সব মানুষের মতোই আমারও অনেক দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা রয়েছে।

 

কিন্তু তারপরও আমি আমার এই দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণাকে শুধু আমার মাঝে রেখেছি। সবার সাথে শুধু সুখ, আনন্দ আর খুশির কথা বলেছি, বলেছি মায়া মমতা স্নেহ আর ভালোবাসার কথা। জীবনের অনেক নিষ্ঠুর বাস্তবতার মাঝেও আমি নিজেকে অনেক বেশি সুখী রাখতে অবিরত চেষ্টা করেছি। শুধু নিজের জন্য নয় আমি মনে প্রাণে চেয়েছি আমার পাশাপাশি আমার সব প্রিয়জনদের জীবনে সুন্দর সুখের আবির ছড়িয়ে দিতে। অনেকে বলে আমি নাকি সাদা মনের মানুষ। সত্যি কথা হলো আমি সাদা মনের আনুষ কিনা তা আমি জানি না বা সেই দাবিও আমি করবো না তবে আমি খুব জোর দিয়ে বলতে পারি আমার মনের ভেতর কালো বলে কিছু নাই। আমি কখনো কোনোভাবে কারো খারাপ বা অসুন্দর চিন্তা করিনি। লেখা শুরু করেছিলাম বই পড়া নিয়ে। কিন্তু কোথায় চলে এলাম। জার্নি বাই বোট রচনা লিখতে গিয়ে মনে হয় গরুর রচনা লিখে ফেলছি। আসলে আমাদের জীবনে সব কিছু ছকে বেঁধে হয় না জীবন জীবনের মতো এগিয়ে চলে, কল্পনা-চিন্তা ভাবনাও তার নিজস্ব গতিতে চলে আমরা শত চেষ্টা করলেও এর থেকে খুব বেশি বের হতে পারি না। মাঝে মাঝে ভাবি বই পড়ার যখন আগের মতো সেই গতি নেই তাহলে বই লেখা শুরু করি।

আবার মনে মনে হাসি, ধূর! আমি আবার কি বই লিখবো? আমার জ্ঞাণ বিদ্যা তো বড় জোর ফেসবুকে কিছু উল্টাপাল্টা মজা করে স্ট্যাটাস লেখা। কিন্তু আজ এই বই লিখতেও ভয় পাচ্ছি কারণ গতকাল ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক ও বর্তমানে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা রাবেয়া আনোয়ার আপা আমার একটি স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেছেন তিনি আমার অধিকাংশ স্ট্যাটাস পড়েন (আমার সৌভাগ্য) তবে শিক্ষকতা পেশায় আছেন বলে ভুলও খুঁজে বেড়ান। কি সাংঘাতিক কথা। আমার তো মনে হয় আমার লেখায় পদে পদেই ভুল। তবে আশার বাণী হলো আপা লিখেছেন আমার লেখায় তেমন কোনো ভুল নেই। আপাকে ধন্যবাদ সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য। এখন হয়তো সাহস করে বই লেখার দংসাহস করেও ফেলতে পারি। তাবে সেই বই কবে বের হবে বা কখনো তবে সেই বই কবে বের হবে বা কখনো বের হবে কিনা জানি না তাই আমার এই স্ট্যাটাসটি আমাকে যারা অনেক সময় বই লেখার কথা বলেছে তাদের সম্মানে উৎসর্গ করলাম।

 

তিশার সম্পর্কে বইয়ে কি লিখেছেন মুশতাক?

“বিনা অনুমতিতে এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি অনুমতি ছাড়া লেখা কপি করে ফেসবুক কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশ করেন, এবং সেই লেখা নিজের বলে চালিয়ে দেন তাহলে সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে
ছাইলিপি ম্যাগাজিন।”

সম্পর্কিত বিভাগ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
এক মাছলি, পানি মে গায়েই? অর্থ কি? কিভাবে খেলে?

এক মাছলি, পানি মে গায়েই? অর্থ কি? কিভাবে খেলে?

এক মাছলি, পানি মে গায়েই? অর্থ কি? কিভাবে খেলে?   ভাইরে ভাই! বন্ধুবান্ধব একসাথে বসে আড্ডা দেওয়ার মজা আর কিছুতে নেই। সেই সাথে বসে যদি ...
গৌর (মালদা) - বাংলার চিত্তাকর্ষক ইতিহাস

গৌর (মালদা) – বাংলার চিত্তাকর্ষক ইতিহাস

শিবাশিস মুখোপাধ্যায় বাংলার চিত্তাকর্ষক ইতিহাস সম্পর্কে জানার সময়, গৌরের মতো আর কিছু গন্তব্য হতে পারে না। এই স্থানটি এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থাপত্যের কিছু ...
জানালাটা খোলা ছিল

জানালাটা খোলা ছিল

তওহিদ মাহমুদ হোসেন শব্দটা হলো ধপ্ করে, চাপা ধরণেরও। আর সাথে সাথেই বিচ্ছিরি একটা ‘ক্যাঁ…ও’ চিৎকার, বিড়ালের। এক মনে রান্না করছিল তুবা। খুব সাবধানে ডিমের ...
সবার জন্য ঈদ

সবার জন্য ঈদ

দিল মুহাম্মদ আপনার সন্তান পেয়ে খুশি ঈদের নতুন জামা, আপনার কাজের লোকের সন্তান হয়তো কাঁন্দে,মামা! পথেরধারে শিশু কাঁন্দে বঞ্চিতর দল আদর, এই ঈদে কি তাদের ...
ক্ষোভ ক্ষুধা প্রতিশোধ- সৌর শাইন

ক্ষোভ ক্ষুধা প্রতিশোধ- সৌর শাইন

সৌর শাইন  ‘আজকে তোকে ছাড়বো না.. শালার পুৎ.. আইজকা তোরে হাতের কাছে পাইছি.. শুয়োরের বাচ্চা, কুত্তার বাচ্চা.. জানোয়ারের বাচ্চা.. আইজা তোর জান বরবাদ করে ফেলবো।’ ...